এই সময়ে রাজপুত্রও নিন্ফাকে দেখতে পেল। সে সঙ্গে সঙ্গে তার স্ত্রীকে চিনতে পারল। সে কর্মচারীদের হাঁক দিয়ে ডেকে বলল নিন্ফাকে তার কাছে নিয়ে আসতে। কিন্তু হই-হট্টগোলের মধ্যে কেউ তার কথা শুনতেই পেল না।
ওদিকে দুষ্টু রাজকন্যা তার রক্ষীদের ডেকে বলল – "শিগ্গির তোমরা ওই ভিখারিনী মেয়েটাকে ধরে বার করে দাও"
রক্ষীরা নিন্ফাকে সেই ধরতে গেল, সে তক্ষুণি সেই বুড়ো যাদুকরের দেওয়া একটা জাদু বাদাম ভেঙে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে সে এক ছোট্ট ইঁদুর হয়ে এদিক ওদিক ছুটতে লাগল। সেই দেখে ডাইনি এক বিরাট কালো বিড়াল হয়ে ইঁদুরকে তাড়া করল।
ইঁদুর তখন এক লাফে টেবিলে উঠে রাজপুত্রের থালায় গিয়ে পড়ল। তখন ইঁদুর রূপী নিন্ফা আরেকটা বাদাম ভেঙে ফেলল। সে সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল ভাতের একটা কণা। রাজপুত্রের থালায় ছড়ানো অনেক ভাতের মধ্যে সে মিশে গেল। বিড়াল বেশী ডাইনী তখুনি টেবিলে উঠে পড়ে নিজেকে মুরগিতে বদলে নিল, আর কপকপ করে ভাত খেতে লাগল।
নিন্ফা তখন বুড়ো জাদুকরের দেওয়া তৃতীয় জাদু বাদামটি ভেঙে ফেলল, আর নিজেকে কয়োটির রূপ দিল। সেই কয়োটি তখন মুরগিকে ধরে খেয়ে ফেলল।
ডাইনী রাজকন্যাকে শায়েস্তা করার পরে নিন্ফা আবার মানুষের চেহারায় ফিরে এল। এর পরে সে রাজপুত্রের সাথে সুখে ঘরকন্না করতে থাকল।
ছবিঃআত্রেয়ী দত্ত