সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

রূপকুন্ডে আসবার সময় লক্ষ্য করেছি বগুয়াবাসা থেকে প্রায় রূপকুন্ড পর্যন্ত পথের ধারে ধারে, ব্রহ্মকমল ফুটে আছে। কিন্তু প্রায় সব ফুলই মাকড়সার গুটির মতো সাদা একটা আবরণে ঢাকা। কী কারণ, জিনিসটাই বা কী, জানি না। এতদিনের স্বপ্ন, রূপকুন্ড দেখে মন ভরে নি। সিতাংশুর হাঁটার গতি অনেক কমে গেছে। মনে মনে ভাবছি ও মণিমহেশ গেলে কী করবে? এ পথে তবু অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে, মণিমহেশে তো তাও নেই। মনে মনে একটা দুর্ভাবনা, সত্যি যদি ও আর কোথাও যেতে না চায়? অনেকটা পথ নেমে এসেছি। এখন শুধু উতরাই এর পথ, কাজেই হাঁটতে কোন কষ্ট নেই। এবার একটা ঢালু বড় পাথরের ওপর দিয়ে নামতে হবে। আসার সময় ওটার ওপর দিয়েই হেঁটে গেছিলাম। পাথরটার ওপর পা দিয়েই পা পিছলে আছাড় খেলাম। কোন রকমে সামলে নিয়ে সিতাংশুকে সাবধান করে দিলাম। পাথরটার ওপর একটা হাল্কা শ্যাওলার আস্তরণ, ওপর থেকে দেখাও যায় না, বোঝাও যায় না। তবে ভীষণ পিচ্ছিল, একটু নেমেই আবার আছাড় খেলাম। এবার কিন্তু অনেকটা গড়িয়ে পড়লাম। ভয়ের কোন কারণ নেই, কারণ জায়গাটায় খাদ নামক বিপজ্জনক বস্তুটি নেই। তবে এবার দাঁড়িয়ে উঠে বুঝলাম, হাঁটুর নীচে বেশ খানিকটা জায়গা কেটে গেছে। অথচ প্যান্টের কোথাও ছেঁড়েনি। সিতাংশু আমাকে সাবধানে নামতে বললো। ওদের কাউকে আর জানালাম না যে, আমার পা কেটে গেছে। কাটা জায়গাটা বেশ জ্বালা করছে। আস্তে আস্তে একসময় সেই গ্লেসিয়ার দু'টো পার হয়ে গেলাম। এবার কিন্তু আগের মতো অতটা অসুবিধা হ'ল না। এঁকেবেঁকে একসময় বগুয়াবাসা গুহার সামনে এসে হাজির হ'লাম।

অসম্ভব খিদে পেয়েছে। সকাল থেকে এক কাপ চা পর্যন্ত খাওয়া হয় নি। এসে দেখলাম সকালের খাবার তো দুরের কথা, কফির ব্যবস্থাও হরিশ করে রাখে নি। আমি আর সিতাংশু গুহার বেডরুমে ঢুকে, টানটান হয়ে শুয়ে পড়লাম। যাবার সময় আমার এত কষ্ট হ'ল, অথচ এখন দেখছি সিতাংশু আমার থেকে অনেক বেশী কাহিল হয়ে পড়েছে। ব্যাগ থেকে বাদাম বার করে চিবতে শুরু করলাম। হাত বাড়িয়ে সিতাংশুকেও দিলাম। ও অতি কষ্টে হাত পেতে নিল। একটু পরে কুমার কফি দিয়ে গেল। সিতাংশুকে দেখে মনে হ'ল ও ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি কাত হয়ে শুয়ে শুয়ে কোনমতে কফি খেলাম। সিতাংশু কিন্তু কাতও হ'ল না, কফিও খেল না। একবার ডাকলাম, কিন্তু কোন উত্তর পেলাম না। আমিও চোখ বুজে শুয়ে রইলাম। কতক্ষণ শুয়ে ছিলাম জানিনা। আমরা দু'জনেই বোধহয় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গঙ্গার ডাকে উঠে পড়লাম বটে, কিন্তু আর হাঁটতে ইচ্ছা করছে না। হাঁটবার শক্তিও যেন নেই। সিতাংশুর ওঠার ভঙ্গি দেখে বুঝলাম, ওর অবস্থাও খুবই খারাপ। বিস্কুট বার করে ওকে দিলাম। মালপত্র বাঁধাছাদা গঙ্গারাই করলো। আস্তে আস্তে গুহা থেকে বার হয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ালাম। শুরু হ'ল পথ চলা। যদিও জানি এবার শুধু উতরাই এর পথ, কাজেই কষ্টও কম এবং খানিকটা হাঁটলেই, আবার হাঁটার ক্ষমতা ও ইচ্ছা ফিরে পাওয়া যাবে। রাস্তা এখন সমতল, তাই হাঁটতে বিশেষ কষ্ট হচ্ছে না। পথে হরিশ ও কুমারের কথাবার্তায় মনে হ'ল, ওদের মধ্যে কোন অশান্তি হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা কী জানতে পারলাম না। গঙ্গাকে জিজ্ঞাসা করলাম "আজ রাতে আমরা কোথায় থাকবো"? ও বললো, আজ রাতে বৈদিনীতে থাকাই ভাল হবে। সিতাংশু তার অবসন্ন দেহে একবার মাথা নাড়লো। মনে হ'ল ও বোধহয় রাজী হয়ে গেল। আমার কিন্তু তিন তাল ও পিন্ডারীর কথা মাথায় রেখে, আজ আরও এগিয়ে যাবার ইচ্ছা। তাছাড়া বৈদিনী বুগিয়াল তো খুব বেশী দুরের পথও নয়। যাইহোক, সেই পুরানো, আধা চেনা পথ ভেঙ্গে, আস্তে আস্তে একসময় আমরা বৈদিনী বুগিয়াল এসে পৌঁছলাম। সারা রাস্তা হরিশ, কুমারের থেকে একটা ব্যবধান রেখে হেঁটে আসলো। বৈদিনীতে থাকার বাংলোটা, আলি বুগিয়ালের থেকে ভাল নয়। অন্তত বাইরে থেকে আমার তো তাই মনে হ'ল। এখানে মাঠে বসে আমরা ছাতু মেখে খেলাম। আজ কেন রুটি তৈরী করেনি বুঝলাম না। গঙ্গাকে আড়ালে ডেকে কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করলাম। সে জানালো, হরিশ আমাদের ব্যাগ থেকে সিগারেট, বিস্কুট ইত্যাদি নিয়েছে। গঙ্গা সেটা জানতে পেরে হরিশকে বলেছে, "বাবুরা তো সবকিছু আমাদের না চাইতেই দিয়েছে, তবে তুমি কেন চুরি করবে"? এই নিয়ে ওদের মধ্যে অশান্তি হয়েছে। আমি গঙ্গাকে বললাম ওসব ছেড়ে দাও, ও যে নিয়েছে আমরা বুঝতেও পারিনি। ওর কিছু প্রয়োজন হলে আমায় বলতে বলবে। গঙ্গা বললো, হরিশের এই স্বভাবের জন্য তার বদনাম হবে। এ লাইনে একবার কারো নামে বদনাম হলে, কোন খদ্দের তাকে বিশ্বাস করতে চায় না। আমি তাকে এই ব্যাপারটা ভুলে যেতে বললাম।


বৈদিনী বুগিয়াল

এখানে একদল নতুন যাত্রীর সাথে আলাপ হ'ল। চার-পাঁচ জনের একটা দল। শ্র্রীরামপুর, চন্দননগর ইত্যাদি জায়গা থেকে এসেছে। সঙ্গে চারজন কুলি। এদের গাইড রাম সিং। ওরা সঙ্গে আইস অ্যাক্স্, ছোট ছোট টেন্ট্, ইত্যাদি অনেক কিছু পাহাড়ী উপকরণ ও বিস্তর শুকনো খাবার নিয়ে এসেছে। কোন বিস্কুট কোম্পানী তাদের বিস্কুটের টিন দিয়েছে। আরও অনেকের কাছ থেকে তারা অনেক সাহায্য পেয়েছে। এইসব কথা, তাদের দলের একজনের কাছেই শুনলাম। আমরা সারা পথে বাদাম, অল্প বিস্কুট চিবিয়ে কাটিয়েছি। এরা দু'টো বিস্কুটের মধ্যে কোনটায় মাখন, কোনটায় ক্রীম, কোনটায় জ্যাম ইত্যাদি দিয়ে নিজেরাও খেল, আমাদেরও দিল। ওদের মধ্যে দু'জনের খুব বড় বড় কথা, আমাদের তারা বিভিন্ন জায়গার নাম উল্লেখ করে জানতে চাইলো, আমরা এই টুরে সেইসব জায়গা গেছি কিনা, বা যাবার প্ল্যান আছে কিনা। অনেক জায়গার নামই আমরা শুনি নি। তারা বিজ্ঞের হাসি হেসে, প্র্রায় বিদ্রুপ করেই বললো, তাহলে এ পথে আসলেন কেন? তাদের কথাবার্তার ধরণ ও ভাবভঙ্গী দেখে মনে হবে, যেন তারা এভারেষ্ট সমেত সমস্ত হিমালয় জয় করে, এখানে এসেছে, উল্লিখিত জায়গাগুলো জয় করে কোর্স কমপ্লিট করতে। আমাদের সাথে আইস অ্যাক্স্ নেই, তাঁবু নেই, এমন কী যথেষ্ট খাবার দাবার নেই শুনে, তারা আর এক দফা বিদ্রুপের হাসি হাসলো। ওরা আজ রাতটা এখানেই থাকবে, তাই কোথায় তাঁবু ফেলা হবে, তাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। হাবভাব দেখে মনে হ'ল, এভারেষ্ট জয়ের পথে বেস্ ক্যাম্পে রাত্রিবাসের আয়োজন। আমার এদের সঙ্গ আর ভাল লাগলো না। এখনও আমাদের হাতে অনেক সময় আছে। কাজেই "ওয়ান" গ্রামে চলে যাওয়াই স্থির করে ফেললাম।

একটু পরে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, আমরা আবার নিজেদের রাস্তা ধরলাম। বৈদিনী খুবই সুন্দরী সন্দেহ নেই, তবে আলি বুগিয়ালের মতো সুন্দরী সে মোটেই নয়, এ কথা হলফ্ করে বলতে পারি। বেশ কিছুটা পথ এসে, একটা সরু খালের মতো জায়গা দিয়ে আসতে হ'ল। অল্প একটু পথ। খালটার ওপরে বাঁপাশের গাছের শুকনো পাতা পড়ে পড়ে, ভরাট হয়ে গেছে। অবশ্য খালের মতো দেখতে হলেও, ওটা আসলে খাল নয়, জলও নেই। যেন খানিকটা জায়গার মাটি কেটে, কেউ নালার মতো তৈরী করেছে। আর তার ভিতর শুকনো পাতা পড়ে পড়ে, সেটা ভরাট হয়ে গেছে। খাল বা নালাটার বাঁপাশে অনেক গাছ আছে, আর সেইসব গাছের ঝরে পড়া শুকনো পাতায়, সেটা ভর্তি হয়ে গেছে। জায়গাটা একটু স্যাঁতসেঁতে। ওটার ওপর দিয়ে হাঁটার সময়, মনে হচ্ছে যেন কোন স্পঞ্জ দিয়ে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। লাফাতে লাফাতে, নাচতে নাচতে, পার হতে হয়। এর ওপরেই গঙ্গা একটা জোঁক হাতে তুলে আমায় দেখিয়ে বললো, জোঁক দেখতে চেয়েছিলেন, এই দেখুন আপনার জোঁক। আশ্চর্য, ওর জোঁকের ব্যাপারটা মনেও আছে? নন্দদার সাবধান বাণী মনে হতেই সচেতন হয়ে গেলাম। কিন্তু একটা জোঁককেও পায়ে বা কোথাও রক্ত খাওয়ার জন্য কামড়াতে দেখলাম না। গঙ্গা বললো এ জায়গায় এখন যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে এখনি শ'য়ে শ'য়ে জোঁক এসে হাজির হবে। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্যই হোক বা দুর্ভাগ্যই হোক, বৃষ্টিও হ'ল না, জোঁকও দেখা হ'ল না। কিন্তু আর কিছুটা পথ যাবার পরই মুষলধারে বৃষ্টি আসলো। অতর্কিতে এত জোরে বৃষ্টি আসলো যে, ওয়াটার প্রুফ বার করে গায়ে দেবার সময় পর্যন্ত পেলাম না। হাতের কাছে বগুয়াবাসার গুহায় পাতা, ভাঁজকরা পলিথিন সিটটা ব্যাগে ছিল। আমি সামনে, সিতাংশু পিছনে দু'হাত বাড়িয়ে পলিথিনটাকে ধরে ছাদের মতো তৈরী করে, সরু রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। সরু রাস্তাটার ডান পাশটায় গোলাপ গাছের মতো কী একটা কাঁটা যুক্ত গাছের জঙ্গল। অনেকটা রাস্তার পাশে লাইন দিয়ে ঐ গাছের ঘন জঙ্গল। ঐ গাছের কাঁটায় পলিথিন সিটটা বার বার আটকে গিয়ে, অনেক জায়গায় ছিঁড়ে গেল। আমাদের হাতেও অনেক জায়গায় ছড়ে গেল। এইভাবে কিছুটা পথ গিয়ে বুঝলাম, মাথার ওপর কষ্ট করে ওটা ধরে রাখার কোন মানে হয় না। আমরা একদম ভিজে গেছি, বৃষ্টিও অসম্ভব জোরে পড়ছে। ভীষণ ঠান্ডা, তার ওপর এভাবে হাঁটতেও খুব অসুবিধা হচ্ছে, হাঁটার গতিও কমে যাচ্ছে। গাইড-কুলিরা আমাদের থেকে বিশ-পঁচিশ হাত পিছনে মালপত্র নিয়ে ভিজে ভিজে আসছে। আমরা বাধ্য হয়ে পলিথিন সিট্ মুড়ে ফেলে, হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলাম। তাতে কী লাভ হ'ল অবশ্য নিজেরাও জানিনা। চোখে মুখে বৃষ্টির জলে ছুঁচ ফোটার মতো বোধ হচ্ছে। হান্টার সু-এর ভিতরে জল ঢুকে, নতুনদার পাম্প সু-এর আকার নিয়েছে। এইভাবে অনেকটা পথ প্রায় দৌড়ে আমরা প্রায় আট হাজার ফুট উচ্চতায়, ওয়ান ডাকবাংলোয় এসে উপস্থিত হ'লাম।

বাংলোয় কাউকে দেখা গেল না। গঙ্গারাও এসে হাজির হ'ল। কেয়ারটেকারের দেখা পাওয়া গেল না। দরজায় ছোট্ট একটা তালা লাগিয়ে, সে কোথায় গেছে কে জানে। গঙ্গা সময় নষ্ট না করে, তার বা পেরেক জাতীয় কিছু দিয়ে দিব্বি বাংলোর তালা খুলে ফেললো। আমরা ভিতরে ঢুকে সমস্ত জামা কাপড় খুলে, ভিজে জাঙ্গিয়া পরে ব্যাগ থেকে একে একে সমস্ত জিনিস বার করে, মেঝেতে রাখলাম। খাবার জিনিস সবই পলিথিন প্যাকে আছে, তাই ওগুলো খুব একটা ভিজতে পারেনি। তবে একটা জামা কাপড়ও শুকনো নেই। এমনকি মোটা মিলিটারি কাপড়ের পাশ বালিশের মতো ব্যাগগুলো পর্যন্ত, ভিজে চপচপ্ করছে। সব কিছু ভাল করে চিপে, দড়ি টাঙ্গিয়ে, তাতে শুকতে দেওয়া হ'ল। ওদের ও আমাদের এত কিছু টাঙ্গাবার মতো দড়ির অভাব দেখা দিল। বৃষ্টি এখনও অবিরাম পড়ে যাচ্ছে। আমরা খালি গায়ে, ভিজে জাঙ্গিয়া পরে বসে রইলাম। গঙ্গা সম্ভবত বাংলোর কাঠ এনে, আগুন জ্বালালো। এর মধ্যে বাংলোর কেয়ারটেকার এসে উপস্থিত হ'ল। বাংলোর তালা খোলা নিয়ে সে একটা প্রশ্নও করলো না, বরং গঙ্গা কফি তৈরী করছে দেখে, পরম উৎসাহে গঙ্গার সাহায্যে, কাজে হাত লাগালো। আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে চিঠি লিখলাম। এখানে ডাকবাক্সে চিঠি ফেলার ব্যবস্থা আছে, তবে সে চিঠি যাবে কী না, বা গেলেও ক'বছরে যাবে, বলতে পারবো না। ওয়ান বেশ বড় গ্রাম। গঙ্গা কফি দিয়ে গেল। শুয়ে শুয়ে গরম কফিতে চুমুক দিয়ে ভাবতে লাগলাম, গতকাল রাতে যদি এই বৃষ্টি হ'ত, তাহলে আমরা বোধহয় কোনমতেই বেঁচে ফিরতাম না। সাড়ে চোদ্দ হাজার ফুট উচ্চতায় বৃষ্টি মানেই তুষারবৃষ্টি। বগুয়াবাসার গুহায় পলিথিন সিট্ আমাদের বৃষ্টি বা তুষারপাতের হাত থেকে রক্ষা করতে পারতো না। বৈদিনীতে একটু আগের দেখা দলটার কী অবস্থা কে জানে। গঙ্গা কাঠের আগুনে আমাদের সমস্ত ভিজে জিনিস শুকতে বসে গেল। হরিশ, কুমার ও এই বাংলোর কেয়ার টেকারও, এই কাজে হাত লাগালো। আমরা শুয়ে বসে বিশ্রাম নিতে লাগলাম।


ছবিঃত্রিপর্ণা মাইতি
ফটোগ্রাফঃ রূপকুন্ড ডট কম, উইকিপিডিয়া

ছোটবেলা থেকে মাঠে, ঘাটে, জলাজঙ্গলে ঘুরে ঘুরে ফড়িং, প্রজাপতি, মাছ, পশুপাখি, গাছের সাথে সখ্যতা। একটু বড় হয়ে স্কুল, এবং তারপরে কলেজ পালানোর নেশায় এর ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি পাওয়ায়, অনেক নতুন ও অদ্ভুত সব মানুষের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ ঘটে। পরবর্তীকালে ছত্রিশ বছরের কর্মজীবনে ও ভ্রমণের নেশায় আরও বিচিত্র চরিত্রের মানুষ, বিচিত্র সংস্কার, বিচিত্র জায়গা দেখার ও বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ ঘটে। সুবীর কুমার রায় কর্ম সুত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অফিসার ছিলেন। নেশা ভ্রমণ ও লেখা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা