সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

দিদিদের মুখে ভালুকের সম্পর্কে মন্দ কথা অনেকবার শুনতে শুনতে নিন্‌ফার এক সময়ে খুব রাগ হল। রাগের মাথায় সে ভালুকের জীবনের গোপন অভিশাপের কথা দিদিদের কাছে বলে দিল। দিদিরা তো সেই কথা শুনে অবাক!

নিন্‌ফার বড় দিদি তখন এক বুদ্ধি দিল –" তুমি এক কাজ কর। আজ তারে ভালুককে অনেক ভাল ভাল খেতে দাও। প্রচুর খেয়ে ভালুক যখন গভীরভাবে ঘুমাবে, তখন ওর হাত আর মুখ বেঁধে দাও। সকালে ঘুম ভাঙলে ভালুক আর চেহারা বদলানোর মন্ত্র বলতে পারবে না। তাহলেই ওই মন্ত্রের জাদু নষ্ট হয়ে যাবে। তখন তোমার বর আর কোনদিনই ভালুক হবে না

নিন্‌ফা সন্ধ্যেবেলা ভালুকের গুহায় ফিরে এসে দিদির কথামত ভালুককে ভালমন্দ খেতে দিল। পরের দিন সকাল বেলা ঘুম ভেঙে উঠে ভালুক তো অবাক হয়ে গেল তার নিজের হাত-মুখ বাঁধা দেখে।

তার ইশারায় নিন্‌ফা তার মুখের এবং হাতের বাঁধন খুলে দিল। তখন রাজপুত্র তাকে করুণ স্বরে বলল- "তুমি তোমার শপথ ভেঙে ফেলেছ নিন্‌ফা; এখন তোমাকে এর ফল ভোগ করতেই হবে; এই অভিশাপ থেকে আমি মুক্ত হতে পারতাম যদি তোমার সাথে এক বছর এক দিন থাকতে পারতাম। কিন্তু তুমি তো সেটা হতে দিলে না। আমি এখন চলে যাচ্ছি। তোমাকে এবার আমাকে খুঁজে নিতে হবে। আর তার জন্য তোমাকে আগে খুঁজে বার করতে হবে ‘বিশ্বাসের প্রাসাদ’।"

মহাশ্বেতা রায় চলচ্চিত্রবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েব ডিজাইন, ফরমায়েশি লেখালিখি এবং অনুবাদ করা পেশা । একদা রূপনারায়ণপুর, এই মূহুর্তে কলকাতার বাসিন্দা মহাশ্বেতা ইচ্ছামতী ওয়েব পত্রিকার সম্পাদনা এবং বিভিন্ন বিভাগে লেখালিখি ছাড়াও এই ওয়েবসাইটের দেখভাল এবং অলংকরণের কাজ করেন। মূলতঃ ইচ্ছামতীর পাতায় ছোটদের জন্য লিখলেও, মাঝেমধ্যে বড়দের জন্যেও লেখার চেষ্টা করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা