সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
আনন্দময়ীর আবাহনে ইচ্ছামতী

"মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি,
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই..."
না, ছুটি পড়ে গেলে কি হবে, গত কয়েকদিন ধরে আকাশের মুখ ভার, সারাদিন ধরে টিপ-টিপ, টুপ-টুপ, ঝুপ-ঝুপ, ঝম-ঝম...যখন যেমন ইচ্ছা , জল ঢেলেই চলেছে। "মেঘের কোলে রোদ হেসেছে" বলার আর সুযোগ দিচ্ছে কই?

কিন্তু তাতে কি? মেঘের রঙ কালো হোক বা সাদা, আকাশের রঙ ধূসর বা আসমানি, রোদ হোক সোনা ঝলমল বা ফিকে- মা দুর্গা তো এসেই গেছেন পাঁচ দিনের জন্য। এখন রাস্তায় নেমে আলোমেখে সারারাত ধরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোর, অথবা ঘরের মধ্যেই ভাই-বোন-বন্ধুদের সাথে খেলায় মেতে ওঠ- আনন্দের আর শেষ নেই!!

এদিকে ইচ্ছামতীর তো কিছুদিন আগে পাঁচ বছর পূর্ণ হল। তখন তো বলেই ছিলাম, ইচ্ছামতী তার জন্মদিনের উপহারের এক লম্বা লিস্টি বানিয়েছে। আজ ষষ্ঠীর সকালে, ইচ্ছামতীর দেওয়া তালিকার প্রথম ইচ্ছেপূরণ করলাম।

আজ থেকে ইচ্ছামতী একটু বদলে গেল। ত্রৈমাসিক আর নয় - ইচ্ছামতীতে এখন থেকে বিভিন্ন বিভাগগুলি সারা বছর ধরে নিয়মিত ভাবে নতুন নতুন লেখায় ভরে উঠবে। তবে এখানে একটা মজা আছে ! কোন বিভাগে কবে নতুন লেখা প্রকাশিত হবে, সেটা কিন্তু আগে থেকে জানা যাবে না। তাই নিত্যিনতুন গল্প- কবিতা- ধারাবাহিক, আর অন্যান্য বিভাগের সমস্ত লেখাগুলিকে পড়ার জন্য নিয়মিত দেখা করতে হবে ইচ্ছামতীর সাথে। তবে হ্যাঁ, একটা কথা দিতে পারি, প্রতি সপ্তাহেই নতুন এক বা একাধিক লেখা থাকবে তোমার পড়ার জন্য।

রুটিন মেনে পড়াশোনা বা কাজকর্ম করতে কার আর ভাল লাগে বল? - ইচ্ছামতীরও আর ওই ত্রৈমাসিক রুটিন ভাল লাগছিল না। তাই এই ব্যবস্থা, তার নিজের এবং তার বন্ধুদের জন্য। সে তো খুবই খুশি, তুমিও নিশ্চয় খুশি হলে?

এই নতুন চেহারার, নতুন সাজগোজে, ষষ্ঠির সকালে ইচ্ছামতী তোমার জন্য নিয়ে এসেছে একই সিরিজের তিনটে জমজমাট গল্প, আর বন্ধু দীপায়নের লেখা দুর্গাপুজো নিয়ে দুটো কবিতা। সারাক্ষণ তো আর মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে বেড়াবে না, তাই সময় পেলেই অবশ্যই পড়ে ফেল এই গল্প আর কবিতাগুলো।

তোমার পুজো খুব ভাল কাটুক। নিজের আশেপাশের সমস্ত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দাও তোমার আনন্দ, আর বিলিয়ে দাও অঢেল ভালবাসা।

চাঁদের বুড়ি
১০ই অক্টোবর, ২০১৩
২৩শে আশ্বিন, ১৪২০

কোলাজ সৌজন্যঃ
ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্যি
উদয় শঙ্কর সরকার
অনুভব সোম

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা