সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
roopkunder-haatchhani

এবার রাস্তা কিন্তু এই মাঠের মধ্যে দিয়েই গেছে। মাঠটা যেন আস্তে আস্তে ওপর দিকে উঠেছে। চারিদিকে গাছপালা বেশ কমে এসেছে। বুঝলাম আমরা বুগিয়ালের জমিদারিতে ঢুকে পড়েছি। আরও খানিকটা পথ এগিয়ে একটা জায়গায়, মাঠটা যেন গোল আকার ধারণ করেছে। তার এক দিকটা একটু উচু। তারপাশে খানিকটা জায়গায় জল জমে আছে। আমরা বসে পড়লাম। একটু পরেই হরিশ ও কুমার এল। দুর থেকে মানুষের গলার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। আমি খুব আশ্চর্য হয়ে গঙ্গাকে জিজ্ঞাসা করলাম "এখানে মানুষ থাকে"? ও জানালো এই সময় গরু মোষকে ঘাস খাওয়াতে, নীচের থেকে কিছু লোক এসে ছোট ছোট ঝুপড়ি করে এইসব জায়গায় দু'এক মাস থাকে। একটু পরেই দেখলাম তিনজন মহিলা, তিন-চারটে বাচ্চা ও খানচারেক মোষ নিয়ে আসছে। অনেক আগে থেকেই লক্ষ্য করেছি, এখানকার সমস্ত মেয়েরা কালো রঙের পোষাক পরে। পোষাক বলতে গলা থেকে পা পর্যন্ত কালো রঙের ফ্রক বলা-ই বোধহয় ঠিক হবে। তার থেকেও লক্ষ্য করার বিষয়, এই সব এলাকার কোন পুরুষ, বলতে গেলে কোন কাজ করে না। অন্তত আমি তো দেখলাম না। যাদের ঘরের সাথে দোকান মতো আছে, তারা দোকানে বসে ভেড়ার লোম পাকায়। আর যাদের তা নেই, তারা রাস্তাঘাটে, বা বাড়ির সামনে বসে লোম পাকায়। আর মেয়েরা পিঠে বিরাট বেতের ঝোড়া নিয়ে, গাছের পাতা নিয়ে আসে নিজেদের গরু মোষের জন্য। বনজঙ্গলে চড়াই উতরাই ভেঙ্গে, গাছের শুকনো ডালপালা যোগাড় করে বয়ে আনে। কাঠের বোঝার ভারে তাদের শরীর বেঁকে যায়। তাদের অনেকেরই মুখের দিকে তাকালে সহজেই অনুমান করা যায় যে, অন্তত ষাটটা বসন্ত তারা হিমালয়ের কোলে কাটিয়ে দিয়েছে। বনের কাঠ, পাতা সংগ্রহ করে আনা ছাড়াও, তাদের খেতের কাজও করতে হয়। মনটা হুহু করে উঠলো গঙ্গার দেওয়া প্রস্তাবে সাড়া দেবার জন্য। একবার এ অঞ্চলের একটা মেয়েকে সাদি করতে পারলে, আর আমাকে পায় কে? সারা জীবন বসে বসে খাওয়া। নেই কোন চিন্তা, টাকা রোজগারের ধান্দা, শারীরিক পরিশ্রম। আহা কী সুখের জীবন। শুধু একটু ভেড়ার লোম পাকানো শিখে নিতে পারলে, আর কোন ঝামেলা নেই। বছরে দু'তিনটে কালো ফ্রক? তা আর কিনে দিতে পারবো না? তাহলে পুরুষ কিসের? যাহোক্ এই তিনজন মহিলা ও তাদের বাচ্চাদের দলটা এসে আমাদের সামনে একটা উচু জায়গায় বসলো। বাচ্চাগুলো ছোটাছুটি করে খেলা করতে শুরু করে দিল। মহিলারা অবাক হয়ে আমাদের লক্ষ্য করছে। কিছুক্ষণ পরে ওরা মোষগুলোকে নিয়ে, যেদিক থেকে এসেছিল, সেই দিকেই ফিরে গেল।

গঙ্গা বললো তাকে পঁচিশটা টাকা দিতে। সামনের কোন ঝুপড়ি থেকে ঘি পাওয়া গেলে, কিনে নিয়ে আসবে। আলি বুগিয়ালের গেষ্ট হাউস সামনেই, কুমার ও হরিশ আমাদের সঙ্গে যাবে। গঙ্গা ঘি নিয়ে সোজা গেষ্ট হাউসে চলে যাবে। শেষ মুহুর্তে ওকে কাছ ছাড়া করতে ইচ্ছা না থাকলেও ঘিয়ের লোভে তাকে টাকা দিয়ে, হরিশ ও কুমারকে নিয়ে এগলাম। হরিশ জানালো আজ আর কোন চড়াই এর রাস্তা নেই। গাছপালা কমতে কমতে, এখন একবারে ফাঁকা হয়ে গেছে। এত সুন্দর জায়গা এর আগে কোনদিন কোথাও দেখি নি।

গত বৎসর হিমাচল প্রদেশের খাজিয়ারে, অসামান্য সুন্দর একটা বিশাল মাঠের মতো বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখেছিলাম। চারপাশে গাছ দিয়ে ঘেরা জায়গাটার পাগল করা সৌন্দর্য, আমাকে ভীষণ ভাবে মুগ্ধ করেছিল। কিন্তু এখানকার সৌন্দর্যর কাছে খাজিয়ারকে অতি সাধারণ বলে মনে হ'ল। যেদিকে যতদুর চোখ যায়, শুধু ঢেউ খেলানো মাঠ। কোথাও কোন গাছ নেই। মাঠের ওপর ধনে বা মৌরী গাছের মতো পাতা, ঘাসের মতো জন্মে আছে। পাতাগুলো একবারে মাঠের সাথে লেপ্টে আছে, আর তার থেকে ইঞ্চি দুই-তিন উচুতে, সুতোর মতো সরু ডাঁটায়, ছোট্ট ছোট্ট ফুল মাথা তুলে হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। কতরকম যে তাদের রঙ বলতে পারবো না। বড় আকারের একটাও ফুল নেই। ছোট্ট ছোট্ট চার পাপড়ির ফুল। লাল, নীল, হলুদ, বেগুনী, সাদা, মেরুণ, আরও কত অদ্ভুত সব রঙ। যতদুর চোখ যায়, সবুজ জমির ওপর নানা রঙের ফুল হাওয়ায় দুলছে। যেন সবুজ চাদরের ওপর নানা রঙের ফুলের কাজ করা হয়েছে। কত বর্গমাইল এলাকা নিয়ে এই এক সৌন্দর্য বিরাজ করছে জানি না। এই সুন্দর সবুজ কার্পেটের মতো মাঠের ওপর দিয়ে ফুল মাড়িয়ে আমরা চলেছি। ফুলগুলো পায়ের চাপে নষ্ট হচ্ছে। তবে এটাই যে পথ, এ ছাড়া উপায়ই বা কী ?

roopkunder-haatchhani

একসাথে কিন্তু বহুদুরের মাঠ দেখা যায় না। কারণ এই মাঠের মতো জায়গাটা আস্তে আস্তে উপরে উঠে, আবার আস্তে আস্তে নীচে নেমেছে। আবার উঠেছে, আবার নেমেছে। এই মুহুর্তে আমি সঠিক বলতে পারবো না, ভ্যালি অফ্ ফ্লাওয়ার্স বেশী সুন্দর, না এই আলি বুগিয়াল। ঘন সাদা মেঘে চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে গেল। দু'হাত দুরের জিনিস, শত চেষ্টা করেও দেখা যাচ্ছে না। মধ্যে মধ্যে অবশ্য আকাশ কিছুটা পরিস্কার হচ্ছে, তবে তাকে ঠিক পরিস্কার হওয়া বলা যায় না। বরং একটু পাতলা হচ্ছে বলা বোধহয় ঠিক হবে। প্রথমে হরিশ, কারণ ওই একমাত্র পথ চেনে, তারপরে আমি, আমার পিছনে কুমার, তার সাথে সিতাংশু। সিতাংশুর গায়ে একটা ফুলহাতা জামা, আর আমার একটা হাফহাতা জামা সম্বল। এদিকে এখানে অসম্ভব রকমের ঠান্ডা। তার উপর এই সর্বনাশা মেঘ আমাদের আধভেজা করে ছাড়ছে। হাতের লোমকুপ-এ সাদা সাদা, বিন্দু বিন্দু, জলের মতো কী একটা জমেছে। প্রথমে ভেবেছিলাম বরফ। মেঘের জন্যই হয়তো মেঘের রঙের সাদা জলকণা, বিন্দু বিন্দু হয়ে জমছে। ঠান্ডা লাগছে ঠিকই, তবে আমার কিন্তু চারিদিকের এই সৌন্দর্য আর অদ্ভুত পরিবেশে, তেমন কোন কষ্ট হচ্ছে না। কুমার অনেক পিছিয়ে পড়েছে। আবার, আমার থেকে হরিশ ও সিতাংশু অনেক এগিয়ে গিয়েছে। রাস্তা প্রায় সমতল, ফলে এক ঠান্ডা আর উৎপাতে মেঘ ছাড়া, হাঁটায় কোন কষ্ট নেই। আমি খুব আস্তে আস্তে আশপাশের প্রত্যেকটা নতুন ফুলকে লক্ষ্য করতে করতে চলেছি। সামনে বা পিছনে আমার সঙ্গীদের, মেঘের জন্য আর দেখা যাচ্ছে না। দুর থেকে আমার উদ্দেশ্যে সিতাংশুর চিৎকার শুনলাম। আমিও চিৎকার করে সাড়া দিলাম। ও আবার চিৎকার করে আমাকে কোন দিক দিয়ে এগতে হবে নির্দেশ দিল। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি ওরা একটা উচু মতো জায়গায়, আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সিতাংশু আমাকে আরও তাড়াতাড়ি হাঁটতে বললো। ওর এই এক দোষ। ওকে দেখে মনে হয়, ও যেন হাঁটা প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে এসেছে, এবং প্রথম পুরস্কারই ওর একমাত্র লক্ষ্য। ওদের কাছাকাছি এসে দেখি আমার চেনা নীল আর বেগুনী রঙের গোল গোল একরকম ফুল। অনেকটা এখানকার বনবেগুন ফলের মতো আকার। এই ফুল ভ্যালি অফ্ ফ্লাওয়ার্সে, জোয়ান মার্গারেট লেগির কবরের পাশে অজস্র দেখেছি। আমি সিতাংশুকে বললাম ফুলটা ভাল করে দেখতে। ও খুব বিরক্তি প্রকাশ করে, ফুলের প্রতি কোনরকম আগ্রহ না দেখিয়ে, মুখ বেঁকিয়ে এগিয়ে চললো। আমি ভেবে পেলাম না যে, যে জায়গাটায় শুধু সবুজ মাঠ আর ফুলই একমাত্র দেখবার বস্তু, সেখানে সেটার প্রতি আগ্রহ না থাকলে, এত কষ্ট করে আসার প্রয়োজনটা কী। আর যখন আমরা আমাদের আজকের যাত্রার শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেই গেছি, তখন এত তাড়াতাড়ি করে, প্রায় ছুটে কোন দিকে না তাকিয়ে হাঁটার অর্থই বা কী? তবে কী শুধু হাঁটার জন্যই হাঁটা? আমার ভীষণ খারাপ লাগলো। আমি ঐ ফুলগুলো কিছু তুলে পকেটে রেখে দিলাম। ওর হাঁটার গতি আরও বাড়লো। আমি কিন্তু আমার গতি অপরিবর্তিত রেখে, আগের মতোই চারিদিকের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রেখে এগিয়ে চললাম। আমি দেখতে এসেছি, দীর্ঘতম পথ দ্রুততম গতিতে হাঁটার কোন রেকর্ড গড়তে নয়। ওদের আর আমার মধ্যে ঘন সাদা মেঘ, সব সময়েই একটা প্রাচীর সৃষ্টি করে রেখেছে। পিছনে কুমার কত দুরে আছে জানি না। সিতাংশুর একটা বিরক্তিপূর্ণ চিৎকার শুনলাম। ও বোধহয় আমাকে ওর সাথে দৌড়ে পাল্লা দিতে আহ্বান জানাচ্ছে। আমি একই গতিতে এগিয়ে গিয়ে দেখি ওরা দাঁড়িয়ে আছে। আমি বললাম কুমারকে অনেকক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, ওর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো। ওরা দাঁড়িয়ে রইলো। আমি সিতাংশুকে তুলে আনা ফুলগুলো দেখালাম। ও জানালো ওর ফুল দেখার আগ্রহ ও ক্ষমতা, কোনটাই নেই। ঠান্ডায় ওর হাতদু'টো জমে গেছে। ও তাড়াতাড়ি গেষ্ট হাউসে যেতে চায়। হরিশের সঙ্গে আমরা দু'জনে গেষ্ট হাউসে চলে যেতেই পারি, কিন্তু আমাদের দু'জনের মতো কুমারও এপথ চেনে না। তাছাড়া ওর পিঠে অনেক মাল আছে। আমি বললাম ঠান্ডা আছে ঠিকই, তবে এত কষ্ট পাওয়ার মতো ঠান্ডা তো নয়। ও বেশ বিরক্ত হয়ে বললো ওর সারা শরীর ঠিক আছে, শুধু ওর হাত দু'টো অকেজো হয়ে গেছে। হাতের লাঠিটার ওপর হাত দু'টো ঘষে ঘষে, হাত দু'টোকে সতেজ রাখার চেষ্টা করছে। হঠাৎ অনেক দুরে কুমারকে দেখা গেল। ও একপাশে মালপত্র নামিয়ে বিশ্রাম নিতে বসলো। আমরা চিৎকার করে ওকে এগিয়ে আসতে বলে, নিজেরা হাঁটতে শুরু করলাম। এঁকেবেঁকে আরও অনেকক্ষণ হাঁটার পরে, আমরা মেঘের দেশের প্রাসাদপুরী, গেষ্ট হাউসে এসে পৌঁছলাম।

দুর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল ফাঁকা মাঠের ওপর একটা পাকা বাড়ি। লোহাজঙ্গ গেষ্ট হাউসের মতো না হলেও, প্রায় ঐ জাতীয়ই বাংলো। রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করে তার আসল রূপ দেখলাম। দুটো সিঁড়ি ভেঙ্গে অল্প চওড়া একটা বারান্দা মতো জায়গায় উঠতে হবে। বারান্দার সামনে ও বাঁপাশে দুটো দরজা। সামনের দরজা দিয়ে ঢুকে বড় ঘর। বারান্দার ডানপাশে বড় ঘরের একমাত্র জানালা। বড় ঘরে ঢুকেই বাঁপাশে পর পর দুটো দরজা। প্রথম দরজা দিয়ে ঢুকলে, একটা পরিত্যক্ত ঘর। ঘরটার দুটো দরজা। একটা বড় ঘরের মধ্যে, আর একটা বারান্দার বাঁপাশে। বড় ঘরের পরের দরজাটা দিয়ে ঢুকলে, দরজার সোজাসুজি একটু ওপরে একটা জানালা। জানালাটা ভাঙ্গা। আর এই ঘরটায় ঢুকে ডানপাশে বাইরের মাঠে বেরিয়ে যাবার জন্য একটা দরজা। এই ঘরটার মধ্যেখানে খানিকটা জায়গার মাটি কালো হয়ে আছে। কিছু পাইন গাছের পাতার মতো শুকনো পাতা পড়ে আছে। আর আছে ছোট্ট ছোট্ট গোটা দু'তিন শুকনো কাঠের টুকরো, আর খানকয়েক পাথর। অর্থাৎ কোন সন্দেহ নেই যে এটা রান্নাঘর। জানালার ডানপাশের দেওয়ালে একটা তাক। বড় ঘরেও, একবারে ছোট, ভাঙ্গা ও পরিত্যক্ত হলেও দু'দু'টো দেওয়াল তাক আছে। না, দেওয়াল তাক নয়, দেওয়াল আলমারি। তাক দু'টো ভাঙ্গা হলেও, পাল্লা দুটো আজও তাদের অতীত ঐতিহ্যের সাক্ষ বহণ করছে।

ছোটবেলা থেকে মাঠে, ঘাটে, জলাজঙ্গলে ঘুরে ঘুরে ফড়িং, প্রজাপতি, মাছ, পশুপাখি, গাছের সাথে সখ্যতা। একটু বড় হয়ে স্কুল, এবং তারপরে কলেজ পালানোর নেশায় এর ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি পাওয়ায়, অনেক নতুন ও অদ্ভুত সব মানুষের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ ঘটে। পরবর্তীকালে ছত্রিশ বছরের কর্মজীবনে ও ভ্রমণের নেশায় আরও বিচিত্র চরিত্রের মানুষ, বিচিত্র সংস্কার, বিচিত্র জায়গা দেখার ও বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ ঘটে। সুবীর কুমার রায় কর্ম সুত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অফিসার ছিলেন। নেশা ভ্রমণ ও লেখা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা