সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
পায়রাঃ
এটা তুমি, একটু বাড়াবাড়ি করে ফেললে, টিয়া দিদি। তুমিই বা কি কম সুন্দরী, শুনি। আর তোমার একটাই রং কোথায়? তোমার অমন টুকটুকে লাল ঠোঁট, আর অমন সবুজ রং। বিকেলবেলা তোমরাও যখন ঝাঁক বেঁধে গাছে ফেরো, আমিও বাড়ির চিলেকোঠার আলসেয় বসে তোমাদের দেখি। কি সুন্দর লাগে তোমাদের। ঠিক এক ঝলক সবুজ আলোর মতো, চোখ ফেরাতে পারি না।
কোকিলঃ
আচ্ছা, আচ্ছা নে, তোদের অনেক রং তোরা খুব ভালো। আমি আর কাক কুচকুচে কালো। তখন রোদের কথা কি বলছিলে, টিয়াদিদি, বলো না বলো।
টিয়াঃ
এই, তোরা সব্বাই দেখ, কোকিল এখন কাকের সঙ্গে কি সুন্দর ভাব করে নিল। খুব ভালো, রে খুব ভালো। কোকিল, তোর কালো রং ভালো নয়, কে বলল? তোর ডাক শুনে আমাদের সক্কলের মন ভালো হয়ে যায়, সে কথাটাও তো সত্যি। অমন গলা আমাদের আর কার আছে বল?
কোকিলঃ
তবে? দেখলি রে, কাক। আমার ডাক শুধু মানুষ নয়, সকলেই ভালোবাসে।
কাকঃ
কাঃ কাঃ, যাঃ যাঃ, আর বেশী বড়াই করিস না।
টিয়াঃ
আর কাক তোকেও বলি, তুই বা এমন ঝগড়া করিস কেন, কোকিলের সঙ্গে? না হয় তোর বাসায় কোকিল দুটো কি তিনটে ডিমই পাড়ে। আমাদের বাসাতেও তো পাড়তে পারত। তা তো পাড়ে না, কেন জানিস?
কাকঃ
নাঃ নাঃ, জানি না তো।
টিয়াঃ
ওরে বুদ্ধু, আমরা সবাই তোকে ভরসা করি। এই যে এই গাছের ডালে ডালে আমাদের বাসা, আমরা জানি, বেড়াল এলে, কোন দুষ্টু ছেলে এলে, তোরা কা কা করে ডেকে, ঠুকরে তাদের তাড়িয়ে দিতে পারিস। আমরা কতো নিশ্চিন্তে থাকি, জানিস? কোকিল তোর বাসাতে ডিম পাড়ে একই কারণে, ও জানে, কাকের বাসায় উঠে ডিম চুরি করা যে সে কম্মো নয়।
কাকঃ
(মাথা চুলকে) তাই? এটা কোনদিন ভাবি নি তো!
কোকিলঃ
কুঃ কুঃ কুঃ। ভাবার মতো মগজ আছে তোর ?
কাকঃ
অ্যাই কোকলে, চুপ কর, ঠুকরে তোর মাথা ফাটিয়ে দেব। টিয়াদিদি, ওসব কথা তুমি ছাড়ো, তুমি বরং, তোমার রোদ্দুরের ঢং নিয়ে কি বলছিলে, সেইটা বলো।
মাছরাঙাঃ
হ্যাঁ, কোকিল, তুই না বড্ড ফাজলামি করিস। শোন্‌ না, টিয়াদিদি কি বলে। টিয়াদিদি তুমি বলো।
টিয়াঃ
নীল আকাশ, তুলোর মতো হাল্কা সাদা মেঘের কথা তো শুনলি। আর আজকে সকালে রোদ্দুরের রংটা খেয়াল করেছিস? আর রোদ্দুরের সেই তাপও আর নেই?
পায়রাঃ
ওঃ। একদম আমার মনের কথা বলেছো, টিয়াদিদি। আজ সকালে আমার গলায় পালকের নীল রংয়ে যে রোদ্দুর পড়েছিল, তার রং ছিল ঠিক সোনার মতো। কি সুন্দর চিকচিক করছিল আমার পালকগুলো। অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তুমি বলাতে মনে পড়ল।
কাকঃ
আরে, টিয়াদিদি, তুমি ঠিক বলেছ। আজই তো সকালে আমি আমার পালকগুলো মেলে দিয়ে দিব্বি রোদ পোয়াচ্ছিলাম। বর্ষায় ভিজে ভিজে আমার পালকে না, ছোট্ট ছোট্ট পোকা কামড়ায়। এই রোদ্দুরে পালক মেলে দিলে পোকাগুলো পালায়, আর কি আরাম পাই। আজ রোদ্দুরে একটুও কষ্ট হচ্ছিল না, খুব মজা লাগছিল।
টিয়াঃ
যাক, সব্বাই তাহলে লক্ষ্য করেছিস, কিন্তু ভাবিস নি।
মাছরাঙাঃ
কি ভাববো বলো তো, টিয়াদিদি?
চড়াইঃ
আমি জানি, টিয়াদিদি, কি বলবে।
শালিখঃ
অ্যাঃ, তুই এইটুকুনি একটা পাখি, তুই কি জানিস, রে?
চড়াইঃ
হ্যাঁ, আমি জানি, আমি জানি। তার মানে পুজো আসছে, পুজো এসে গেছে। তাই না, টিয়াদিদি?
পেশায় সিভিল ইঞ্জিনীয়ার হিসেবে প্রায় ২৫ বছর ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মাণ কাজে জড়িত। সঙ্গে লেখালেখির ইচ্ছে ও অভ্যেস অনেকদিনের।বিভিন্ন মুদ্রিত পত্রিকা এবং ওয়েব ম্যাগে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে নানাধরণের সৃষ্টি...এবং এই ইচ্ছামতী সেই ইচ্ছের পালে ভরে তুলছে অনুকূল বাতাস।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা