সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
পেনেটির বাগান বাড়ি

অনেকে তাঁকে বাবুমশাই বলতেন। বাঙালিদের কাছে অবশ্য তিনি কবিগুরু বা বিশ্বকবি নামেই বেশি পরিচিত। এবারে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছ, আমি কার কথা বলছি। হ্যাঁ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাই বলছি। দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কবিস্মৃতি বিজড়িত নানা ঘটনার একটি আজ তোমাকে বলব।

পানিহাটির নাম তোমরা অনেকেই শুনেছ। সেখানে গঙ্গার ধারে একটি বাগানবাড়ি আছে। এই বিশাল বাগানবাড়িটি ছাতুবাবুর বাগানবাড়ি নামে পরিচিত। এই বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ চারবার এসেছিলেন। প্রথমবার এসেছিলেন ১৮৭২ সালের মে মাসে। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র এগারো বছর। বুঝতেই পারছ তিনি একা আসেন নি। বাড়ির অনেকেই এসেছিলেন। শোনাযায়, এটাই নাকি তাঁর জোড়াসাঁকোর চৌহদ্দির বাইরে প্রথম পা রাখা। বলা যায় জীবনে জীবনে প্রথম বহির্বিশ্বদর্শন। এখানে তিনি আটচল্লিশ দিন ছিলেন।

পানিহাটির বা পেনেটির এই বাগানবাড়িতে আসা তিনি সারা জীবনে ভুলতে পারেন নি। ১৮৯৫ সালের ৫ জুলাই তিনি তাঁর ভাইঝি ইন্দিরাদেবীকে লিখেছিলেন – 'ছেলেবেলায় পেনেটির বাগানে থাকতুম। পাশে দক্ষিণেশ্বরের মন্দির থেকে দিন রাত্রির মধ্যে তিন-চারবার করে নহবত বাজত। আমার তখন মনে হত, আমি বড় হয়ে স্বাধীন হওয়া মাত্রই একটা এইরকম নহবত রাখব…..।'

১৯১৯ সালে পাঞ্জাবে্র জালিয়ানওয়ালাবাগে নৃশংস হত্যালীলা চালাল ব্রিটিশ সরকার। এই ঘটনার খবর পেয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের মন অশান্ত হয়ে ওঠে। শান্তির খোঁজে তিনি প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে সঙ্গে নিয়ে কিছুদিনের জন্য এই বাড়িতে চলে আসেন। তখন তাঁর বয়স আটান্ন বছর। এটাই তাঁর এই বাড়িতে দ্বিতীয়বার আসা। এখানে বসেই তিনি এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। সিদ্ধান্ত নেন 'নাইটহুড' ত্যাগ করবেন। এখানে থাকাকালীনই সেই পত্র লিখে ফেলেন।

পেনেটির বাগান বাড়ি

এর প্রায় দশ বছর পর কবি তৃতীয়বারের জন্য আবার এই বাড়িতে আসেন। তখন এই বাড়িটির নাম গোবিন্দ হোম। অনাথ ছোট শিশুদের জন্য খোলা হয়েছিল একটি অনাথ আশ্রম। এই আশ্রম তৈরি করে দিয়েছিলেন ময়মনসিংহের শেরপুরের জমিদার গোপাল রায়চৌধুরী। তিনি পিতা গোবিন্দ রায়চৌধুরীর নামে আশ্রমের নামকরণ করেছিলেন। কবিগুরু এসেছিলেন আশ্রমের এক অনাথ বালিকার বিবাহ উপলক্ষে। সেবারে সঙ্গে ছিলেন ভাগ্নী স্বর্ণকুমারীর মেয়ে সরলা দেবী চৌধুরানি। সেই সময় আশ্রমের লোকেরা কবিগুরুকে দিয়ে ঘাটের কাছে একটি আম গাছ পুঁতিয়েছিলেন। গাছটি আজও আছে।

এরপর ১৯৩৪ সালে বাসন্তী কটন মিল উদ্বোধন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই বাড়িতে শেষবারের মতো এসেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ও উপস্থিত ছিলেন।

ছবিঃ সোদপুর, পানিহাটি ফেসবুক পাতা

বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের সহ সভাপতি কমলবিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ছোটদের এবং বড় দের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বহু বই লিখেছেন। বিভিন্ন জনপ্রিয় পত্রপত্রিকা এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে তিনি নিয়মিত লেখালিখি করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা