Elephantটা Funটা
জানো আমি কোথায় গেছিলাম? সেটা একটা Zoo এর আগে কখনো যাই নি ভীষন মজার জায়গা। কত animals ছিল সেখানে নানা দেশের নানান পশু আর পাখি।
আমার সব থেকে ভালো লাগলো বিশাল Elephant কে। ওর একটা এই-য়া লম্বা Trunk আছে ও সেটা মাথায় তুলে আমায় 'Welcome' করলো আমি যে ওকে দেখতে গেছি এত দূর থেকে!
আর তেমনি লম্বা হলো Giraffe ও ওর লম্বা গলা বাড়িয়ে দিল আর আমি ওকে হাতে করে সবুজ গাছের পাতা খাইয়ে দিলাম। ওর এত ভালো লাগলো ও আরো খাবে বলে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। ওর চোখগুলো কি সুন্দর!
আর আমি কি দেখেছি জানো? সারি সারি Flamingo ওরা খুব সুন্দর দেখতে এক রকমের পাখি। ওরা যেখানে যায় সবাই একসাথে যায়, এক ভাবে দাঁড়ায় আর এক সাথে আবার উড়ে যায়।
তারপর আর একটু ওদিকে গিয়ে দেখি একটা lake আর সেখানে একটা গাছের ডাল জড়িয়ে অনেকগুলো Turtle একসাথে রোদ্দুর পিঠে দিয়ে শুয়েছিল।
এই Zoo তে গিয়ে আমার এত ভালো লেগেছে তারপর বাড়ি ফিরেও কয়েকদিন আমি শুধু Elephant, Giraffe, Baboon ওদের কথাই ভেবেছি। আমি আবার যেতে চাই সেখানে।
আমি animals ভীষন ভালবাসি। আমি Zoo তে গিয়ে একটুও চিৎকার করি নি আর সেখানে কোনো খাবার বা কাগজ ফেলি নি। আমি সেখানে একটা মজার জিনিস দেখেছি যা আমি আগে কখনো দেখিনি। সেটা হলো কলা-র ফুল। আমি রোজ Banana খাই সেটা তো একটা ফল কিন্তু কোনদিন তার ফুল দেখি নি। এই Zoo তে অনেক কলা গাছ, বাঁশ গাছ এইসব ছিল সেখানে কলা গাছে আমি কলা-র ফুল দেখেছি, বাবা বলেছে তাকে "মোচা" বলে।
তোমরাও কি এরকম আমার মত Zoo দেখেছ? আমি ওখান থেকে ফিরে আসার আগে একটা বড় Palm Tree কে একটা big hug করেছি আর বলেছি "আবার আসব" আর বাড়ি ফিরে বন্ধুদের সবাইকে বলব ওখানে যেতে। তোমরাও যেও কিন্তু॥
গল্প বলেছেঃ
অহনা মুখার্জী, ৪ বছর
অক্সফোর্ড, মিসিসিপি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র
লিখতে সাহায্য করেছেন অহনার মা।
Zoo টা ছিল : Audubon Zoo, New Orleans, State of Louisiana, USA
তুমিও কি অহনার মত আমাদের সাথে গল্প করতে চাও? বলতে চাও তোমার মনে যা খুশি আসে , লিখতে চাও ছড়া? তাহলে চটপট লিখে, নিজের ছবিসহ পাঠিয়ে দাও আমাদের কাছে, এই ঠিকানায়:
- বিস্তারিত
- লিখেছেন সৃজন বিভাগ
- ক্যাটfগরি: নিয়মিত
প্রকৃতির কান্ডকারখানা
আজ আমি তোমাকে পৃথিবীর কয়েকটা অত্যাশ্চর্য ভূতাত্ত্বিক গঠনের সম্বন্ধে জানাবো | দুনিয়াতে কত রকমেরই না আজব আজব জিনিস দেখতে পাওয়া যায় | প্রকৃতি আমাদের দেখার জন্য এতরকমের আশ্চর্যকর জিনিস তৈরি করেছে যার কল্পনাও করা মুশকিল | এমনি কয়েকটা ভূতাত্ত্বিক গঠনের কথা আজ তোমাকে আমি বলছি |
১. হুডু
সবচেয়ে প্রথম যে ভূতাত্ত্বিক গঠনের কথা তোমাকে আমি বলবো তা হচ্ছে হুডু | আফ্রিকা এবং আমেরিকাতে কিছু জাদুবিদ্যা প্রচলিত আছে যাকে হুডু বলা হয় | এই ধরনের জাদুবিদ্যা যারা মানে তারা এক ধরনের লম্বা উঁচু কাঠের থাম বানায় যার ওপর অনেক রকমের নকশাকারী করা থাকে | এই সব কাঠের খুঁটিকেও হুডু বলা হয় | আমেরিকার কিছু জায়গায় এক ধরনের স্তরীয় শিলা আছে যা ক্ষয় হয়ে অনেকটা হুডুর মতো রূপ ধারণ করেছে | বিশেষ করে কলোরাডোর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের কাছাকাছি বেশ কয়েক জায়গায় এই ধরনের হুডু দেখা যায় | এই আজব গঠনের জন্য প্রকৃতির ক্ষয় শক্তি দায়ী |
পাথর কনার মধ্যে যে সিমেন্ট থাকে, যা পাথরের কনাগুলিকে একসঙ্গে দ্রবীভূত করে রাখে, বৃষ্টির জল পাথরের মধ্যে চুঁইয়ে ঢুকে তা গুলিয়ে বার করে দেয় | ধীরে ধীরে এই সব পাথর ক্ষয় হয়ে হুডুর আকার ধারণ করে | নিচের ছবিগুলি দেখলেই তুমি বুঝতে পারবে এটা কিভাবে হচ্ছে |
প্রথম ছবিঃ ক্ষয় হয়ে পাথর কেটে যাচ্ছে
দ্বিতীয় ছবিঃ পাথর কেটে অনেকটা পাখনার মতো বেরিয়ে আছে
তৃতীয় ছবিঃ আরো ক্ষয়জনিত কারণে হুডু তৈরী হয়েছে
২. সুনামি (Tsunami)
জাপানে সুনামি হয়ে প্রায় দশ হাজার লোক মারা গেলো | ভূমিকম্প এবং তারপর সুনামির কারণে পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রে দুর্ঘটনা হয়ে হাজার হাজার লোক নিজেদের বাড়ী ঘর ছেড়ে আজ ত্রাণ শিবিরে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে | কিন্তু এই সুনামি কি এবং কেন হয় তা কি জানো? আসলে সমুদ্র তলের পাথরে আকস্মিক স্খলন হয়ে ভূমিকম্প হয় | এই ভূমিকম্প সমুদ্রের মাঝে এক বিরাট ঢেউএর সৃষ্টি করে | এই ঢেউ যতই ডাঙার কাছাকাছি আসে ঢেউএর উচ্চতা বাড়তে থাকে | অবশেষে যখন এই ঢেউ সমুদ্র কূলে আছড়ে পরে, তখন তার উচ্চতা ৫ থেকে ১৫ মিটার হতে পারে | তবে তুমিই ভেবে দেখো, প্রায় দুতলা থেকে পাঁচ তলা বাড়ির সমান উঁচু ঢেউ যখন সমুদ্র কূলে আছড়ে পরবে, তখন সে সমুদ্র কূলের মানুষ জন, ঘর বাড়িকে কি পরিমানে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে |
৩. ডেভিলস টাওয়ার (Devil’s Tower)
আমেরিকার Wyoming রাজ্যে ১২৬৭ ফিট উঁচু একটি পাহাড় আছে যার নাম ডেভিলস টাওয়ার | এই পাহাড়টি আসলে একটি স্তরভেদী গম্বুজাকৃতি আগ্নেয়শিলা যার আশে-পাশের পাথর প্রকৃতির নিয়মে ক্ষয় হয়ে গিয়েছে | মাটি থেকে সটান ওপরে ওঠা এই পাহাড়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন জাতীয় সৌধ হিসেবে ঘোষণা করা হয় |
আদ্যিকাল থেকেই নেটিভ আমেরিকানরা (রেড ইন্ডিয়ান) এটিকে একটি পবিত্র স্থান হিসেবে মান্য করে চলতো | স্টিফেন স্পিলবার্গ তাঁর সুপারহিট চলচ্চিত্র “Close Encounters of the Third Kind” -এ এই পাহাড়টিকে দেখিয়েছেন | লক্ষ লক্ষ বছর আগে সমুদ্র তলের পাথর ভেদ করে যে ম্যাগমা উঠে এসেছিলো তাই পরে আগ্নেয় শিলা হয়ে গেছিলো | আশে-পাশের স্তরীয় শিলা ক্ষয় হয়ে যাওয়াতে এই বিশাল আগ্নেয় শিলা আজ পৃথিবী বুকে এক আজব পাহাড় হয়ে আমাদের সামনে দেখা দিয়েছে |
৪. দৈত্যের জাঙাল (Giant’s Causeway)
উত্তর আয়ারল্যান্ডের আনত্রিম কাউন্টির সমুদ্রতীরে প্রায় ৪০০০০ পরস্পর আলিঙ্গনাবদ্ধ ব্যাসল্ট (এক ধরনের আগ্নেয়গিরিজাত শিলা) স্তম্ভ দেখা যায় | এই বিশাল ব্যাসল্ট স্তম্ভ গুলি এমন ভাবে সাজানো আছে যা দেখলে মনে হয় কোনো বিরাট দৈত্য যেন একটা অত্যাশ্চর্য আল রাস্তা তৈরী করেছে | পাহাড়ের নিচ থেকে শুরু হয়ে এই ব্যাসল্ট স্তম্ভ গুলি সমুদ্রের জলের মধ্যে চলে গিয়েছে | বেশিরভাগ স্তম্ভ গুলিই ষড়্ভুজাকার, তবে কিছু কিছু অষ্টকোণী বা পঞ্চকোনি স্তম্ভ দেখা যায় | স্তম্ভ গুলি প্রায় ১০ থেকে ১২ মিটার উঁচু, আর কিছু জায়গায় এই ব্যাসল্ট লাভা স্তর প্রায় ২৮ মিটার পুরু হয়ে গেছে | প্রায় ৫০-৬০ মিলিয়ন বছর আগে এই অঞ্চলে তীব্র অগ্ন্যুত্পাত হয়েছিল | সেই সব লাভা জমে আগ্নেয় শিলা তৈরী হলো | লাভা জমার সময় খাঁজে বিভক্ত হয়ে এই ধরনের স্তম্ভ তৈরী হয়েছে | এটি ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো দ্বারা একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষিত হয় | এই স্তম্ভ গুলি নিয়ে অনেক ধরনের আইরিশ কিংবদন্তি প্রচলিত আছে |
৫. অরোরা বোরিয়ালিস বা সুমেরুপ্রভা
উচ্চ অক্ষাংশ (আর্কটিক এবং দক্ষিণ মেরুদেশীয়)অঞ্চলের আকাশে এক ধরনের প্রাকৃতিক আলো দেখা যায় যা দেখে তুমি অবাক হয়ে যাবে | মনে হবে আকাশে কিছু রং-বেরঙ্গের ধোঁয়া উঠছে বা পর্দা ঝোলানো আছে | আসলে আমাদের বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকের স্তরে বৈদ্যুতিক কারণে কিছু ঋণাত্মক আর ধনাত্মক চার্জ যুক্ত কণা তৈরী হয়ে যায় | এই সব কনা গুলির মধ্যে ঘর্ষণ হয়ে বিভিন্ন রঙের আলো উত্পন্ন হয় যা আমরা রাতের আকাশে দেখতে পাই | একে সুমেরুপ্রভাও বলা হয় | পৃথিবীর বাইরে যে সব উপগ্রহ ঘরে, তার থেকেও এই সুমেরুপ্রভার ছবি তলা হয়েছে |
লেখাঃ
ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যি
ভূতত্ববিদ
উলানবাটার, মঙ্গোলিয়া
ছবিঃ
ইন্টারনেট
- বিস্তারিত
- লিখেছেন ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্যি
- ক্যাটfগরি: নিয়মিত
প্রথম পাতাঃগ্রীষ্ম সংখ্যা ২০১২
এসে গেল আরেকটা নতুন বঙ্গাব্দ - ১৪১৯। আজ পয়লা জৈষ্ঠ। পয়লা বৈশাখ থেকে এক মাস পেরিয়ে এসেছে। এত দেরীতে 'শুভ নববর্ষ' বলা চলে কি? চলে, চলে, মাথা নেড়ে জানাল ইচ্ছামতী। ইচ্ছামতী যখন সায় দিচ্ছেই, তাহলে তোমাকে বলেই ফেলি - 'শুভ নববর্ষ'। এই নতুন বছরে তুমি ভাল আছ তো? কেমন কাটল বছরের প্রথম দিন ? আমাদের তো বেশ কাটল। ইচ্ছামতী আর আমি একসাথে গপ্পো-সপ্পো করে, ভাল মন্দ খেয়ে বেশ কাটিয়ে দিলাম নতুন বছরের প্রথম দিন। তার সাথে ইচ্ছামতী একটু একটু করে সাজগোজও করতে লাগল - নতুন গ্রীষ্ম সংখ্যার নতুন সাজের জন্য।
তুমিওতো নতুনের আনন্দে ভরপুর এখন, তাই না? নতুন ক্লাসে উঠেছ, হাতে এসেছে নতুন নতুন পড়ার বই, হয়ত বা সাথে নতুন ব্যাগ আর জলের বোতলও? এই নতুন ক্লাসে তোমাকে কি নতুন কোন ভাষা শিখতে হবে, অথবা নতুন বিষয় পড়তে হবে? আমাদের চিঠি লিখে জানিও নতুন কি কি শিখবে তুমি এই বছরে।
পাঠ্য বিষয়ের কথা যখন উঠল, তাহলে বলি, তুমি কি জান, জিওলজি (geology) বা ভূতত্ববিদ্যা কাকে বলা হয়?
ভূতাত্বিকেরা শিলা পরীক্ষা করে দেখছেন
ভূস্তর, শিলা, এই সবের ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কিত যে বিজ্ঞান, তাকে বলে জিওলজি বা ভূতত্ববিদ্যা। স্কুলে ভূগোল পড়ার সময়ে আমরা অল্প-স্বল্প ভূতত্ব নিয়ে পড়াশোনা করে থাকি। কিন্তু তার বাইরেও ভূতত্বের পরিধি বিশাল। আমাদের পৃথিবী জুড়ে রয়েছে কত পাহাড়, পর্বত, গিরিখাত, নদী, সমুদ্র, মরুভূমি। জল , বাতাস, বরফ এবং উষ্ণতার মত প্রাকৃতিক শক্তি দিনের পর দিন নানারকমের ক্ষয়কার্য চালিয়ে সৃষ্টি করছে ভূমির নানা রকমের রূপ । তাই আমরা দেখতে পাই ছোট বড় পাহাড়, মালভূমি, উপত্যকা, ঝরণা, হ্রদ, ব-দ্বীপ। পৃথিবীর ভেতরে কি আছে, কিভাবে কোটি কোটি বছর ধরে পৃথিবী চেহারা একটু একটু করে বদলেছে, আর ভবিষ্যতে কিরকম হতে পারে -এইসব নিয়েই পড়াশোনা করা হয় ভূতত্ববিদ্যায়। ইচ্ছামতীর এই সংখ্যার প্রচ্ছদকাহিনী এবারে পৃথিবীর কিছু অবাক করা ভূতাত্বিক গঠন এবং কার্যকলাপ নিয়ে। খুবই কাকতালীয়ভাবে, মাত্র কিছুদিন আগেই ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে মাটির গভীরে এক ভূমিকম্প হয়েছিল। তার প্রভাবে কেঁপে উঠেছিল কলকাতা শহরও। প্রায় ২৮টি দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সুনামি হয়নি। অন্যান্য কিছু অবাক করা ভূতাত্বিক গঠনের সম্বন্ধে জানার সাথে সাথে, এবারের প্রচ্ছদকাহিনীতে থাকছে সুনামির কথাও।
অন্যদিকে, ক্রিকেটের দুনিয়ায় শুনতে পাওয়া গেল ভালো-মন্দ মেশানো বেশ কিছু খবর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ান-ডে এবং টেস্ট মিলিয়ে একশোটা একশো রান করে রেকর্ড গড়লেন সচিন তেন্ডুলকর। সচিনই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি এই বিরল সাফল্যের কাজ করতে পেরেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতীয় দলের বহুদিনের ভরসা 'দ্য ওয়াল' রাহুল দ্রাবিড। সৌরভ গাঙ্গুলি আই-পি-এল- এ ফিরে 'পুণে ওয়ারিয়র্সে' যোগ দিলেন। আর যুবরাজ সিং? দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন সবার প্রিয় এই ক্রিকেটার। কিন্তু মনের জোরে লড়াই চালিয়ে অনেকটা সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। আর সবাই আশা করছে, খুব তাড়াতাড়ি যুবরাজকে আবার ব্যাট হাতে দেখতে পাওয়া যাবে ক্রিকেটের মাঠে।
আজ এখানেই শেষ করি। এই গ্রীষ্মে, নতুন ক্লাসের নতুন পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে, তোমার সংগী হোক ইচ্ছামতী।
ভালো থেক।
চাঁদের বুড়ি
১৫ই মে, ২০১২
১লা জৈষ্ঠ, ১৪১৯
- বিস্তারিত
- লিখেছেন চাঁদের বুড়ি
- ক্যাটfগরি: নিয়মিত