সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

সোনা বন্ধু,

আজ শুরু হল এক নতুন বঙ্গাব্দ- ১৪২১। তাই প্রথমেই তোমাকে জানাই শুভ নববর্ষের অনেক ভালবাসা। তার সাথে তোমার পরিবারের সব্বাইকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা।

কিছুদিন আগে বন্ধুদের সবাইকে জানিয়েছিলাম, নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ নিয়ে ছবি এবং লেখা দিতে। ইচ্ছামতীর বেশ কয়েকজন বন্ধু আমাদের দিয়েছে সুন্দর কিছু ছবি। যদিও ইচ্ছামতী ভেবেছিল নববর্ষে আরো অনেক বেশি বন্ধু তাকে ছবি উপহার দিয়ে পাঠাবে। যে কটি এসেছে, সেগুলি সাজিয়ে ইচ্ছামতী দিব্যি এক নববর্ষের ছবি-দিয়ে-গল্পের পাতা সাজিয়েছে। তবে ইচ্ছামতী সবথেকে খুশি হয়েছে তার বন্ধু দীপায়নের উপহার পেয়ে।দীপায়ন যে পয়লা বৈশাখের প্রস্তুতি নিয়ে একটা দারুণ ছড়া লিখেছে তাই নয়, তার সাথে আবার একটা দুর্দান্ত ছবিও এঁকে দিয়েছে।

জানুয়ারি মাসে সবে এল একটা ইংরেজি নিউ ইয়ার, আবার এপ্রিলে এসেই আরেকটা নতুন বছর নিয়ে হইচই- এটা আমার যেমন ছোট্টবেলায় কৌতূহল ছিল, তোমারও নিশ্চয় আছে। আমার মনের মধ্যে যা যা প্রশ্ন উঠে আসত নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ নিয়ে, আমি জানি সেগুলি তোমার মনেও আসে । সেই সব নিয়ে খুব সুন্দর স্মৃতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। আনমনে বিভাগে। পড়ে দেখ - তোমার আজকের নববর্ষের সাথে আমাদের সেই ছোট্টবেলার নববর্ষের কতটা মিল আছে, আর কি-ই বা পালটে গেছে। আর যদি এই নববর্ষ পালনের ইতিহাস একটু ভাল করে জানতে চাও, তাহলে নতুন জামা পড়া আর ভালমন্দ খাওয়ার মাঝে পড়ে দেখ ইচ্ছামতীর ২০০৯ সালের গ্রীষ্ম সংখ্যা থেকে -নববর্ষের গল্প।

ইংরেজি নিউ ইয়ারে নিশ্চয় বন্ধুদের সাথে নতুন বছরের জন্য নানা ধরনের রেজোলিউশন নাও। ওই- ভাল করে পড়াশোনা করব, এই বছরে এই কটা বই পড়ে ফেলতেই হবে, এবার অঙ্কে একশোতে একশো পেতে হবে- এইধরণের সব সঙ্কল্প। বাংলা নববর্ষে অবশ্য আমাদের ওইসব সঙ্কল্প নেওয়ার খুব একটা হুজুগ নেই। আমরা নতুন জামা পরে, ভাল-মন্দ খেয়ে, কাছের মানুষদের সাথে গল্পগুজব করে দিনটা কাটিয়ে দিই। একটু বাংলা গান শুনি, বাঙালি খাবার খাই, খুব বেশি হলে চেনা দোকানে গিয়ে বাড়ির বড়রা একটু কেনাকাটা করে আসেন। এই নববর্ষে বরং চল নতুন কিছু একটা করি। এই নববর্ষে আমরা একটা রেজোলিউশন, বা সঙ্কল্প করি। আজ থেকে আমরা আমাদের ভাষা, বাংলা ভাষাকে আরেকটু বেশি ভালবাসব। বাংলা গল্পের বই আরেকটু বেশি বেশি করে পড়ব। বাংলা ভাষায় বেশি বেশি করে কথা বলব। আমাদের বাঙালিদের যে সব নিজস্বতা, সেগুলিকে ভাল করে জেনে নেব বড়দের কাছ থেকে। নিজেদের বাঙালিয়ানা নিয়ে গর্ববোধ করব, সবসময়। সে আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন- কলকাতা বা মুম্বই, ঢাকা বা নিউ ইয়র্ক।

তোমার আগামি দিনগুলি হোক সুন্দর, আলোয় ভরা, প্রাণের আনন্দে ভরপুর। ইচ্ছামতীর সাথে তোমার বন্ধুত্ব আরো ভাল করে , আরো বেশি করে হোক, এই নববর্ষে আমাদের এটাই ইচ্ছা, এটাই সঙ্কল্প।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা