খেলাঘরখেলাঘর

উত্স সন্ধানে

পৃথিবীর অন্যতম বৃহদাকার প্রাণী হাতির উদ্ভব ও জীবনযাপনকে ঘিরে নানা দেশে নানা সময় বিবিধ জনশ্রুতি প্রচলিত আছে । ছোট বড় এইসব অজস্র কাহিনিমালার ভিড়ে কোথাও হয়তো মেলে সামান্য সত্যের আভাস,বাকিটা মূলত কল্পনা আর অলৌকিক বিশ্বাসের হাত ধরে উঠে আসা সাধারণ মানুষের চিরন্তন চাওয়া পাওয়ার কিছু নিটোল ছবি । যেমন ধরা যাক সুদূর আফ্রিকা মহাদেশের কথাই!যেখানে হাতিকে কেন্দ্র করে গড়া ওঠা আঞ্চলিক গল্পগুলো কোনো অংশেই বৃটেনের জাদুকর দেবতার কীর্তিকলাপের চেয়ে কম রোমহর্ষক নয় ।

অরণ্য রাজ্যের সর্বেসর্বা,দুর্বল প্রাণীকুলের উদ্ধারকারী ও পশুসমাজের সেনাপতি হাতির পদমর্যাদা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আজও সর্বোচ্চ । শুধু দৈহিক বলের প্রতাপে নয় বরং চমত্কার স্থিতধী বুদ্ধি ও তত্পরতায় প্রতিপক্ষকে বোকা বানাতে নাকি হাতির জুড়ি মেলা ভার । প্রায় সাড়ে সাত কোটি বছর আগে সামগ্রিক প্রতিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে কত শক্তিশালী প্রাণীর দোর্দণ্ড অস্তিত্ব ভূপৃষ্ঠ থেকে মুছে গেছে চিরতরে; সেখানে হাতি নামক বিরাটবপু  জন্তুটির বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকা জীবজগতে এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত অবশ্যই । মানুষের বুদ্ধিমত্তার কথা ছেড়ে দিলে আর কোনো প্রাণীর এমন মস্তিষ্ক সঞ্চালনের চেষ্টা স্বভাবতই পুরাতত্ত্ববিদদের মনেও প্রশ্ন জাগায় । আর এই জিজ্ঞাসার সূত্র ধরেই জন্ম নেয় সহজ অবৈজ্ঞানিক কিছু গল্পের কাঠামো । যুগ যুগ ধরে তিলে তিলে বাহারি রূপে রঙে সেজে আকার নেয় শত শত বিস্ময়কর কাহিনির।