সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

সময়টা সম্ভবত ১৯৬০-এর দশকের কথা। প্রায় সবারই মুখে মুখে তখন একটাই কথা শোনা যেত। ছেলেধরার কথা। জঙ্গলের আগুন যেমন ছড়ায় ঠিক তেমনি করে ছড়িয়ে পড়েছিল ছেলেধরার কথা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। ছেলেধরারা নাকি এক অতি জঘন্য আর অমানুষিক কাজ-কারবার করতো। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে নিয়ে গিয়ে হাত পা ভেঙ্গে অথবা অন্ধ করে দিয়ে তাদেরকে দিয়ে ভিক্ষা করাতো। বড়ো বড়ো শহরের রাস্তার পাশে কোন কোন বিশেষ জায়গাতে তাদের নাকি বসিয়ে রাখতো সারা দিন ধরে ভিক্ষা করানোর জন্য। এইসব অসহায়দেরকে দিয়ে ভিক্ষা করিয়ে তারা টাকা পয়সা রোজকার করতো। এমন সব কথা শুনলেই যে কোন মায়ের বুক দুরু দুরু করে উঠত। ছোট ছোট বাচ্চারা এই সব কথা শুনে ভয়ে ঘরের বাইরে বেরুতে পারতো না।

মণ্টুর বাবা বছর খানেক হল ইছাবনি গ্রামের পোস্ট-অফিসেতে বদলি হয়ে এসেছেন। বছর পাঁচেকের মণ্টু খুবই চঞ্চল। সব সময় কিছু না কিছু করতেই থাকে সে। আশপাশের আর পাঁচটা গ্রামের মতো হোলেও ইছাবনি কিন্তু ছিল বিশেষ ভাবে আলাদা। ইছাবনিতে ছিল বেশ কয়েকটা স্কুল, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ আর ছিল হাসপাতাল, পুলিশ-স্টেশন ও পোস্ট অফিস। আর যেটা দেখে আশপাশের অন্য গ্রামের লোকজনেরা খুবই ঈর্ষা করতো সেটা হল ইলেকট্রিক আলো। আশপাশের কোন গ্রামেতেই সে সময় ইলেক্ট্রিসিটি এসে পৌঁছায়নি। অথচ ইছাবনিতে সন্ধে ছটা থেকে রাত্রি দশটা পর্যন্ত ছিল এক বিশেষ ভাবের ব্যবস্থা করা ইলেকট্রিক আলো। গ্রামের দু দুটো জায়গায় ছিল বিশাল বড়ো বড়ো জেনারেটর হাউস। পাকা রাস্তার এক দিকে স্কুল, কলেজ, হোস্টেল আর ছিল সারি সারি কোয়ার্টার অন্যদিকে হাসপাতাল, পুলিশ-স্টেশন; ছিল পুরনো ইছাবনি-গ্রাম আর এক অতি প্রাচীন মাকড়া-পাথরের-তৈরি মন্দির। পোস্ট-অফিস আর পুলিশ-স্টেশনের কাছাকাছি রাস্তার দুই দিকে ছিল মাত্র কয়েকটা হাতে গোনা দোকানপাট।

সবার মুখে মুখে সেই জায়গাটাই ছিল ইছাবনির ‘আশুদতলা-বাস-স্টপ’। সেই জেনারেটর হাউস দুটিকে চালানোর জন্য ছিল কয়েকজন কর্মচারী। তাদের মধ্যে একজনের নাম ছিল প্যারেলাল, সে ছিল একজন দক্ষ মেকানিক। উত্তরপ্রদেশের পূর্ব-প্রান্তের বেঁটেখাটো এই মানুষটি কথায়-বার্তায় ছিল খুবই মজাদার। সে বাংলা অল্প অল্প বলতে পারতো আর যখন সে তার মাতৃভাষা হিন্দি বলতো সেটা সবার কাছে ছিল এক মজার ব্যাপার। গ্রামের প্রায় সব্বাই খুব মজা পেত প্যারেলালের হিন্দি কথা শুনে। সে সময় ইছাবনি গ্রামে কোনও ব্যাংকের শাখা ছিল না। তাই সমস্ত স্কুল কলেজের বেতন জেলা-সদর শহর থেকে আনতে যেতে হতো। সেই বেতনের টাকা, অনেক টাকা। একসাথে এতো টাকা আনতে হবে, তাই বেশ কয়েক জন যেত এই কাজের জন্য। প্যারেলালও থাকতো তাদের সাথে। কারণ? প্যারেলালের কাছে সব সময় থাকতো এক বিশাল ছোরা। সেটা নাকি এক নেপালি অস্ত্র যার নাম কুকরি। আর তাছাড়াও অন্য কারণ হল, প্যারেলাল আর তার দুই সাথী নাকি জানতো কোন এক বিশেষ ধরনের লড়াইয়ের কৌশল, যাকে নাকি বলে মার্শাল-আর্ট। এবং সে সব ছাড়াও তার মজাদার কথা-বার্তা সবারই খুব ভাল লাগতো। সুতরাং তারা সবাই আসা যাওয়ার পথে বেশ আনন্দ পেত।

সেটা সম্ভবত ছিল ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ। সে দিনটা ছিল কনকনে ঠাণ্ডা। অন্য সব গ্রামের মতই সন্ধে হওয়ার সাথে সাথেই ঘরের বাইরে লোকজন প্রায় চোখেই পড়তো না। তাই সেসময় ইছাবনির ছোট্ট মার্কেটও একরকম সুনসান। মণ্টুর বাবা ভেতরের দাওয়াতে বসে খবর-কাগজ পড়ছিলেন আর মা তুলো দিয়ে ছোট-ছোট পলতে তৈরি করছিলেন সন্ধে প্রদীপ দেওয়ার জন্য। পিতলের পিলসুজে ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে তুলসি তলায় রাখছিলেন। ঠিক সেসময় মণ্টু খুব মনোযোগে তার ধনুক সারাতে ব্যস্ত ছিল।

সন্ধে সাড়ে সাতটার লাস্ট বাস তখনো আসেনি। কয়েকটি দোকান ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। দুই চৌকিদার সুজয় মোদকের চা-মিষ্টির দোকানের ভিতরে বসে গরম গরম চা খাচ্ছিল। আর লাস্ট বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। তারা দুজনাই কয়লার বিরাট উনুনটার খুব কাছেই বসেছিল। রাস্তার ওই পারে মদন পাল তার সাইকেল দোকানের বাইরে পড়ে থাকা সমস্ত কাজের জিনিষ-পত্র গুছিয়ে ভিতরে রাখছিল। গ্রামে প্রায় সমস্ত বাড়ীতেই তখন রাত্রির খাবারের আয়োজন চলছিল।

মণ্টুর মা সন্ধে প্রদীপ দেওয়ার পরই লক্ষ করেন যে মণ্টু সে সময় পড়াশোনা করছিল না। প্রায় প্রতিদিনের মতই তিনি তার সমস্ত আক্ষেপের কথা মণ্টুর বাবার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করে দিয়েছিলেন। কি ভাবে তিনি তার ছেলের প্রতি কোনও লক্ষ রাখছিলেন না, কি ভাবে ছেলেটিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছিল এবং আরও অনেক কথা যা প্রায় তিনি মুখস্থ বলার মতই গজ গজ করে বলে যাচ্ছিলেন। নির্বিকার ভাবে মণ্টু তার ব্যস্ত ধনুক সারানো চালিয়ে যাচ্ছিলো আর মণ্টুর বাবা একই ভাবে মনোযোগ সহকারে খবর-কাগজ পড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মণ্টুর মা সন্ধে প্রদীপ তুলসি তলায় রেখে শাঁখ বাজালেন। প্রতিবারের মতই শাঁখ বাজানোর পর শাঁখের মধ্যে অল্প জল ঢেলে ধুয়েও রাখলেন।

চা-মিষ্টির দোকানি সুজয় বিশাল বড় লোহার কড়াই এতে চিনির রস তৈরি করছিল। আর বার বার সে দেখছিল নীচে উনুনের জ্বলন্ত কয়লার দিকে। গনগনে কয়লা দেখাচ্ছিল লালাভ-হলুদ। ছানার দলা হাতে নিয়ে সে চকচকে কাঠের পাটাটার উপর বার বার ঠেসে ঠেসে ভাল করে মাখছিল। আর মাঝে মাঝে সেই দুই জন চৌকিদারের সাথে গল্পও করছিল। এরই মধ্যে অগোছালো আর ময়লা জামা কাপড় পরা দুজন লোক সাইকেলে করে দোকানের সামনে এসে দাঁড়াল। তাদের কোন আত্মীয় ছিল হাসপাতালে ভর্তি। তারা দুধ কেনার জন্যে এসেছিল। ইছাবনি গ্রামের পূর্ব দিকে প্রায় দশ মাইল দূরের তেজপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। শালের জঙ্গল আর পুশ্‌না নদী পেরিয়ে তাদের গ্রাম।

দুধ কেনা ছাড়াও তারা ভাবছিল হয়ত তাদের গ্রামের কেউ লাস্ট বাসে এসে ইছাবনির আশুদতলা-বাস-স্টপে নামবে। তাকে দিয়ে তাদের গ্রামে একটা খবরও পাঠানো যাবে। তারাও দোকানের ভিতরে গিয়ে বসেছিল আর সেই দুজন চৌকিদারের সাথে গল্প শুরু করে দিয়েছিল। গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে দুই চৌকিদার গল্প করছিল কি ভাবে খরতোরি গ্রামের একটি ছোট্ট বাচ্চাকে ছেলেধরাতে ধরে নিয়ে গেছে। ছেলেটি লাল ধুলো ভরা রাস্তায় সাইকেল টায়ার নিয়ে খেলছিল। ঠিক সেসময়, সামনের পুলিশ-স্টেশনের হেড-কনস্টবল তিওয়ারিজি, দোকানে ঢুকছিলেন। তাকে দেখা মাত্রই দোকানের ভিতরের কথাবার্তা হটাৎ চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। এমনিতে গম্ভীর দেখালেও তিনি ছিলেন বেশ ভদ্র আর হাসিখুশি, গ্রামের এবং আশপাশের সব্বাই তাকে চিনতো। ইছাবনির এমপ্লইস রিক্রিয়েশন ক্লাব লাইব্রেরীর নিয়মিত পাঠক। এক কথায় বেশ আলাদা রকমের পুলিশ-ওয়ালা।

তাকে দেখে দোকানি সুজয় হাত-জোড় করে নমস্কার করেছিল। তিওয়ারিজিও নমস্কার করেছিলেন। বসুন, চা খাবেন তো? এই বলে উনুনের কাছাকাছিই একটা বেঞ্চকে মোছার-কাপড় দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে দিয়েছিল সুজয়। তিওয়ারিজিও, আচ্ছা দাও, এই বলে বসেছিলেন। রসগোল্লা করছ নাকি? হ্যাঁ স্যার, একটা বেশ বড় অর্ডার পেয়েছি, যাদের সবথেকে পুরনো কাপড়ের দোকান আর ওষুধের দোকান, সেই পাত্তর বাবুদের অর্ডার।

-তিওয়ারিজি সাথে সাথেই বলেছিলেন, ‘ঠিক ঠিক, পাত্র-বাবুদের অর্ডার, বুড়ো পাত্র বাবু দাদু হয়েছেন খুবই খুশির খবর অবশ্যই’।
-সুজয় বলেছিল, হ্যাঁ স্যার অনেক রসগোল্লার অর্ডার দিয়েছেন ওরা।
-বেশ ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কাজ করেন আর ব্যবসার দূরদৃষ্টিও দারুণ।
-যা বলেছেন স্যার, শুধু চাষবাসই নয়, ব্যবসাও খুব মন দিয়ে করেছেন। তাই ছেলেরা আজ সব পতিস্টিত, দাঁত বের করে হেসে হেসে সুজয় বলেছিল। আর চকচকে পাটাটার উপর ছানার মণ্ডটাকে বার বার ঠেসে ঠেসে ভাল করে মাখা আবার চালিয়ে যাচ্ছিল। মাঝেমাঝে একবার করে হাতে নিয়ে পরীক্ষাও করছিল ঠাসিয়ে মাখা ঠিকমত হচ্ছিল কিনা যাতে রসগোল্লা বেশ নরম আর তুলতুলে হয়।

প্রতিদিন ডিনার এর পর তিওয়ারিজি একটু আশেপাশে বেড়িয়ে আসেন। সেদিন একটু তাড়াতাড়িই বের হয়েছিলেন। হয়তো কোন ইনফরমারের আসার কথা ছিল। এই কাজও ছিল তার চাকরির এক বিশেষ দরকারি অঙ্গ। কেননা এই বিশেষ দরকারি লোকেরা তাদের কাজে সাহায্য করে থাকে।

কামরাঙা গাছে ঝুলিয়ে রাখা পেতলের গোল থালার মত ঘণ্টাটা বাজিয়ে হোস্টেলের সমস্ত ছাত্রদের ডিনার এর সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘণ্টা বাজার সাথে সাথেই হোস্টেলের ছেলেরা তাদের নিজের নিজের প্লেট আর গ্লাস হাতে করে বেরিয়ে পড়েছিল। নিরস চুপচাপ পরিবেশটা হটাৎ যেন শব্দময় হয়ে উঠেছিল। একটু পরেই মণ্টু আর তার বাবা রাত্রের খাবার সেরে বাইরে বেরিয়েছিল। পোস্ট অফিস পার হওয়ার পরই তাদের তিওয়ারিজির সাথে দেখা হয়েছিল। তারা পরস্পরকে অভিবাদন করেছিল। প্রথম মণ্টুরই চোখে পড়েছিল বাসের হেডলাইটের আলো। সে আনন্দে হাততালি দিয়ে নাচতে নাচতে বলে উঠেছিল "বাস আসছে, বাস আসছে"- বাস তখনো প্রায় মাইল দু-এক দূরে। রাস্তার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। অগুন্তি গর্ত-ওয়ালা রাস্তার উপর বাসটা যেন দুলতে দুলতে কোন রকমে এগিয়ে যাচ্ছিল। পি- ডাব্লিউ- ডি এর লোকেরা তাদের তালি দেওয়া কাজ চালিয়ে যেত। আর রাজনৈতিক নেতারা পরের নির্বাচন না আসা পর্যন্ত শুধু শুধু মোটেও মাথাব্যথা করতো না।

-চলুন বাস-স্টপ দিকে যাওয়া যাক, তিওয়ারিজি বলেছিলেন।

তারা যখন বাস-স্টপের দিকে যাচ্ছিলেন মণ্টু আবার একবার লক্ষ্য করেছিলো, বাসের আলো একই জায়গায় তাই দেখে সে হাততালি দিয়ে বলে উঠেছিল "বাস চলছে না, বাস চলছে না।"

সুজয় ব্যস্ত ছিল একমনে রসগোল্লা তৈরি করতে। মণ্টু সেদিকেও একবার লক্ষ্য করেছিল। দুই বয়স্ক, মণ্টুর বাবা আর তিওয়ারিজি, ঠিক সে সময় কোন একটা আলোচনায় এক্কেবারে নিমগ্ন ছিল। মণ্টু আবার একবার লক্ষ্য করেছিল, বাস চলছে না। বাস তখন দিঘি-পাড়া নামের ছোট্ট গ্রামের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিল।

অবশেষে বাস এসে থামে ইছাবনির আশুদতলা-বাস-স্টপে। যারা ইছাবনিতে নামবে বলে তৈরি ছিল তারা সবাই একসাথে তাড়াহুড়ো করছিল। কয়েকজন নামার পর বাসের দুই পাশের থেকে তাদের জিনিষপত্র নামানোর জন্য চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছিল। তাদের মধ্যে কেউ একজন সজোরে ধাক্কা দিয়ে বস্তা নামাচ্ছিল। এই সব গোলমালের সুযোগ নিয়ে কোন দুষ্টু লোক, যে হয়তো অনেক আগের থেকে পিছু নিয়েছিল, টাকা ভর্তি ব্যাগটা ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে প্যারেলাল গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠেছিল ‘থ্যায়লা লেকে ভাগল’ ‘থ্যায়লা লেকে ভাগল’। প্যারেলালের ‘থ্যায়লা’ শুনে সব্বাই মনে করেছিল ‘ছ্যায়লা’ অর্থাৎ ‘বাচ্চা ছেলে’। ঠিক সেই সময় মণ্টুর বাবা আর তিওয়ারিজি লক্ষ্য করেন মণ্টু তাদের পাশে নেই। মন্টুকে ছেলেধরা নিয়ে গেছে ভেবে তিওয়ারিজি চিৎকার করে উঠেছিলেন। সাথে সাথে আশেপাশের অনেক লোকজন এসেও জড়ো হয়েছিল। কয়েক জন লোক লাঠি হাতে ছুটে এসেছিল। এই সব নানান চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে বেচারা প্যারেলালের কথায় কেউ গ্রাহ্য করেনি। সুতরাং সেই ‘থ্যায়লা চোর’ এই গোলমালের মাঝে কোথায় যে পালাল কেউ লক্ষ্যই করেনি।

আর মণ্টু ?

তাকে একটু পরেই খুঁজে পাওয়া গেছিল তার সুজয় আঙ্কলের দোকানে। সেখানে বসিয়ে তার আঙ্কল তাকে তাজা তাজা রসগোল্লা খেতে দিয়েছিল।


ছবিঃত্রিপর্ণা মাইতি

চান্দ্রেয়ী ভট্টাচার্য্যের বাড়ি ও জন্মস্থান বাঁকুড়া জেলার মন্দির-নগরী বিষ্ণুপুর শহর। বাবার কর্মসূত্রে সূত্রে গুজরাতে আসা। আর তার জন্যই স্কুল কলেজের পড়াশুনা গুজরাতের কাঠিয়াবাড় প্রান্ত থেকে। বর্তমানে ফার্মাকোলজি নিয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশনের ফাইনাল ইয়ারে। মাতৃভাষা বাংলার সাথে শিশু অবস্থা থেকে কখনই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। নিজের পড়াশুনোর মাধ্যমে ইংরেজি, হিন্দি এবং গুজরাতি শেখার সাথে সাথেই বাংলা বইও পড়তে ভালো লেগেছে বরাবরই।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা