সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

মানুষের মত দেহে হাতির মত মাথা, বড় বড় কান, একটা দাঁত, লম্বা শুঁড় আর বিরাট এক ভুঁড়িওয়ালা গণেশ ঠাকুর কে না চেনে? ঠাকুর বলে তাঁকে মান্যিগন্যিও যেরকম করা হয়, ঠিক তেমনি আবার মজা করে " গণেশদাদা, পেটটি নাদা" বলে ছড়াও কাটা হয় তাঁর সম্পর্কে। তাবলে গণেশ ঠাকুরকে নিয়ে বেশি মজা করা মোটেও ভাল নয়। সেই "বুড়ো আংলা" গল্পের দুষ্টু রিদয়ের ওপর রেগে গিয়ে গণেশঠাকুর তাকে বুড়ো আঙুলের মত পুঁচকে বানিয়ে দিয়েছিলেন, সে কথা ভুলে গেলে চলবে?

আবার এত্ত বিশাল চেহারার এক দেবতা, তাঁর বাহন হল গিয়ে ইঁদুরের মত এক পুঁচকে প্রাণী। তাঁর আবার হাতির মত মাথা, গায়ে সাপ জড়ানো। এদিকে আবার দেখি, সব পুজোর সময়ে সবার আগে গণেশ ঠাকুরের পুজো করা হয়। এইসব দেখে মনে নানাধরণের প্রশ্ন জাগে কি? যদি জাগে, তাহলে কিন্তু পড়ে দেখতে পার এই ছোট্টখাট্টো বইটি - 'গনেশ ঠাকুরের গল্প'। বইটি লিখেছেন হীরেন চট্টোপাধ্যায়, আর পাতায় পাতায় দারুণ সব রঙিন আর সাদা-কালো ছবি এঁকেছেন যুধাজিৎ সেনগুপ্ত। তিনটি বেদ এবং নয়টি পুরাণে গণেশ ঠাকুরকে নিয়ে যে সমস্ত নানা ধরণের আখ্যানগুলি আছে, সেগুলিকে একত্র করে ছোটদের জন্য সহজ সরল ভাষায় লেখা হয়েছে এই বইটি। শুধুমাত্র ভারতেই নয়, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কবে থেকে কিভাবে গণেশের আরাধনা করা হয়, সেটাও জানতে পারা যাবে এই বই থেকে।

আর মাস তিনেক পরেই দুর্গাপুজো। আর তখন মন্ডপে মন্ডপে মা দুগ্‌গার সাথে দেখা যাবে গণেশ ঠাকুরকেও। আবার তার আগেই অনেক জায়গাতেই খুব বড় করে পালিত হবে গণেশ চতুর্থী উৎসব। সেসবে যোগ দেওয়ার আগে গণেশ ঠাকুর সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন তথ্য জেনে নিতে পারলে মন্দ হয়না, কি বল?

শিশু সাহিত্য সংসদ থেকে প্রকাশিত এই বইটির দাম ৭৫ ভারতীয় মুদ্রা। একটা কথা হলফ দিয়ে বলতেই পারি, ছোটদের সাথে সাথে বড়দেরও পড়তে ভাল লাগবে এই বই।

বইপোকা অবশ্যই নতুন নতুন বই পড়তে ভালবাসেন। আরো ভালবাসেন সেইসব বই এর খোঁজ সবাইকে দিতে। নতুন নতুন বইয়ের খোঁজ পেতে চোখ রাখ বইপোকার দপ্তরে। আর তোমার কাছে যদি কোন খুব ভাল বই থাকে, যেটার কথা তুমি বন্ধুদের এবং বইপোকাকে জানাতে চাও, তাহলে বইপোকাকে সেই বইয়ের খবর জানিয়ে চিঠি লেখ ইচ্ছামতীর মেইল ঠিকানায়।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা