
স্কুল থেকে ফিরতে ফিরতে একদিন একটা নতুন দোকান দেখলাম। সেখানে চকলেট পাওয়া যায়। তার পরের দিন আমি মাকে বললাম- স্কুল থেকে ফেরার সময় তোমাকে গাড়ি করে আমায় বাড়ি নিয়ে আনতে হবে না । বন্ধুদের সঙ্গে হেঁটে ফিরব । মা বলল আমি জানি তোর চকলেট খাওয়ার ধান্দা। “এই যে ১0 টাকা নিয়ে যা” ।গাড়ি করে স্কুলে যেতে যেতে দেখলাম দোকানে অল্প চকলেট ছিল। ভাবলাম প্রথম দিন তাই বেশি চকলেট নেই। পরে দোকানটা বড় হবে।স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করলাম ;সবাই মিলে ভালো করে চকলেট খেতে খেতে বাড়ি ফিরব । মনে হল বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে খেলে বেশি চকলেট খেতে পারব। তাতে বেশি মজা । ফেরার পথে চকলেটের দোকানে গিয়ে দেখি চকলেট নেই। আমরা আকাশ থেকে পড়লাম । এতক্ষণ চকলেটের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম, কিন্তু সে যে শেষ! দোকানে তখন বন্ধ হয়নি । দোকানদার আমাদের বুঝিয়ে দিলেন “এখনই একজন মহিলা আমার দোকানে এসে এই চকলেট খেয়ে খুব প্রশংসা করলেন ।এতই ভালো ছিল যে তিনি সব চকলেট কিনে ফেললেন এই এখন দোকান বন্ধ করছি কাল আবার চকলেট আনবো তোমরা এসো” ।আমরা সে শুনে দুঃখ পেলাম । মাথা নিচু করে বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি এসে দেখলাম টেবিলে ভর্তি চকলেট মা একটা নিয়ে খাচ্ছেন। “কী ভালো চকলেট !একটা খেয়ে দেখ । পৃথিবীর সেরা। “
আমার কথাঃ
আমি ব্রহম বন্দ্যোপাধ্যায়।আমি গার্ডেন হাই স্কুল সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি।আমার কবিতা পড়তে এবং আবৃত্তি করতে খুব ভাল লাগে। কবিতায় সুন্দর তাল ও ছন্দ আছে। কবিতাতে গল্প ভালো থাকে। আমার প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমার প্রিয় গল্পের বই 'কথা ও কাহিনী'। এছাড়া আমার ম্যাপ দেখতে খুব ভালো লাগে। অনেক দেশ বিদেশের ব্যাপারে জানা যায়। কোন দেশে কী ভালো কী মন্দ সব জানা যায়। তাছাড়াও আমার অংক করতে ভালো লাগে। আর একটা বই যার নাম 'ইমিয়ুন' আমি পড়েছি, আর খুব ভালো লাগেছে । এই বইটা আমাদের ইমিউন সিস্টেমের ওপর লেখা। কঠিন ব্যাপারটা খুব সহজে বোঝানো হয়েছে। ছবি ভর্তি- তাতে বোঝা আরোই সহজ।
ছবিঃ পিক্সাবে