সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

বেশি কিছুদিন কেটে গেল। নিন্‌ফা ভালুকের সাথে আনন্দেই থাকে, কিন্তু তার বাড়ি যেতে ইচ্ছা করে, বাবা আর দিদিদের দেখতে ইচ্ছা করে। শেষে সে একদিন সাহস সঞ্চয় করে রাজপুত্রের কাছে অনুমতি চাইল- "এই জঙ্গলে তোমার সাথে ছাড়া তো আর কারোর সাথেই কথা বলতে পারি না। আমার খুব ইচ্ছা করছে বাবা আর দিদিদের সাথে দেখা করতে। বাড়ি তো এমন কিছু দূরে নয়। আমি তাড়াতাড়ি যাব আর অন্ধকার হওয়ার আগেই ফিরে আসব।"

রাজপুত্র নিন্‌ফাকে যেতে দিতে চাইছিল না। কিন্তু নিন্‌ফা যখন খুব মনখারাপ করে কাঁদতে শুরু করল, তখন সে রাজি হল। কিন্তু সে নিন্‌ফাকে বার বার করে বলে দিল যেন কে কিছুতেই তার গোপন কথা কাউকে না বলে।

পরের দিন নিন্‌ফা ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠল। সে রাজপুত্রের দেওয়া ভাল জামাকাপড় পরে সুন্দর করে সেজে নিল। বাড়ি গিয়ে বাবা আর দিদিদের সাথে দেখা হতেই তাদের তো আনন্দের আর শেষ নেই।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তার ভাল জামা, আর সুন্দর গয়না দেখে তার দিদিদের খুব হিংসা হল। তারা তখন ছোট বোন কে দুঃখ দেওয়ার জন্য বলতে থাকল- "কি লজ্জা! তোর একটা ভালুকের সাথে বিয়ে হয়েছে।" আর ভালুকের সম্পর্কে আরো খারাপ খারাপ কথা বলতে থাকল।

মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা