খেলাঘরখেলাঘর

সব পেয়েছির দেশে

যেখানে আকাশ টা ঘন নীল,আরও বড় আর ঝলমলে,কচি কচি,থোপা থোপা মেঘেরা ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় সেইরকম জায়গায় পুজোর ছুটি কাটাতে ইচ্ছে করে মেঘনার।
কিন্তু সেটা তো হওয়ার নয়।যেদিন ওরা গ্রাম ছেড়ে ওই ঘিঞ্জি শহরটায় এসে উঠেছে সেদিন থেকে ওর মন খারাপ।পুজো আসছে বলে মনেই হয় না।

বেশ তো ছিল গ্রামে। মহালয়ার সকালে দাদুর কাছে বসে রেডিয়োতে দুর্গাবন্দনা শুনতে ওর কত ভাল লাগতো।দারুণ কাটতো পুজোর দিনগুলো।এখন জানলা দিয়ে দু একটা সাদা মেঘ মাঝে মাঝে হাতছানি দিয়ে যায়।চুপিচুপি বলে মেঘনা এত উদাস কেন?আমাদের সঙ্গে এসো,তোমাকে আমরা পিঠে করে নিয়ে যাব সেই সব পেয়েছির দেশে যেখানে সবুজ গাছপালা,নানা রঙের ফুল,হরেক রকম পাখি আর মিষ্টি ঝিরঝিরে নদী আছে।সব পেয়েছির দেশ কথাটা মনে পড়লেই মেঘনার বুকের ভেতর টা আনন্দে ভরে ওঠে।পূর্ণদাদা বলেছিল একটা সব পেয়েছির দেশ নাকি সত্যি আছে।সেই দেশটাকে শুধু খুঁজে বের করতে হবে।ছুটি পড়লেই মেঘনা আর পূর্ণদাদা বেড়িয়ে পড়ত অ্যাডভেঞ্চারে।পূর্ণদাদা এমন সব যায়গার কথা জানত যার কথা ও কোনদিন শোনেনি।মেঘনা অবাক হয়ে ভাবত,এত কথা পূর্ণদাদা জানলো কি করে! পূর্ণদাদা তো একদম পড়াশোনা করে না।


সে বলে এই পৃথিবীটা একটা বিরাট বই এইটাকে জানতে পারলেই আসল পড়াশোনা করা হবে ।
আর তার জন্য আমাদের অ্যাডভেঞ্চারে যেতে হবে।নতুন নতুন জিনিস খুঁজে বের করতে হবে।

দ্বৈতা হাজরা গোস্বামী বর্তমানে বেঙ্গালুরর বাসিন্দা। গবেষণা করছেন বৈদিক সাহিত্য নিয়ে। ভালোবাসেন কবিতা ও ছোটগল্প লিখতে , ছবি আঁকতে, যে কোনো সৃষ্টিশীল কাজে ডুবে থাকতে, আর ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতে।