সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
দাদু ও নাতনীরা

বড় নাতনি : দাদু,তোমার মুখটা কেমন
লাগছে বুড়ো,বুড়ো ?
কোটরে চোখ,ভাঁজ গালেতে,
চুলটা উড়ো উড়ো !

দাদু: বয়েস হলো,অনেক গুলো,
ষাট গেল পেরিয়ে,
তোর মাম্মি,আমার মেয়ে,
তবু আছি দেখ দাঁড়িয়ে।

ছোট নাতনিঃতুমি কেন আমার মত 
পড়া লেখা করো না ?
যাওনা স্কুল,কাঁধে তোমার 
বইয়ের বোঝা ধরো না ?
নেই কো টিচার,আচার বিচার,
পড়া শোনার বালাই,
বড় অবাধ্য,নেই সাধ্য
কেমনে তোমায় চালাই ?

বড় নাতনিঃ দিদার কথা শোন না কো,
ঝগড়া শুধু করবে,
এটা নয়,ওটাও নয়--
কেবল বায়না ধরবে !

দাদু : দিদুন আমায় ধমকায়--
দেখিস না সে দৃশ্য ?
ঠাকুর ঘরে দেয়না যেতে
আমি কি অস্পৃশ্য ?

বড় নাতনী: ও দাদু ! কাঁদছ না কি--
চোখ করছে ছলছল ?
দাদু: সময় যাচ্ছে,বয়েস হচ্ছে-- 
হচ্ছি আমি দুর্বল।

ছোট নাতনী:কেঁদো না, সবাইকে আমি 
দেবো ভীষণ বকে,
দেখবে তখন তোমার জন্যে
দিদুনেরও জল চোখে!

             
তাপস কিরণ রায় অর্থশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন। স্কুলে শিক্ষকতা করেন বেশ কিছু বছর। পরে আয়কর বিভাগে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি মধ্য প্রদেশের জবলপুর শহরে বাস করেন। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি করেন। ছোটদের এবং বড়দের জন্য লেখা তাঁর অনেকগুলি বই-ও প্রকাশিত হয়েছে।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা