সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

বছরঘুরে এসে গেছে উৎসবের মরসুম , সবাই ব্যস্ত প্রিয় মানুষগুলোর জন্য উপহার কিনতে। আচ্ছা বন্ধু, তুমি এই পুজোয় বাবা-মা, ভাইবোন, বন্ধুদেরকে কী উপহার দেবে ভেবেছ? এই পুজোর ছুটিতে নিজেই বানিয়ে ফেলো সবার জন্য সুন্দর একটা উপহার। চলো শিখে নেওয়া যাক কীভাবে তুমি নিজেই তৈরি করতে পারো দুর্গাপুজোর সুন্দর একটা কার্ড।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

যা যা লাগবেঃ
১। আর্ট পেপার
২। কিছু ছোট পুঁতি
৩। রং (তোমার পছন্দমতো যেকোনো রং ব্যবহার করতে পারো, আমি অ্যাক্রিলিক কালার নিচ্ছি।)
৪। কলম, পেন্সিল, ইরেজার, স্কেল।
৫। ওয়াশি টেপ (ঐচ্ছিক)
৬। আঠা
৭। সুতো

যেভাবে বানাবেঃ

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

১। প্রথমেই তুমি যেই মাপের কার্ড বানাতে চাচ্ছ, তার দ্বিগুণ মাপে আর্ট পেপার কেটে নাও। আমি ৭ ইঞ্চি/ ৭ ইঞ্চি মাপের কার্ড বানাচ্ছি। তাই আমি ১৪ ইঞ্চি/ ১৪ ইঞ্চি মাপে কাগজ কেটে নিয়েছি।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

২। এবার কেটে নেওয়া কাগজটিকে মাঝখান থেকে ভাঁজ করে ফেলো, হয়ে গেলো কার্ড।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

৩। আর্ট পেপার থেকে আধা সেন্টিমিটার মোটা করে লম্বা লম্বা কাগজের স্ট্রিপ কেটে নাও।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

৪। এবার তোমার কার্ডের উপর দেবী দুর্গার ছবি এঁকে ফেলো। খেয়াল রাখবে, ছবিটা যেন একটু বড় এবং সহজ করে আঁকা হয়।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

৫। এখন এই কার্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করব আমরা। কাগজের স্ট্রিপগুলোকে মাপমতো কেটে তোমার আঁকা ছবির উপর খাড়া করে আঠা দিয়ে লাগিয়ে ফেলো।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

৬। দেবীর চোখ, ঠোঁটসহ সবকিছুর উপর কাগজের স্ট্রিপ লাগানো হয়ে গেলে তোমার কার্ডটাকে একটু শুকানোর সময় দাও। নাহলে স্ট্রিপগুলো খুলে আসবে।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

৭। এখন আমরা দেবীর নথ বানাব। সেজন্য তোমাকে ছোট পুঁতিগুলোকে সুতোয় গেঁথে নিতে হবে। প্রথমে মালার মতো করে গেঁথে গিঁট দিয়ে নাও, তারপর ছবির মতো গিঁটের পর থেকে লম্বা করে আবার গেঁথে নাও। শেষ পুঁতিটার মাথায় আঠা দিয়ে অথবা পুঁতির ভেতর দিয়ে উল্টো দিকে সুতো ঢুকিয়ে পুঁতিটাকে আটকে নাও। হয়ে গেল দেবীর নথ।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

৮। এবার কালো রং দিয়ে মা দুর্গার চোখগুলো রং করে ফেলো। লাল রঙ্গে রাঙিয়ে ফেলো ঠোঁট। কপালে একটা লাল টিপ পরিয়ে দাও। লাল রং দিয়েও এই টিপটা তুমি এঁকে দিতে পারো। সবশেষে ছবির মতো করে আঠা দিয়ে নথটা আটকে নাও।

নিজেই বানাও শারদীয়া গ্রিটিং কার্ড

৯। এবার তুমি চাইলে কার্ডের উপরে এবং নিচে ওয়াশি টেপ লাগিয়ে বর্ডার দিতে পারো।

ব্যস! তৈরি হয়ে গেছে দূর্গাপুজোর কার্ড। এখন কার্ডের ভেতরে মনের মতো শুভেচ্ছাবাণী লিখে উপহার দাও প্রিয় মানুষদেরকে।
তাকিয়ে দেখো, কী সুন্দর একটা কার্ড তৈরি করেছ তুমি!

কিশোরী লেখক মীম নোশিন নাওয়াল খান বাংলাদেশের ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে লেখালেখি, সাংবাদিকতা, ছবি আঁকা, ফটোগ্রাফি ও হাতের কাজ। ইউনিসেফ থেকে চারবার মীনা অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পুরস্কারজয়ী মীমের অনেকগুলো গল্প, ছড়া ও কিশোর উপন্যাস বই আকারেও প্রকাশিত হয়েছে।  

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা