৪. দৈত্যের জাঙাল (Giant’s Causeway)
উত্তর আয়ারল্যান্ডের আনত্রিম কাউন্টির সমুদ্রতীরে প্রায় ৪০০০০ পরস্পর আলিঙ্গনাবদ্ধ ব্যাসল্ট (এক ধরনের আগ্নেয়গিরিজাত শিলা) স্তম্ভ দেখা যায় | এই বিশাল ব্যাসল্ট স্তম্ভ গুলি এমন ভাবে সাজানো আছে যা দেখলে মনে হয় কোনো বিরাট দৈত্য যেন একটা অত্যাশ্চর্য আল রাস্তা তৈরী করেছে | পাহাড়ের নিচ থেকে শুরু হয়ে এই ব্যাসল্ট স্তম্ভ গুলি সমুদ্রের জলের মধ্যে চলে গিয়েছে | বেশিরভাগ স্তম্ভ গুলিই ষড়্ভুজাকার, তবে কিছু কিছু অষ্টকোণী বা পঞ্চকোনি স্তম্ভ দেখা যায় | স্তম্ভ গুলি প্রায় ১০ থেকে ১২ মিটার উঁচু, আর কিছু জায়গায় এই ব্যাসল্ট লাভা স্তর প্রায় ২৮ মিটার পুরু হয়ে গেছে | প্রায় ৫০-৬০ মিলিয়ন বছর আগে এই অঞ্চলে তীব্র অগ্ন্যুত্পাত হয়েছিল | সেই সব লাভা জমে আগ্নেয় শিলা তৈরী হলো | লাভা জমার সময় খাঁজে বিভক্ত হয়ে এই ধরনের স্তম্ভ তৈরী হয়েছে | এটি ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো দ্বারা একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষিত হয় | এই স্তম্ভ গুলি নিয়ে অনেক ধরনের আইরিশ কিংবদন্তি প্রচলিত আছে |
৫. অরোরা বোরিয়ালিস বা সুমেরুপ্রভা
উচ্চ অক্ষাংশ (আর্কটিক এবং দক্ষিণ মেরুদেশীয়)অঞ্চলের আকাশে এক ধরনের প্রাকৃতিক আলো দেখা যায় যা দেখে তুমি অবাক হয়ে যাবে | মনে হবে আকাশে কিছু রং-বেরঙ্গের ধোঁয়া উঠছে বা পর্দা ঝোলানো আছে | আসলে আমাদের বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকের স্তরে বৈদ্যুতিক কারণে কিছু ঋণাত্মক আর ধনাত্মক চার্জ যুক্ত কণা তৈরী হয়ে যায় | এই সব কনা গুলির মধ্যে ঘর্ষণ হয়ে বিভিন্ন রঙের আলো উত্পন্ন হয় যা আমরা রাতের আকাশে দেখতে পাই | একে সুমেরুপ্রভাও বলা হয় | পৃথিবীর বাইরে যে সব উপগ্রহ ঘরে, তার থেকেও এই সুমেরুপ্রভার ছবি তলা হয়েছে |
লেখাঃ
ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যি
ভূতত্ববিদ
উলানবাটার, মঙ্গোলিয়া
ছবিঃ
ইন্টারনেট