এই বলেই রাজপুত্র অদৃশ্য হয়ে গেল। নিন্ফা একা একা বসে অনেক্ষণ কাঁদল। তারপরে সে ঠিক করল সে তার স্বামীকে খুঁজে আনতে বিশ্বাসের প্রাসাদে যাবে।
নিজের সামান্য কিছু জিনিষ একটা পুঁটুলিতে বেঁধে নিনফা বিশ্বাসের প্রাসাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করল। মাঠ-ঘাট-বন-জঙ্গল পেরিয়ে অনেক , অনেক দূর হেঁটে চলল সে।
এক সময়ে নিন্ফা গিয়ে পৌঁছাল এক গভীর জঙ্গলের মধ্যে। সেখানে তার দেখা হল এক বুড়ো জাদুকরের সাথে। বুড়ো তাকে জিজ্ঞাসা করল –" কন্যে, তুমি এই গভীর জঙ্গলে কি করছ?"
-"আমি বিশ্বাসের প্রাসাদ খুঁজছি। আপনি জানেন, সেটা কোন দিকে?"
"আমি জানি না বিশ্বাসের প্রাসাদ কোথায় রয়েছে। তবে কিনা চাঁদ ঠাকরুণ বলতে পারেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে পার। তবে তিনি কিন্তু বড্ড রাগী, তাই খুব সাবধান। আর এই তিনটে বাদাম সাথে রাখ। যদি কোন বিপদে পড় তাহলে একটা করে বাদাম ভেঙে ফেল।তোমার উপকার হবে।"
বুড়োর সাথে কথা বলার পর নিন্ফা আবার চলতে শুরু করল। পথ চলে চলে ক্লান্ত মেয়েটা শেষে অবধি গভীর রাতে চাঁদ ঠাকরুণের বাড়ির সামনে পৌঁছাল। সে দরজায় ঠুকঠুক করে কড়া নাড়ল। এক বুড়ি এসে দরজা খুলে দিল। সে ছিল চাঁদ ঠাকরুণের রাঁধুনী।
"আহারে দুঃখিনী বাছা! তুমি এখানে কি করছ?" জিজ্ঞেস করল বুড়ি। " তোমাকে দেখতে পেলে তো রাগী চাঁদ ঠাকরুণ তোমার ঘাড় মটাকাবে!"
নিন্ফা তাকে চোখের জল ফেলতে ফেলতে নিজের দুঃখের কথা সব খুলে বলল।