সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
প্যালেস্টাইনের একটা পাথরের গল্প

সে ছিল এক সুখী পাথর। ইয়ে একজন পাথর যতখানি সুখী হতে পারে ততখানিই সুখী ছিল সে। একবার, মানে এখন থেকে হাজার হাজার বছর আগে কোন এক সময়, মাটির ভিতর থেকে কোন এক অগ্ন্যুৎপাতে তার জন্ম হয়েছিল। উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা লাভা থেকে সে পাথরে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। বহুকাল সে সমুদ্রের তলায় পড়েছিল। আর তারপর মাটির উপরে আরো আরো বহুকাল পড়ে রয়েছিল। জলের কনকনে ঠান্ডা কিংবা সূর্যের তাপে উষ্ণ হয়ে ওঠা জলের তাপ ইত্যাদি সবই সয়ে যেত সে। ধুলো ও পাথরে ভরা দিগন্ত বিস্তারী এক জায়গার একটা অংশ হয়ে গড়ে উঠেছিল।

খুব একটা বড় আকারের ছিল না। মোটামুটি দশ মিটার ব্যাস আর একদিকে গোলাকার এবং অন্যদিকে অনেকটা আয়তাকার। অন্যদের থেকে খুব আলাদা কিছু নয় তবে সামান্য হালকা গাঢ় পোঁচ ছিল। এ তথ্যগুলো যদিও আপাতভাবে অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে। পাথরটা কিছু চিনত না। কেন চিনত না তারও কোন কারণ ছিল না।
সে ভাবনা চিন্তা করত না। আবেগের অভাব।

সে একটা পাথর বৈ কিছু তো নয়।

ওরকম লাখ লাখ পাথর আছে।

একদিন মানুষেরা এল। অন্যান্য পশুদের থেকে একদম আলাদা। তারা অন্যভাবে চলাফেরা করত। অন্য ধরনের সোরগোল করত। ভীষণ আলাদা রকম করে তারা তাদের চারপাশের পরিবেশ পাল্টে ফেলল। নিজেদের বাড়ি বানানোর জন্য হাজার হাজার পাথর মাটি থেকে তুলে নিতে লাগল। আর এমনি করে সবকিছু বদলে গেল। সভ্যতার প্রথম কয়েক যুগের পরে পাথরকে ওরা এতভাবে কোনদিন ব্যবহার করেনি।

একদিন সকালে একজন মানুষ একটা বস্তা নিয়ে এসে হাজির হল। প্রচুর পাথর কুড়ালো। সূর্যের প্রখর তাপে নাজেহাল হয়ে থাকা ছোট ছোট অনেক পাথর কুড়িয়ে নিল। যাদের ও বস্তায় নিল তারা কেউ ওর থেকে খুব দূরে ছিল না। মানুষটা তাদের মেঝেতে ঢেলে ফেলল। তারপর ছোট ছোট নুড়িগুলোকে একটা কিউবে ভরে থকথকে মন্ড বানাতে শুরু করল। মন্ডটা যখন প্রায় তৈরী হয়ে এসেছে তখন পাথরগুলোকে যাতে পড়ে না যায় সেইজন্য এক উল্লম্ব দেয়ালের গায়ে ঠেকনা দিয়ে, একটার সঙ্গে আরেকটা জোড়া দিতে ব্যবহার করতে লাগল। গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ হল বাড়ি। পাথরটা তার অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হতে শুরু করল। মানুষের চোখের সামনেই বাড়ি তৈরী হতে শুরু করল, তবে সে বাড়ির দরজা ছিল ভিতর দিকে খোলা। আমাদের পাথর এভাবেই জীবনের সাক্ষী হয়ে থাকতে পারল।

এ জীবন তাদের জন্য জ্বলজ্যান্ত যারা তাকে অনুভব করতে পারত।
জীবন মানে ভালবাসা, স্বপ্ন দেখা, অপেক্ষা করা, হাসা, কাঁদা, খাওয়া, অস্তিত্ববান থাকা…
পাথরের যদি মন বলে কিছু থাকত তাহলে বলা যেত ওইসব বছরগুলোয় সে খুব খুশি ছিল।

সময় ঘুরল। পাথরের শান্ত অবস্থানে কোন উপদ্রব এসে জোটেনি। পাথরটা জানত না দেয়ালে অপর প্রান্তে কী ঘটে চলেছিল তখন। স্রেফ নিজের জীবনের একটা অংশই চিনত। ইয়ে অনেক বছর আগেও অবশ্য বিষয়টা মোটামুটি এরকমই ছিল। কারণে মাটির উপরে সে দিগন্ত আর আকাশ দুটোকেই দেখতে পারত। কিন্তু মাটির তলায় কী হচ্ছে সে সম্বন্ধে কোন ধারণাই ছিল না।

তার কাছে ব্যাপারটা একরকমই ছিল।
“দেখা” কিংবা “জানা” তার কাছে একই ব্যাপার হিসাবে প্রভাব ফেলত। কেননা সে তো এক পাথর মাত্র।
সে বাড়িতে বহু লোকজন, নারী, পুরুষ বেড়ে উঠেছিল এবং মারাও গেছিল।
বয়স্করা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। বাচ্চারা বড় হয়ে উঠেছিল। আবার সে যাদু দেখতে আরো অনেক লোক এসে পৌঁছে গিয়েছিল। ততদিনে বড়রা বুড়ো হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দিককার পাথরগুলোর মত তারাও অদৃশ্য হয়ে গেল। কিন্তু অপেক্ষার পুষ্টিতে ভরপুর থাকার জন্য সেখানে আরো অনেক বাচ্চার কোন অভাব থাকত না।
বৃদ্ধ, অন্ধ, মূক আমাদের পাথরের জানা ছিল না যে অপেক্ষা কাকে বলে।
নাকী জানা ছিল?
পাথরটা আর কিছুর খবর রাখত না।ওই ছিল তার কাছে গোটা পৃথিবী।
তার দুনিয়াকে প্রতিদিন সকালবেলায় সূর্যের আলো ভিতরটা আলোময় করে দিত, আবার রাতে অন্ধকার নেমে এলে সে জায়গা চাঁদের সাহায্যে আলোময় করে রাখত। ক্রমে সে দুনিয়া তিক্ততা আর দুঃখে ভরে উঠছিল।
পাথরটা নিজের কানে কারো হাসি শুনতে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিল।
সেখানে ছিল কেবল ফ্যাকাসে হলদে খয়েরি কন্ঠস্বর, ফিকে লাল নিস্তব্ধতা, হলুদ দুঃখ।
আর ছিল মৃত্যুর মত এক কালো প্রেত।
শেষ সময়টা খুব তিক্ত কেটেছিল।
দাঙ্গা শুরু হল। চারপাশ জুড়ে এল যত বন্ধ মুঠির দল, আকুতিভরা প্রার্থনা, অক্ষম গর্জন, ফাঁকা ফ্যালফ্যালে চাহনি।
মাঝে মাঝে কীসব অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যেত। পিষে মরার শব্দ, বিস্ফোরণের শব্দ অশান্ত ঝড়ের শব্দ টের পাওয়া যেত। মনে হত যেন পাখিরা খুব শিগগিরি কীসব আওয়াজ করতে করতে আকাশে উড়বে।
কিছু একটা বদল ঘটতে চলেছে।
হৃদয়হীন, মস্তিস্কহীন পাথর সেকথা জানত।

একদিন বাড়িতে খুব চিৎকার হল। সে চিৎকার পরিণত হল চোখের জলে। চোখের জল বদলে গেল হতাশায়। হঠাত করেই ধরিত্রী মা আর চারদিকের বাতাস বিক্ষিপ্ত হতে লাগল। ম্যাগমা লাভা যখন পৃথিবী সৃষ্টি করেছিল, সৃষ্টির সেই প্রথম দিনে যেমন হয়েছিল সেরকমই এক দারুণ ক্ষমতাবান ও শক্তিশালী লাভা পাথরটাকে দেয়াল থেকে হিঁচড়ে টেনে আনল। সে বিপর্যয় স্বাভাবিক ছিল না। বরং গত কয়েক দশক ধরে পাথরের বহিরাবয়ব পুরোটাই মনুষ্যজনোচিত হয়ে উঠেছিল। লোহার চামচ দিয়ে গড়া এক বিরাট ধাতব বস্তু এলাকার উপর নেমে আসছিল।

সচেতনভাবেই।

প্যালেস্টাইনের একটা পাথরের গল্প

ইতিমধ্যে যে দেয়ালের গায়ে বাড়িটা দাঁড়িয়েছিল সেটাও ভেঙে পরল। পাথর সাক্ষী ছিল চোখ খোলা ও বন্ধের ফাঁক দিয়ে। বাড়ির বাসিন্দারা সবাই কাঁদছিল। পাথরের একটু দূরেই মানুষেরা একই রকম পোশাক পরে একে অন্যকে আঁকড়ে জড়িয়ে ধরছিল। অন্য লোকদের সামনেই করছিল এসব। তাদের কারো চোখে দয়া বা ভালবাসার ছিটেফোঁটা দেখেনি কেউ। যে যন্ত্র দিয়ে প্রত্যেকটা দেয়াল ভেঙে ফেলছিল, সেখানে যে আদৌ একটা ঘর ছিল তার প্রতিটা চিহ্ন মুছে দিচ্ছিল, সে যন্ত্র চালাচ্ছিল একজন মানুষ। নির্মম এক মানুষ।

যতক্ষণ পর্যন্ত না একটার উপর একটা পাথর রইল ততক্ষণ কিচ্ছু বদলাল না।
শেষে এমনকী এই পাথরটাও নতুন করে ফের দেয়াল থেকে আলাদা হয়ে গেল।
একলা পাথর।
রোদের তাপে পুড়ছে।

বহুকাল ধরে বলতে গেলে এক দীর্ঘ সময় ধরে ভোরের পর ভোর জুড়ে অন্য কিছু আর ঘটল না। দশ, কুড়ি, একশ… কত দিন? জানা যাবে কী করে? অন্যান্য পাথরের মাঝখানে এই পাথরটা বিষয়ের তলানিটুকু জানত। তার মধ্যে দেয়ালের অন্য পাশ দিয়ে সে যখন জুড়েছিল তখনকার ভরের কিছুটা তখনও অবশিষ্ট ছিল।
কিন্তু অনেক সময় পরে তাপ ও সামান্য বৃষ্টি এসে সেটুকুও ধুয়ে দিয়েছিল।
সে নিজের গায়ে মাত্র দুবার মানুষের স্পর্শ পেয়েছিল। যে হাত তাকে মাটি থেকে তুলেছিল, আর যে তাকে দেয়ালের সঙ্গে জুড়েছিল- এই দুবার।
এ এক অন্যরকম তাপ। আলাদা ধরনের যন্ত্রণা।
এক দিন ব্যাপারটা সে টের পেল যখন একটা ছোট ছেলের হাত তাকে তুলে নিয়ে আঙুলের ফাঁকে চেপে ধরল।
ছেলেটা ওই বাড়িতে থাকত।
ছোট হাত। সরু সরু নোংরা আঙুল। সে নিজেও অবশ্য ছোট। গোল মুখ, পিছনে আঁচড়ানো কালো চুল। রোগাভোগা শরীর।
অভিজাত মাটির উপর দিয়ে ছেলেটা খালি পায়ে হেঁটে আসছিল। চোখদুটো কালো আর শক্ত। ঠিক পাথরের যেমন হয়।
সে চোখ আগে অনুভব করত।
সে চোখ এখন আর ভালবাসে না।
বাচ্চা ছেলেটা পাথরটাকে ধরে চাপ দিচ্ছিল। পাথর কখনও কোন মানুষের সঙ্গে এত সময় থাকেনি। ছেলেটা হাঁটছিল। পাথর কখনও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় এভাবে যায়নি। ছেলেটার সঙ্গে অন্য আরো কয়েকজন ছেলেও ছিল। এরকম অভিজ্ঞতা পাথরের কখনও হয়নি।
তারপর বাচ্চারা থেমে গেল।
দূরে কয়েকজন মানুষ যারা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ধ্বসিয়ে ফেলেছিল তাদের মতই দেখতে। ঘোলাটে রঙের একরকম পোশাক পরে তারা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল।
বাচ্চারা তখন তাদের দিকে পাথর ছুঁড়তে লাগল।
সব্বাই।
এ পাথরটাও বাচ্চা ছেলেটার হাতকে বিদায় জানাল। উড়ে গেল আকাশে। নীল আকাশ বর্ণনা করতে করতে উড়ল। যেন পাখিদের মত উড়ে গেল। পাথর নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। কিন্তু একথা বিশ্বাস করছিল যে সে মুক্ত। মাটির থেকে আকাশের ঢের বেশি কাছাকাছি সে এখন।
কিন্তু ওখানে সেই চাপের জায়গা থেকে যতখানি দূরে সে নিজের জায়গা খুঁজে নিচ্ছিল সেই অবসরে পৃথিবী তার বুকের ভিতর থেকে উগড়ে দিচ্ছিল সবকিছু।
তখন সবকিছু ছত্রভঙ্গ হতে থাকল।
যাদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল তাদের হাতে ছিল চোখ সমান উচ্চতার লাঠি। যেসব ছোট ছেলেমেয়েরা পাথর ছুঁড়বে বলে জড় করে এনেছিল, তাদের দিকেই তাক করে মানুষগুলো অন্য আকারের পাথর ছুঁড়ছিল।
অদৃশ্য পাথর।
ছোট ছোট পাথর।
আকাশ থেকে নিচে নামার আগে কয়েক মুহূর্তের জন্য মনে হল যেন আমাদের পাথর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
সেখান থেকে ছোট ছেলেটাকে শেষবারের মত দেখল।
কপালে ছোট্ট লাল দাগ, মুখে থমথমে ভাব, শেষবারের মত অমল শৈশব বিদায় জানানোর চিহ্ন সে মুখে।
দুজনে একসাথে মাটিতে পড়ল। ছেলেটি ভাঙা, ছিন্নভিন্ন এবং প্রাণহীন। আর পাথরটা স্রেফ একজন মানুষের দিকে ছিটকে পড়ল যাকে এড়াতে গেলে পাথরের নিজেকে ভেঙে আলাদা করতে হত।
মাটিতে আছড়ে পড়ে দু এক মিটার পর্যন্ত সে গড়াগড়ি খেল। তারপর ফের শান্ত হয়ে গেল।
একেবারে চুপ করে গেল সে।
এখন এর বেশি কিছু আর ঘটল না।
পাথর যদি ভাবনা চিন্তা করতে পারত তাহলে পরবর্তী বহু মাস, দিন, সপ্তাহ ধরে এ পাথর তাই করত। সে যদি প্রশ্ন করতে পারত তাহলে এতদিনে অনেক প্রশ্ন করে ফেলত।
কিন্তু সে পাথর হয়েই রইল।
অনেক সময় পরে তার পাশ দিয়ে আরেকখানা যন্ত্র যাচ্ছিল। বিরাট আকার তার এবং ভারীও। চামচের বদলে তার ছিল বিরাট বড় রোলার। আর তা দিয়ে সে সামনে যা কিছু পড়ছিল সব গুঁড়িয়ে সমান করে দিচ্ছিল। সেগুলো ধুলোয় পরিণত হচ্ছিল।
উপর থেকে আমাদের পাথরটাও পড়ল এবং গুড়ো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ধুলো হয়ে গেল।
এ হল ধুলিকণা বিশেষ, বাতাস যাকে রাতে ছড়িয়ে দেবার দায়িত্ব নেয়।
আর দায়িত্ব নেয় ভুলে যাবার।
এত কান্ডের পরে এক সাধারণ পাথরকে কেই বা মনে রাখবে?

গাজা, প্যালেস্টাইন, ২০০৩

*****

মূল গল্পঃ Historia de una piedra en Palestina by Jordi Sierra i Fabra (España)
লেখক পরিচিতিঃ খোর্দি সিয়েররা ই ফাব্রা ১৯৪৭ সালে স্পেনের বার্সিলোনায় জন্মগ্রহণ করেন। স্পেনের শিশুসাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম এক নাম। শিশু সাহিত্যে স্প্যানিশ ভাষার নোবেল সমতুল পুরস্কার সেরভান্তেস পুরস্কার পেয়েছেন ২০১১ সালে। শিশু সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, গল্পকার,কবি ; অসংখ্য পুরস্কারে সম্মানিত এবং এক বিপুল পরিমাণ সাহিত্য কীর্তির মালিক। তাঁর নামাঙ্কিত ফাউন্ডেশন প্রতি বছর শিশু সাহিত্যে খোর্দি সিয়েররা ই ফাব্রা সাহিত্য পুরস্কার দেন। এই গল্পটি তাঁর গল্পগ্রন্থ 'নিষ্ঠুর গল্প' থেকে নেয়া।

জয়া চৌধুরী মূলতঃ অনুবাদক। মূল স্প্যানিশ ভাষা থেকে বাংলায় বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত অনুবাদ করে থাকেন। অবসরে প্রবন্ধ ও কবিতা লেখেন বাংলায়। সেগুলিও নিয়মিত প্রকাশিত হয় বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও ব্লগে। প্রিয় শখ হলো নাটক করা। স্প্যানিশ ভাষা শেখান রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ এবং শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা