সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
একেই বলে কপাল

-কি রে সানি স্নান খাওয়া কমপ্লিট?
-হ্যাঁ মা। এখন একটু ঘুমাবো ভাবছি।
-অঙ্ক গুলো কষেছ ? আর ইংরাজিটা পড়েছ?
-হ্যাঁ মা চিন্তা কোরো না।

মা নিশ্চিন্ত হয়েই ফোন কেটে দিলেন। আবার ও টিভির সামনে এসে বসে পড়ে। এখন ব্রেক চলছে। সানি রিমোট টিপে অন্য চ্যানেলে চলে যায় । খবরে বলছে আজ বিকেলে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সানিকে অবাক করে দিয়ে বেলটা আবার বেজে ওঠে । এবার একজন ভদ্রলোক বললেন, মিটারটা একটু দেখবো । সানিকে দরজা খুলতেই হয় । মিটার দেখে ভদ্রলোক চলে যায় । সিনেমা এখনও আসেনি এখনও ব্রেক চলছে। নাহ্‌ এরাও দেখাতে বড্ড দেরী করছে। সাবান, বিস্কুট ,শ্যাম্পু, তেল, ক্রিম ,পাউডার, মাজন, হেনতেন অনেক দরকারি অদরকারি জিনিষের বিজ্ঞাপন দেখানোর পর মুভি আবার আরম্ভ হল। উফ্‌ আসল কাহিনী তো এবার। এতো দিন ভিলেন আর তার দলবল নায়কের পরিবার কে অনেক জ্বালিয়েছে এবার নায়ক তাদের যোগ্য জবাব দেবে। সানি মনে মনে ঠাকুর কে ডাকতে থাকে হে, ঈশ্বর এই ক্লাইম্যাক্সে যেন লোডশেডিং না হয়ে যায় ।কিন্তু লোডশেডিং হবার বদলে বেলটা বেজে ওঠে মিষ্টি সুরে। সানি ভীষণ বিরক্ত বোধ করে। আবার ওকে ছুটতে হয়।

দরজাটা খুলেই হতভম্ব হয়ে যায় ও। এবার এসেছেন বিনয় স্যার। বাবার বন্ধু এই বিনয় স্যার। সানি ফিজিক্স পড়ে স্যারের কাছে । যেহেতু উনি বাবার বন্ধু তাই সানির প্রতি বিশেষ কেয়ার নেন ।মাঝে মাঝে বাড়ি চলে আসেন সানি কেমন পড়া করছে তা দেখার জন্য। সানির হাঁ করা মুখের দিকে তাকিয়ে স্যার বললেন, কাল তোমার বাবার সাথে দেখা হয়েছিলো বললেন তোমার নাকি আলোক বিজ্ঞান চ্যাপ্টারটা বুঝতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে সেই জন্যই সময় করে আজ চলে এলাম। তোমার এখন অসুবিধা নেই তো পড়তে ?

সানি ঢোঁক গিলে বলল, আজ খুব পেট ব্যাথা করছে স্যার। কিছুই মাথায় ঢুকবে না ।
সেকি ওষুধ খেয়েছ? তোমার বাবার সাথে একটু দেখা করে যাই ।
বিয়ে বাড়ি গেছেন বাবা মা। কথাটা বলেই বুঝল ও ভুল করেছে।
স্যার বললেন, সেকি তোমার এরকম অসুখ তার ওপর তুমি একলা আছো বাড়িতে! তোমার কাছে একটু বসে যাই ।
না স্যার সেরকম কিছু নয়।
তোমার মুখ তো বেশ শুকিয়ে গেছে দেখছি। না তোমায় আজ পড়াবো না। কিন্তু তোমার সঙ্গে থাকবো, বাবা মা না ফেরা পর্যন্ত ওয়েট করতেই হবে। আর দাঁড়িয়ে থেকো না চল ভেতরে চল।

সানি বুঝল তার আর নিস্তার নেই। উদ্বিগ্ন মুখ করে শুয়ে পরে। টিভি টা এখন স্যার ই দেখছেন। বাংলা নিউজ চ্যানেল। স্যার বলেছেন শরীর খারাপ অবস্থায় সিনেমা দেখতে নেই তাই কি আর করা যাবে বলো? তোমারা হলে কি করতে? ওই যে কথায় আছে না অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়ে যায় । মা মাঝে মাঝে বলেন তুমি যাও বঙ্গে কপাল যায় সঙ্গে। সানি মনে মনে ভাবতে থাকে একেই বলে কপাল!

হালিশহরের বাসিন্দা সহেলী চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন ছাপা এবং ওয়েব পত্রিকায় বড়দের ও ছোটদের জন্য নিয়মিত গল্প লেখেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা