খেলাঘরখেলাঘর

FacebookMySpaceTwitterDiggDeliciousStumbleuponGoogle BookmarksRedditNewsvineTechnoratiLinkedin
palash-shimul


কিছুদিন আগে মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে হয়ে গেল সরস্বতী পুজো। হলুদ শাড়ি বা সাদা পাঞ্জাবি পরে সরস্বতী পুজোর অঞ্জলি দিয়েছিলে তো? আর দুপুরে কি খেলে? খিচুড়ি আর পাঁপড়ভাজা? পুজোর আগে আবার ভুল করে কুল খেয়ে ফেলনি তো? পুজোর পরের দিন দই-খই এর ফলার খেয়ে  দেবী সরস্বতী তো তাঁর রাজহাঁস কে নিয়ে  চলে গেলেন নিজের মায়ের কাছে। আর এখানে? আশীর্বাদের সাথেই তোমার আর তোমার মায়ের জন্য রেখে গেলেন  বার্ষিক পরীক্ষা!! আরো অন্য বন্ধু- দাদা-দিদিদেরও শুরু হয়ে গেছে, বা খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে নানা রকমের পরীক্ষা। ভাল লাগে কারো? - কিন্তু কি আর করবে বল? পরীক্ষার পড়া তো করতেই হবে। বরং পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে, ইচ্ছামতীর সাথে ভাব করে ফেল। দেখবে, মন ভাল হয়ে যাবে।

সরস্বতী পুজো চলে যাওয়া মানেই কিন্তু শীতের ছুটি। শীতবুড়ো যে নিজের লেপ-কম্বল পিঠে ফেলে চলে গেছে, সেটা তো একটু একটু করে বাড়তে থাকা গরম, দক্ষিণ দিক থেকে ভেসে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের ছোঁয়া আর ক্রমশঃ বড় হওয়া দিন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সামনেই আবার আসছে দোলপূর্ণিমা। উত্তর ভারতের 'হোলি' আর বাঙ্গালিদের 'দোল' - একই উতসবের দুই নাম। ফাল্গুনমাসের পূর্ণিমায় এই উতসব বয়ে নিয়ে আসে নতুন জীবনের বার্তা। শীতঘুমের রেশ কাটিয়ে চারিদিকে বড় বড় গাছের ন্যাড়া ডালে জেগে উঠেছে কচি সবুজ পাতা। শহরের মাঝে ফ্লাইওভার দিয়ে যেতে যেতে হঠাত দেখা হয়ে যায় দশতলা বাড়ির পাশে লাল টকটকে পলাশ ফুলে ভরা একলা গাছটার সঙ্গে। একা একাই জানিয়ে দিচ্ছে - বসন্ত এসে গেছে। তোমার বাড়ির কাছে কি কোন পার্ক আছে? বা গাছপালায় ভরা বাগান? যদি থাকে, চলে যাও একদিন বিকেলবেলা। বুক ভরে নিঃশ্বাস নাও। দেখবে কত রকমের মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসবে - আমের মুকুল, শিরীষ, মধুমালতি, কৃষ্ণচূড়া, করবী -রঙ আরে সুগন্ধে দিকবিদিক ভরিয়ে তুলে জানান দেবে- এসে গেছে ঋতুরাজ বসন্ত।

পলাশ-শিমূল

দেখতে দেখতে ইচ্ছামতীও তৃতীয় সংখ্যায় পা দিল। 'বসন্ত সংখ্যা ২০০৯' এসে গেল তোমার জন্য নিয়ে অনেক গল্প আর জানা অজানা নানা তথ্য। এই সংখ্যায় 'দেশে-বিদেশে' বিভাগে আমরা বেড়াতে যাব জাপানের টোকিও, পশ্চিমবঙ্গের টাকি আর ফ্লোরিডার প্যারট জাঙ্গল-এ। অন্যান্য ধারাবাহিক এবং নিয়মিত বিভাগ গুলি ছাড়াও থাকছে নতুন একটি বিভাগ - তোমার এবং আমার প্রিয় কমিকস চরিত্রগুলির খবরাখবর নিয়ে 'কমিকস কাহিনী'। আরও আছে।  এই  দখিনা হাওয়ার দিনগুলি কেমন কাটে পাখিরালার আনন্দীর আর আন্দুবস্তির সুরেশের? - জানতে হলে পড়ে ফেল এই 'বসন্তের কথা'। গত সংখ্যায় চেয়েছিলাম 'রঙ' নিয়ে গল্প। কিন্তু আমাদের কোন পাঠক-পাঠিকাই এই বিষয় নিয়ে গল্প/লেখা পাঠায়নি। তাই এই সংখ্যায় বিষয়ভিত্তিক কোন গল্প রইল না।

ইচ্ছামতী যে শুধু ছোটদের কথাই বলছে না, বড়দেরকেও ফিরিয়ে দিচ্ছে ছোটবেলার স্বাদ, আমাদের 'চিঠি পাঠাও' বিভাগ দেখলেই সেটা বুঝতে পারা যাবে। ইচ্ছামতীকে সবার ভাল লাগছে জেনে আমিও খুব খুশি। একটা ছোট্ট তথ্য তোমার সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। গত দুটি সংখ্যার ইচ্ছামতী পড়ে ফেলেছেন পৃথিবীর ছাব্বিশটি দেশের প্রায় ছয়শোর ও বেশি পাঠক-পাঠিকা! আমাদের ছোট্ট ইচ্ছামতী এত মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে জেনে তোমারও নিশ্চয় খুব ভাল লাগছে? ছোট -বড় সব পাঠকের ভাললাগা আর ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যাবে ইচ্ছামতী- এই তো চাই। তোমার এবং তোমার বন্ধুদের আরো আরো লেখা আর ছবি চাই কিন্তু ইচ্ছামতীকে সাজিয়ে তোলার জন্য।

আবির
এইবার থামি। তোমার জন্য  সাত-রঙা আবির আর আঁচল ভরা পলাশ-শিমূল-শিরিষ রেখে এবারের মত শেষ করলাম প্রথম পাতা।


চাঁদের বুড়ি