সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

সরল দেইচ্ছামতীর কাছে খুব আনন্দের খবর, গর্বের খবর... এই বছর সাহিত্য আকাদেমি থেকে প্রথম শিশু সাহিত্যের জন্যে পুরষ্কার দেওয়া শুরু হলো। আর  এই শুরুর বছরেই  পু্রষ্কার পাচ্ছেন বাংলার প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক সরল দে। তাঁর কথায় “ এই সাহিত্য আকাদেমি পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। কারণ ছোটদের লেখা খুব অবহেলিত। এই পুরষ্কার শিশু সাহিত্যকে মর্যাদা দিলো। আর আনন্দিত এই কারণে যে এবার শিশু সাহিত্যের দিকে সকলের নজর পড়বে। সেই সঙ্গে ভালো লাগছে, এই পুরষ্কার আমাকে দিয়েই শুরু হলো। ” আগামী ১৪ নভেম্বর দিল্লীতে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরষ্কার নেবেন এই কবি ও শিশু সাহিত্যিক।

অনেক ছোটবেলায় মাকে হারান তিনি। একটু একটু করে নিজে থেকে বেড়ে ওঠা, দীর্ঘ দিন বামপন্থী আন্দোলনের সাথে নিজেকে যুক্ত করা আর লিখে চলা। কোনো প্রচারের আলো, কোনো প্রলোভনের হাতছানি তাঁকে পরাজিত করতে পারেনি। একটা পা নেই, শারিরীক নানা প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করেও এই মানুষটি আজও ছুটে বেড়ান পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তে। একদম একা।  উতসাহ দেন ছোটদের নিয়ে ভাবতে, লিখতে। নিজে সম্পাদনা করেন “টগবগ”। দীর্ঘ তিরিশ বছরের পরেও  যে ছুটে চলেছে তার অফুরন্ত প্রাণ শক্তি নিয়ে। লিখেছেন প্রচুর। তাঁর বইয়ের সংখ্যা অগুন্তি। তাঁর নিজের কাছেও নেই, কোথাও পাওয়া যায় না গ্রন্থপঞ্জী। জানতে চাইলে হেসে বলেন, “কোনো দিন হিসেব করে তো কিছু লিখিনি, তাই সব গুলোই হিসেবের বাইরে থেকে গেছে।” পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে সম্মানিত করেছেন বঙ্কিম পুরষ্কারে। প্রায় শুরুর দিক থেকে তিনি যুক্ত শিশু কিশোর আকাদেমির সঙ্গে। ঠিক এই রকম এক প্রাণোচ্ছ্বল মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে আজ ইচ্ছামতী পেয়েছে তার চলার প্রেরণা। ইচ্ছামতীর সব বন্ধুদের পক্ষ থেকে কবির জন্য রইলো অসংখ্য শুভেচ্ছা, ভালোবাসা আর বিনম্র শ্রদ্ধা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা