সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

এবারের গরম বড্ড নাকাল করল যা হোক ! এমন গরম বহুদিন পড়ে নি।

সেটা নিয়ে একটু কিছু বলি ?

গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি হবে, এ আর বেশি কথা কি! তবে কালবৈশাখী হলে কিছুটা গরম কম হত। এবার ত তা হয় নি একেবারেই, তাই এত গরম। এছাড়াও অন্য কারনও আছে। তার দু'একটা বলি।

আর্দ্রতা কাকে বলে জান ? এটা জানলে বুঝতে পারবে কখন গরম, কখন ঠান্ডা লাগবে!

ধর, কোন গরমের দিনে বিকেল বেলা বন্ধুদের সাথে কোন পুকুরের ধারে বেড়াচ্ছ। কোন কিছু না ভেবেইএকজন বলে দিল, কি ঠান্ডা দেখেছিস! যেন কাছাকাছি জল থাকলেই সেখানে ঠান্ডা হবে! অথচ তখন সেখানে হয়ত দম বন্ধকরা দারুন গরম! সে বন্ধু কেন এমন বলল জান ? কারন আমরা জানি, গরমে স্নান করলে শরীর শীতল হয়। তাই আমাদের ধারনা, জল থাকলেই ঠান্ডা হবে! সর্বদা যে জল থাকলেই ঠান্ডা লাগবে, এমন কথা কে বলেছে ? এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে বাতাসের মধ্যেকার জলীয় বাষ্পের পরিমানের ওপর!

এর আগে কোন সময় বলেছিলাম জলীয় বাষ্পের কথা। সূর্যের তাপে নদী নালার জল গরম হলে বাষ্প তৈরী হয়। এরা ওপরে উঠে বাতাসে ভাসতে থাকে। বাতাসে যে জলীয় বাষ্প থাকে, তা বোঝানোর জন্য একটা পরীক্ষার কথা বলেছিলাম। মনে আছে ?

সেই যে বলেছিলাম, একটা কাচের গ্লাসে বরফজল রেখে দিলে গ্লাসের বাইরের শুকনো গায়ে জল জমে যায়! এতে প্রমাণ হয় বাতাসে জলীয় বাষ্প আছে। আগের "ইচ্ছামতী" খুঁজে "পরশমনি"-তে দেখে নাও।

তা, বাতাসে জলীয় বাষ্প সব সময় একই পরিমান থাকে না, কখনও বাড়ে কখনও কমে। কলকাতা শহর বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় বাতাসে সব সময়ই বাষ্প বেশি থাকে, কিন্তু বাঁকুড়া,বীরভুম, পুরুলিয়া, বর্ধমানের পশ্চিমাংশ-- এই সব জায়গায় বাতাস বেশ শুকনো, মানে বাষ্প কম। এর কারন সমুদ্র থেকে এই সব জায়গা দুরে রয়েছে।

খবরের কাগজে দেখে থাকবে রোজকার আবহাওয়ার খবর। এর মধ্যে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে একটা কথা থাকে। এটা একটা খটমট ব্যাপার, বুঝতে পারবে না যে তা নয়, তবে খুব একটা বোঝার দরকার নেই এখন। তাই বলছি না। এতে সরল কথায় বোঝায় যে বাতাসে জলীয় বাষ্প আছে কিনা, আর থাকলে, কম না বেশি। আর এই কম বা বেশি থাকার ওপর নির্ভর করে আপেক্ষিক আর্দ্রতা-এর পরিমান।আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকলে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকবে, আর কম হলে জলীয় বাষ্প কম থাকবে।

সন্তোষ কুমার রায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক। বিষয় পদার্থবিজ্ঞান। শৈশব ও কৈশোর যথাক্রমে বাংলাদেশে এবং কলকাতায় কাটলেও, কর্মজীবন কেটেছে বাংলা বিহার সীমান্তের হিন্দুস্থান কেব্‌ল্‌স্‌ শিল্পনগরীতে। শিল্পনগরী থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় ছোটদের এবং বড়দের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক লেখা লিখেছেন বহুবছর। বর্তমানে ইচ্ছামতীর পরশমণি বিভাগে নিয়মিত লেখা ছাড়াও তিনি একটি গ্রুপ ব্লগের সদস্য রূপে লেখালিখি করেন ।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা