সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

বড্ড গরম পড়েছে। এতটাই গরম যে দুপুরবেলা কাজে কর্মে বেরোলে গা ঝলসে যাচ্ছে। আচ্ছা, সত্যিই কি এবছর ভাল করে একটা কালবৈশাখী হবে না? কে জানে বাপু। তুমি কেমন আছ বন্ধু, এই গরমে? আমরা তো শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য তরমুজ খাচ্ছি, আমপোড়া শরবত খাচ্ছি। আমপোড়া শরবত খেয়েছ তো? না খেয়ে থাকলে মা'কে বলে একবার খেয়ে দেখ। তোমার দোকান থেকে কেনা পেপসি-কোকাকোলা তার কাছে হেরে ভূত হয়ে যাবে, এমনই ভাল জিনিষ সে। মাঝেমধ্যে দুপুরবেলাম ঠাণ্ডা পান্তাভাত খাচ্ছি, কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে, গন্ধলেবু দিয়ে। এইরে, তুমি বলবে- এমা, কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখে গন্ধ হবে যে! আর পান্তাভাত? সে তো পান্তাবুড়ি খায়, আমরা কেন? আসলে এইসব দিশি, একেবারে আমাদের নিজস্ব খাবার আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। প্রকৃতি মা আমাদের জন্য সারা বছর ধরে ঠিক ঠিক অফুরন্ত খাবার-দাবারের যোগান দিয়ে যান। যে জায়গায় যেটা সহজলভ্য, সেখানে থাকা মানুষ সেইসব জিনিষ দিয়েই যুগ যুগ ধরে নিজেদের শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করেছে, রাখতে পেরেছে। গরমে, বর্ষায়, শীতে ঠিক নিজেদেরকে মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে। শুধু মানুষ কেন, সমস্ত পশু-পাখী গাছপালা, সবাই তাই করে। কথায় বলে, শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়। এ কথাটা কিন্তু একেবারে খাঁটি। এই সাঙ্ঘাতিক গরমেও তাই, যখন মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে, জলের যথেষ্ট যোগান নেই, তাও মরশুমি গাছে ঠিক সময়মত ফুল ফুটছে, ফল ধরছে। আমাদের বাগানের একটা ছোট্ট নয়নতারা গাছও কেমন সুন্দর করে ফুল ফোটাচ্ছে রোজ। সেই ফুলের ছবি এবার দিলাম তোমায়।

এই সপ্তাহে ইচ্ছামতীর পাতায় রয়েছে দুটো নতুন ছড়া, আর আমাদের ছোট্ট বন্ধু অনুপ্রিয়ার আঁকা দুটো ছবি। তুমিও তোমার আঁকা ছবি পাঠিও আমাদের কাছে, কেমন?

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা