আরেকটা সহজে শহর দেখার উপায় হল জলপথে ঘোরা। আমরা ক্রুইস এর জাহাজ নিলাম। বিশাল জাহাজ, প্রায় শ’পাঁচেক লোক। জাহাজটা আমাদের মানহাটান দ্বীপ এর চার দিক দিয়ে ঘুরিয়ে দেখায়। আমি কিছু ব্রীজ এর ছবি এখানে দিলাম।
এটা ব্রুকলীন ব্রিজ। ১৮৮৩ সালে শুরু। সাসপেনশন জাতীয়। ভারতে লক্সমন ঝোলার ব্রীজ হল সাসপেনশন জাতীয়।
এরপরের ব্রীজটা দোতলা! মানহাটান ব্রীজ। দোতলা বাস এর মত ব্রীজ এক তলা দিয়ে শুধু গাড়ি; কিন্তু নিচের তলা দিয়ে ট্রেন ও যায়।
এই জাহাজটা নিউ ইয়র্ক এর আরেকটা দ্রষ্টব্য, স্ট্যাচু অফ লিবার্টির একদম কাছ দিয়ে নিয়ে যায়। মানুষের স্বাধীনতার আরেক মুখ। হাতে মশাল ও আইনের বই। পায়ের কাছে ভাঙা বন্ধন শিকল।
শুধু পথচারী আর সাইকেল আরোহীদের জন্য এই ব্রীজটা। নাম – ওয়ারড আইলান্ড ব্রীজ।
জর্জ ওয়াশিংটন ব্রীজ। দোতলা ব্রীজ। ৮ টা গাড়ী ওপরে আর ৬ টা গাড়ী নিচে পাশাপাশি যেতে পারে।
এই ব্রীজটা খুব মজার। ম্যাক্কম্স্ ড্যাম ব্রীজ। এটা সুইং ব্রীজ। ব্রীজের মধ্য ভাগ ৯০ ডিগ্রী ঘুরে যায়। ব্রীজ খুলে গেলে জাহাজ সহজ ভাবে যেতে পারে।
হাই ব্রীজ বা অ্যাকুয়াডাক্ট ব্রীজ। এটা বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য, কারন এক সময় নিউ ইয়র্ক শহরে জলের সরবরাহ হত এর মাধ্যমে।
এই শহরে দেখার শেষ নেই। ভিন্ন লোক, ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন খাদ্যের মিলন এখানে। আমরা আরজেন্তিনার খাবার খেতে ব্যস্ত।
খুব ভাল ঘুরেছি আমরা, খুব খেয়েছি, আনন্দ করেছি। আজ এখানেই শেষ করি। পুজোয় খুব আনন্দ করো, খুব হই চই করো।
লেখাঃ
দেবাশীষ পাল
ছবিঃ
পিউ মল্লিক
রচেস্টার, নিউ ইয়র্ক, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র