এখন আমি হাত পা ছুড়ে কখনো ‘মাম’ বলি
ফেনিল ঠোঁটে কখনো ‘দাদ’ ‘নান’
পায়ের বুড়ো আঙুলটাকে মুখে
নিতে করি দিগ্বিজয়ীর ভান।
তাতেই তোমরা হলে যে আটখানা
মশারিটা উল্টাতে দেই বিছানটাতে হানা
ছোট্ট ওটা চরকি ঘোরে উঠোন
আমি কি আর আছি এখন ছোটন?
আমি এখন বসতে পারি একা বিছানটাতে
খাবার কিছু মুখে তুলি নিজেই নিজের হাতে
শুধু কি আর বিছানটাতে বসতে ভাল লাগে
তোমার মতন ঘরটা জুড়ে হাঁটার সাধও জাগে।
মাগো তুমি এই যে দেখ দিলাম এবার হামা
দাঁড় করিয়ে এবার পরাও রঙিন জুতা জামা।
আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
টিয়ে ঠোঁটে রঙ ছড়িয়ে সূর্য দেখি উঠতে
এমন সময় তুলি কর্মে মুনকে দেখি ছুটতে।
মনের কোণে লুকিয়ে আছে কতো রঙিন শখ যে,
তুলির টানে আঁকতে পারে কাস্তে গলা বক
চু কিত্ কিত্, চু কিত্ কিত্
চু কিত্ কিত্ তা
এই ছেলেটা ভেলভেলেটা
খেলবি নাকি আয়।
মাঠের ওপর বিকেল নামে
সূয্যি গেল ডুব -
...
ইচ্ছে হলেই আকাশে উড়ি
ইচ্ছে হলেই ঘুরি,
চাঁদের দেশে পসরা নিয়ে
ইচ্ছে করি ফেরি ।
গোলাপকে ত গোলাপ বলেই জানতাম রে ভাই,
এখন শুনি বলছে সবাই আপেল নাকি তাই ।
নাসপাতিটাও গোলাপ হ'ল,
শোন হে সব্বাই;
টোপাকুল কি গোলাপ ফুল
দলছুট ময়না
করে শুধু বায়না,
মেলা থেকে এনে দে
লাল নীল গয়না।
চোখ করে ছলছল
মুখ করে ভার,
সবেতেই অরুচি
সুখ নেই তার ।
...
কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি!
পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-
নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-
ডাইনি
একটা খেলার মাঠ, সঙ্গে সহজ পাঠ,
সবুজ গহন বন কাটাই অনেকক্ষণ;
বৃষ্টি মেঘের দল, নৌকো ছলাত ছল;
গাছেই পাখির বাসা
কাগজফুলের গাছে,
রঙিন পাতার কাছে-
একটা ছোট্ট পাখি
করে ডাকাডাকি;
কাছে থেকে দূরে,
বেড়ায় উড়ে উড়ে,
সন্ধ্যাবেলা শেষে,
ঘরে ফিরে
মাসী গো মাসী, যাচ্ছ কাশি ?
সঙ্গে নেইকো সাথী ?
একলা যাবে বিদেশ বিভুঁই
কেমনে কাটাবে রাতি ?
মাসি বললে, "থামত বাপু
করিস নে আর ঝগড়া
পাতা ছোঁয়া, মেঘ পালানো রোদের লুটোপুটি,
শিউলি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে এলো পুজোর ছুটি।
ছুটিচলো তেপান্তরের ঘুম ছমছম গাঁয় –
সোনার কাঠি ছোঁয়ালে কে
