সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

জাগল উষা মুছল আঁধার উঠল জেগে পাখি
ভোরাই সুরে গান গেয়ে সে খুলল সবার আঁখি।
দুলিয়ে কোমর কাশফুলেরা ডাকছে শুধু, 'আয়!'
সে ডাক শুনে বদ্ধঘরে আর কি থাকা যায় ?
চলল সবাই নিজের কাজে মৌমাছিরা ফুলে
নদীর তীরে কাশফুলেরা উঠল দুলে দুলে।
গাঁয়ের পথে কলমিলতা ফুল ফুটিয়ে ডাকে
ছোট্ট নদী যায় হারিয়ে একটু দূরের বাঁকে।
সবাই দারুণ ব্যস্ত এখন, লাঙল চালায় চাষি
গ্রামের গরু চরছে মাঠে,  রাখাল বাজায় বাঁশি।
এমনি করেই দিন গড়িয়ে আসল দুপুরবেলা
ফিরল খোকন মায়ের কোলে সাঙ্গ করে খেলা।
নিঝুম দুপুর সূয়্যিমামা এখন প্রখর খুব
মাছের খোঁজে মাছরাঙাটা দিচ্ছে তবু ডুব।
অলস দুপুর ফুরিয়ে গিয়ে বিকেল এল ওই
নদীর বুকে জোয়ার এল, জল করে থই থই।
গাঁয়ের রাখাল ফিরল ঘরে উড়িয়ে দিয়ে ধুলো
সূয়্যিমামাও চোখরাঙিয়ে দিগন্তে ওই শুলো।
মুছল আলো সন্ধ্যাবুড়ির নিকষকালো হাত
গাঁয়ের বুকে আসল নেমে শেয়াল ডাকা রাত।

ছবিঃ মহাশ্বেতা রায়

সুদীপ্ত বিশ্বাস কবিতা লিখতে ভালবাসেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। পেশায় সরকারি কর্মচারী, রানাঘাটের বাসিন্দা সুদীপ্ত একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা