সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

দুর্গা পুজোর পরই তিন বন্ধু ছুটির হোমওয়ার্ক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কালী পুজোর সপ্তাহ খানেক আগে রন্তুদের বাড়ির কাজের মেয়েটা রন্তুর মাকে খবর দিলো, ওই বুড়ো বটতলাতে এক মস্ত সন্ন্যাসী ওর দুই চেলাকে নিয়ে ডেরা বেঁধেছেন। এই লম্বা চওড়া চেহারা, পরনে লাল কাপড়, খালি গায়ে ভস্ম মাখা, চোখ গুলো সব সময় লাল টকটকে হয়ে আছে। চেলারা বলেছে নাম শ্রীমৎ স্বামী বটেশ্বরানন্দ অবধূত। সন্ন্যাসীর খুব ক্ষমতা - হাত তুলে হাওয়া থেকেই ফুল, পেড়া বের করে ভক্তদের বিলি করছেন। বলেছেন ওই শিব লিঙ্গ পৃথিবীর মাঝখান থেকেই উঠে এসেছে - শিব ঠাকুর ওকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছেন এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাই তো হিমালয়ের চূড়া থেকে নেমে এসেছেন এখানে। এই জাগ্রত শিবের মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য গ্রামের লোক যার যেমন ক্ষমতা সেই হিসাবে দান দিচ্ছে। গ্রামের সবার খুব ভক্তি ও বিশ্বাস ওর ওপর - রোজ সকালে লোকে সবজি, ফল, মিষ্টির সিধে দিয়ে আসে। সন্ন্যাসী শুধু সন্ধ্যেবেলাতেই দেখা দেন - অন্য সময় উনি নাকি উচ্চমার্গে মানে আকাশে ঘুরে বেড়ান ভগবানের সাথে কথা বলার জন্য - মাঝে মাঝে হিমালয়ের চূড়াতেও চলে যান শিব ঠাকুরের সাথে দেখা করতে। গলার কী গভীর আওয়াজ - সন্ধ্যে বেলা শিব পূজার ধুনোর ধোঁয়ার মধ্য থেকে ‘ব্যোম ব্যোম মহাদেব’ বলে যখন উচ্চমার্গ থেকে নেমে আসেন তখন সবার বুক ভয়ে কেঁপে ওঠে। গল্পটা রন্তুর মা সন্তু ও অন্তুর মায়ের সাথে করার পর তিন মা মিলে ঠিক করেছেন একদিন সন্ধ্যে বেলা যাবেন ওই সন্ন্যাসীর আবির্ভাব দেখতে।

সন্ন্যাসীর খবরটা শুনে তিন বন্ধু লাফিয়ে উঠলো। অন্তু বললো,
‘এই তো পুজোর আগেই আমরা বুড়ো বটতলা ঘুরে এলাম আর এর মধ্যেই একেবারে হিমালয়ের চূড়া থেকে সন্ন্যাসী চেলাদের নিয়ে এসে হাজির। সারাদিন আবার উচ্চমার্গে মানে আকাশে ঘুরে বেড়ান। অসম্ভব - ব্যাপারটা খুব গোলমেলে লাগছে।’

রন্তু উত্তর দিলো,
‘হিমালয়ের চূড়া মানে তো মাউন্ট এভারেষ্ট - ওখান থেকে এসেছে? আর গুল দেবার জায়গা পেলো না - ঠিক বুজরুক। গ্রামের লোকগুলোকে যা ইচ্ছে তাই পড়িয়ে যাচ্ছে। আর মায়েরাও কেমন বলতো - ও ব্যাটাকে দেখতে যাবে ঠিক করেছে। লোকটা নামও নিয়েছে লম্বা চওড়া - শ্রীমৎ স্বামী বটেশ্বরানন্দ অবধূত - অবধূত না কোথাকার ভূত কে জানে। চল তো এখন একবার দেখে আসি - সন্ন্যাসী এখন উচ্চমার্গে থাকলেও চেলারা তো থাকবে।’

ওরা বুড়ো বটতলায় এসে দেখে লম্বা চুল, দাড়ি ও গোঁফওয়ালা ডিগ ডিগে রোগা, খুব লম্বা আর ভীষণ কালো একটা লোক বটতলাটা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করছে। দাড়ি গোঁফের ফাঁকে ওর দাঁত দেখার মতন - দু পাটি দাঁতই মুখের ভেতর যেন থাকতে চাইছে না - একেবারে ঠেলে খাড়া বেরিয়ে এসেছে - অন্ধকারে হঠাৎ দেখলে লোকে ভির্মি খাবে। শিব লিঙ্গের পাশে ঝুড়িতে নানা রকম তরকারি, কিছু ফল আর পেড়া রাখা আছে তার মানে গ্রামের লোক সকালে শিবের সিধে দিয়ে গিয়েছে। শিব লিঙ্গের একধারে মাটি সমান করে একটা বসার জায়গা আর ওটার সামনে একটা ধুনীর মত বানানো। ওদের বটতলাতে এদিক ওদিক ঘুরতে দেখে লোকটা ভুরু কুঁচকে বিচ্ছিরি ধরনের হেঁড়ে গলায় বললো,
‘তোরা কোথা থেকে এসেছিস রে? আরে উজবুকের দল, এই জাগ্রত শিবকে প্রণাম করেছিস? আজকালকার ছেলেদের কোন রকম ভক্তি শ্রদ্ধার বালাই নেই - এক্ষুনি এখান থেকে পালা না হলে খুব খারাপ হবে কিন্তু।’

সন্তু কনুইএর খোঁচা দিয়ে অন্ত রন্তুকে আস্তে করে বললো,
‘চট করে প্রণাম করে নে - না হলে দেঁতো ঝামেলা করবে।’

ওদের হাত তুলে নমস্কার করতে দেখে লোকটা বীভৎস দাঁতে ভেংচি কেটে প্রায় তেড়ে এলো,
‘প্রণামের ছিরি দেখো - হাত তুলে একটু নমস্কার করেই যেন হয়ে গেলো। আরে, লোকে এখানে মাটিতে গড়া গড়ি খেয়ে শিব ঠাকুরকে প্রণাম করে - এই বুড়ো বটতলার মাটি গায়ে মাখে। বলি তোরা এখান থেকে যাবি না ঝাঁটা পেটা করে তাড়াবো। আবার যদি তোদের এখানে দেখেছি তো বাবাকে বলে তোদের শিবলোকে পাঠিয়ে দেবো।’

লোকটার তাড়া খেয়ে বটতলা থেকে বেরিয়ে এসে অন্তু লাফাতে লাগলো,
‘কী বিচ্ছিরি ব্যবহার ওই খিটকেল লোকটার – ইচ্ছে করছিলো তিন জনে মিলে আচ্ছা করে দু ঘা লাগাই। একেবারে কুকুর তাড়ানোর মত করে তাড়িয়ে দিলো দেঁতোটা।’

রন্তু বোঝালো,
‘এই বোকা, ওরা তো তিন জন - চেঁচামেচিতে বাকি দুজন এসে হাজির হলে আমরাই মার খেয়ে যেতাম। তাছাড়া গ্রামের লোকও আমাদের ওপর রেগে যেতো - ওদের কাছে তো এরা প্রায় ভগবানের কাছের লোক। আচ্ছা, এরা রাত্রে থাকে কোথায় বলতো? গাছ তলায় তো সে রকম কিছু দেখলাম না - নাকি বাঁদরের মত গাছের ওপরে থাকে?’

সন্তু বললো,
‘আমিও তাই ভাবছিলাম তবে গাছের ওপরে নয় বলেই মনে হয়। চল তো গাছের পেছন দিকটা ঘুরে দেখি - ওদিকে কোন ডেরা করেছে কিনা।’

ওরা বট গাছের পেছন দিকে এসে থাকার জায়গার মত কিছু দেখতে পেলো না বরং পেছন দিকে গাছতলা বেশ নোংরা। হঠাৎ রন্তু উত্তেজিত ভাবে ওদের ডাকলো,
‘দ্যাখ, দ্যাখ - ব্যাটারা এখান থেকে জঙ্গল কেটে একটা সুঁড়ি পথ বানিয়েছে পবাতে যাবার জন্য। তার মানে ওরা পবাতেই আস্থানা গেড়েছে পেছনের ওই ঘরটাতে। ওখানে তো সাপের সেই বড় খোলস আর ভাঙ্গা ডিমের খোসা গুলো পড়ে আছে - ওগুলো দেখে ভয় পায় নি? কাল কেউটেদের যে ধরা হয়েছে সেই খবর তো কারুর জানার কথা নয় - তাহলে?’

ওরা তিন জন এ ওর মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো। অন্তু ধীরে ধীরে বললো,
‘মনে হয় ওখানে সাপের জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করেছে। চল তো দেখে আসি।’

অন্তুকে ওই সুঁড়ি পথের দিকে এগুতে দেখে সন্তু তাড়াতাড়ি বললো,
‘এই অন্তু, এদিক দিয়ে যাস না - ওরা দেখে ফেলতে পারে আর তাহলেই ঝামেলা হয়ে যাবে। চল, আমরা বরং মাঠের দিক দিয়ে যাই তা হলে বুঝতে পারবে না।’ ওরা ঘুরে মাঠের ভেতর দিয়ে এসে পবার ভাঙ্গা গেটের বাইরে সাইকেল রেখে চুপি চুপি ভেতরে ঢুকলো। একটু এগিয়েই নাকে একটা অদ্ভুত ঝাঁঝালো গন্ধ লাগতে সন্তু দাঁড়িয়ে গিয়ে দু চারবার জোরে হাওয়া টেনে গন্ধটা বোঝার চেষ্টা করলো।

‘গন্ধটা কিসের বুঝতে পারছিস কি? কড়া ফিনাইল জাতিয় কিছুর মনে হয় না?’

রন্তু খুব আস্তে বললো,
‘মনে হয় সাপ তাড়ানোর জন্য কোন কড়া ওষুধ হতে পারে। তার মানে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েই এসেছে অর্থাৎ এরা খুব একটা সাধারণ সন্ন্যাসী নয় রে।’

অন্তু উত্তর দিলো,
‘সাবধানে কোন রকম আওয়াজ না করে এগিয়ে চল তো - পেছনের ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখতে হবে বাকি দু্টো কি করছে। ওদের পরিচয়ের কিছুটা আন্দাজ হয়তো হতে পারে। তবে রন্তু ছাড়া আর কেউ তো উঁকি মারতে পারবে না – জানালাটা বেশ উঁচুতে।’

রন্তু একটু হেসে উত্তর দিলো,
‘আমাকে যে তোরা লম্বু বলে খ্যাপাস – এবার বোঝ মজা! ঠিক আছে, তোকে আমরা দুজনে মিলে আস্তে করে তুলে দেবো আর সন্তু না হয় তোর হাঁটুর ওপর দাঁড়িয়ে যাবে। তবে খুব সাবধান, কোন রকম কথা নয় - কোন আওয়াজও নয় ওখানে। জানালার পাল্লার কোনাতে চোখ দিয়ে দেখবি তাহলে ভেতর থেকে বুঝতে পারবে না। যাই দেখিস না কেন চুপচাপ ফিরে এসে কথা বার্তা হবে ঝিলের ধারে। এবারে চল খুব আস্তে।’

প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে ওরা ওই সুঁড়ি পথ ধরে এগিয়ে গেলো। একটু এগিয়েই একটা ভারি গলার আওয়াজ শোনা গেলো তবে কেমন যেন জড়ানো। জানালার নিচে আসতে আর একটা ফ্যাসফ্যাসে গলা শোনা গেলো সেই সাথে কড়াইতে খুন্তি নাড়ার আওয়াজ মানে রান্না হচ্ছে।

‘বদরু ভাই, তুমি কিন্তু জায়গাটা বেড়ে বের করেছো। কোন ব্যাটা পুলিস আমাদের টিকির খোঁজও পাবে না। আর তুমি তো সন্ন্যাসী হয়ে বাজার মাত করে দিলে - গ্রামের লোক তো বটতলায় মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে তোমাকে প্রণাম করছে। কে বুঝবে তুমি সেই বিখ্যাত বদরুদ্দিন মিঞা - যার নামে পুলিসের হুলিয়া আছে - ধরতে পারলে দশ হাজার টাকা পুরস্কার। বলিহারি তোমার বুদ্ধি - এই না হলে লিডার।’

শুনেই ওরা চোখ বড় বড় করে এ ওর দিকে তাকালো তারপর ওপরে জানালার দিকে তাকিয়ে দেখে এই বড় দাড়ি আর বিরাট জটা - ব্যাটা ওখানে দাঁড়িয়ে নেই তো! ভাল করে তাকিয়ে দেখে জানালার হুকে ওগুলো ঝুলছে। এবার রন্তু ধীরে ধীরে দাঁড়িয়ে ডিঙ্গী মেরে পাল্লার নিচের ফাঁকটায় চোখ লাগালো - কেমন একটা চিমসে গন্ধ নাকে এলো। কিছু সময় দেখে বসে পরতে অন্তু হাঁটুর ওপর সন্তুকে দাঁড় করিয়ে দিলে সন্তু একই ভাবে উঁকি মারলো। এর মধ্যে জানালার ঠিক নিচে ভারী গলাটা বলে উঠলো,
‘গনশা, তুই ব্যাটা রান্নাটা ভালোই শিখেছিস - জব্বর গন্ধ বেরিয়েছে রে। ভাল করে মাংসটা রান্না কর্‌ তো - বেশ কিছুদিন মাংস খাওয়া হয় নি। গ্রামের লোকগুলো তো শুধু শাক পাতাই খাওয়াচ্ছে। তা ছাগলটাকে ধরলি কোথা থেকে?’

‘বটতলার পেছনে কাল দুপুরে ঘাস খাচ্ছিলো। খপ করে ধরেই চেঁচাবার আগে মুখটা চেপে ধরে এনেই সোজা জবাই। চামড়া নাড়ি ভুড়ি মাটিতে পুঁতে দিয়েছি যাতে গন্ধ না বেরোয়। বিকেলে একটা বাচ্চা ছেলে কাঁদতে কাঁদতে এসেছিলো ছাগলটা খুঁজতে – হেঃ হেঃ কোথায় পাবে - ওটার তো পঞ্চত্ব প্রাপ্তি হয়েছে। বলেছি গুরুজীকে ভালো করে বললে হিমালয় থেকে এনে দেবে। এখন দিন দুয়েক প্রেমসে মাংস খাওয়া যাবে।’

অন্তুকে দুজনে মিলে তুলে ধরতে অন্তু ভালো করে দেখে নিয়ে নেমে এলে ওরা আস্তে আস্তে ওখান থেকে বেরিয়ে এলো। তিনজনই উত্তেজনাতে ছটফট করছে - অন্তু তো লাফাচ্ছে,
‘এরা তো দাগী আসামী রে। যাত্রা দলের পরচুলা পরে পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পবাতে লুকিয়ে আছে। নিবারণ কাকুর কাছে তো এদের পুরো খবর থাকবেই। লোকটার গায়ে কি ভীষণ লোম রে তার উপর আবার বিরাট টাক - যেন একটা জাম্বুমান বসে গঞ্জিকা টানছে। ব্যাটা বদরুদ্দিন মিঞা হয়েছে বটেশ্বরানন্দ – মনে হয় নামটা বানিয়েছে ওই বুড়ো বটের সাথে মিলিয়েই।’

সন্তু একটু ভেবে বললো,
‘এখনই নয় - আরো কয়েক দিন যাক। এরা তো এখানে নিশ্চিন্তে ডেরা বেঁধেছে অতএব চট করে যাবে না। ওই রান্না করা লোকটাকে নজর দিয়ে দেখেছিলি - বেঁটে খাঁটো গাট্টা গোট্টা চেহারা - অনেকটা যেন বড় অন্তু।’
বলেই অন্তুর হাতের নাগালের বাইরে সরে গেলো।

রন্তু এত সময় চুপ করে ছিলো – ও কিন্তু সব থেকে বেশী সময় উঁকি মেরে দেখেছে।

‘আমার মনে হয় ওরা অন্য কোন উদ্দেশ্যেই এখানে ডেরা বেঁধেছে আর সন্ন্যাসী সেজে আছে লোকের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য। তোরা খেয়াল করেছিস কিনা জানি না, ঘরের অন্য কোনায় শাবল, লোহার রড, এই সবের সাথে একটা রিভলভারও খাপে ঝুলছিলো। বুঝতেই পারছিস খুব সাংঘাতিক লোক এরা অতএব আমাদের খুব সাবধানে কাজ করতে হবে।’

অন্তু একটু সময় ভেবে বললো,
‘একবার মনে হয় বুড়ো বট গাছে উঠতে হবে - সন্ন্যাসী হাত তুলে হাওয়া থেকে যে ফুল মিষ্টি বের করে সেটা বোধ হয় গাছের ওপর থেকেই হয়। দুপুরে মনে হয় বট তলায় কেউ থাকবে না – পাঁঠার মাংস খেয়ে সব মৌজ করবে তখনই সব থেকে ভালো সময়।’

দুপুরে ওরা বুড়ো বট তলায় কাউকে দেখতে না পেয়ে চটপট গাছে উঠে এ ডাল ও ডাল করে সন্ন্যাসীর বসার জায়গার ঠিক ওপরের মোটা ডালটায় এসে দেখে ডাল পালা কেটে ওখানে বেশ ভালো বসার জায়গা করা আছে আর তার পাশেই মাছ ধরার ছিপের মত গোটা কয়েক ছপটি রাখা যার মাথায় পাতলা নাইলনের সুতো বাঁধা। সন্তু খুব হাসতে লাগলো,
‘বুদ্ধিটা খুব ভালো রে - এখানে বসে বঁড়শির সুতোতে ফুল, পেড়া এসব বেঁধে নিচে নামিয়ে দেয় আর সন্ন্যাসী ওগুলো হাতে টেনে নিয়ে লোক জনকে দেয়। সন্ধ্যে বেলা ধোঁয়ার জন্য কেউই এই সুতো দেখতে পায় না তাই ভাবে সন্ন্যাসী হাওয়া থেকে সব কিছু বের করে দিচ্ছে। আঁধো অন্ধকারে ওপরের ডালের লোকটাকে কেউ দেখতে পায় না। যেমন ছিলো তেমনি সব রেখে দে যাতে বুঝতে না পারে আমরা গাছে উঠেছিলাম। এদের বুজরুকি তো বোঝা গেলো - এবার চল পালাই এখান থেকে।’

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা