সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
বাঘের

এক ছিল ম্যাও রানী সবাই ডাকত পুশি
ইঁদুরেতে রুচি নেই মাছ পেলে খুব খুশি।
কার বাড়ি সরভাজা, কোথাকার পান্তো,
কোথায় হচ্ছে পুলি – পুশি সব জানত।
চুরি করে খাওয়া ছাড়া মন নেই কিছুতে
সারা গ্রাম ঝালাপালা বেড়ালের পিছুতে।
একদিন সহ্যের সীমাখানা ছাড়াতে
লাঠিসোঁটা হাতে সব এল তাকে তাড়াতে।
দাঁড়া ব্যাটা নচ্ছার চুরি তোর ঘোচাবই,
কত ধানে কত চাল আজ তোকে বোঝাবই।
এতদিন মাছ দুধ খেলি করে আহ্লাদ,
পিঠে খেয়ে দেখ দেখি কী রকম তার স্বাদ।
তাড়া খেয়ে শেষে বনে ঢুকে গেল বিল্লি;
গোটা পাড়া সাথে গেল কী চিল্লাচিল্লি!
চেঁচামেচি হৈচৈ জঙ্গল প্রান্তে
বাঘরাজা এল সব বিবরণ জানতে।
সব শুনে বাঘ বলে " সাহস তো কম নয়!
আমার হুকুম ছাড়া কোন ব্যাটা বনে রয়?"
শেয়াল কূলকে বলে, "ভাগ্নেরা শোন তো,
কোথাকার বিল্লু সে ধরে নিয়ে আয় তো।"
হাজির হল সে মেনি ব্যাঘ্রের সামনে;
বাঘ দেখে বলে কিনা, "আমি ভয় পাইনে।
বনের রাজা যে হবে সে কেমন পোক্ত?
একবার মোর সাথে মোকাবিলা কর তো।"

শুনে সকলের হাসি – দম ফেটে যায় যায়,
আপন বুদ্ধি দোষে আপদ এবার যায়।
ঠিক হল কুস্তি আর হবে লাফ ঝাঁপ,
জিতবে যে সেই সেরা, হেরোর হবে না মাফ।
কুস্তিতে বাঘ যেই প্যাঁচ কষে ম্যাওকে
ধরে ফেলে শেয়ালদের কাউকে না কাউকে।
ব্যাঘ্রের থাবা থেকে পুশি খালি ফস্কায়,
ঘেমে নেয়ে জবজবে, রাগে রাজা গজরায়।
"লাফালাফি হোক শুরু", বাঘ বলে, "দেখি তায়,
কী করে আমার চেয়ে ও বেটি বেশি লাফায়?
এক লাফ দিয়ে দেখি কে কোথায় পৌঁছোয়,
একবার মাটি ছেড়ে ফের কোথা মাটি ছোঁয়?"
ছুটে এসে দিল লাফ বাঘমামা প্রাণ পণ;
বেড়াল চড়ল গাছে ডালে ডালে শন্‌শন্‌।
যখন ছুঁল সে মাটি নেমে এসে গাছ বেয়ে
দশ গুণ দূর গেছে পেরিয়ে বাঘের চেয়ে।
ডোরাকাটা রেগে খুন, "এটা কীরকম হল?"
ম্যাও বলে, "মেনেছি তো শর্ত যেমন ছিল।"
মানে হার বাঘরাজা, মুখ কোথা ঢাকবে?
মেনি বলে, "আজ থেকে 'মাসি' বলে ডাকবে।"

 

ছবিঃ রাখি পুরকায়স্থ

সোদপুর, কলকাতার বাসিন্দা শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটদের এবং বড়দের জন্য বিভিন্ন পত্রিপত্রিকায় লেখেন। এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি এবং ভ্রমণ বিষয়ে ব্লগ লিখতে ভালবাসেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা