সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
কাগা ও সাধুবাবা

কাকভোরে ঘুম ভেঙে গেছিল কাগার। তখনও দিনের আলো ভালো করে ফোটেনি। আড়মোড়া ভেঙে বড়ো একটা হাই তুলে বাসা থেকে বেরিয়ে তাদের বটগাছটার উঁচু একটা ডালে উড়ে এসে বসল সে। ঠান্ডা ঠান্ডা মিষ্টি হাওয়া দিচ্ছে। আশেপাশের গাছ থেকে অন্য কাকদের ঘুমজড়ানো নিচু গলার কা কা ডাক শোনা যাচ্ছে। সমস্ত পাখির মধ্যে কাকরাই বোধহয় সবচেয়ে আগে ঘুম থেকে ওঠে, তাই খুব ভোর বোঝাতে লোকে কাকভোর বলে। মা অবশ্য এখনও ওঠেনি। উঠলেই তো শুরু হয়ে যাবে – ঠোঁট মাজো, জলখাবার খাও, পড়তে বোসো! যতক্ষণ না উঠছে একটু এদিক ওদিক ঘুরে এলে হয় - এই ভেবে কাগা উড়াল দিল গঙ্গার দিকে।

গঙ্গা বেশি দূর নয়। বগা যে বিলে থাকে সেটা পেরিয়ে শ্মশানের পাশ দিয়ে একটু এগোলেই খেয়াঘাট। সেখানে অনেক নৌকোর ভিড়, এখন ভোরবেলা সব ঘাটে বাঁধা আছে। খেয়াঘাটে গাছপালাও কম, সারাদিন বহু লোকের যাতায়াত। খেয়ার টিকিটঘরের চালায় একটু বসল কাগা, জায়গাটা তেমন পছন্দ হল না। তাই গঙ্গার তীর ধরে উড়তে উড়তে সে চলল দক্ষিণে।

এদিকটায় গাছপালা ছাওয়া শান্ত পাড়াগাঁ, টালি আর খড়ের চালার ছোটো ছোটো মাটির কুঁড়েঘর। লোকজন কেউ এখনও ঘুম থেকে ওঠেনি। শুধু একটা কুঁড়ের সামনে দেখা গেল সাদা থান পরা এক বুড়ি উঠোন ঝাঁট দিচ্ছে। কুঁড়ের খোড়ো চালায় একটু বসল কাগা। ঝাঁট দেওয়া শেষ করে বুড়ি তখন উঠোনে গোবর জলের ছড়া দিচ্ছে, কাগাকে দেখতে পেয়ে খ্যানখ্যানে গলায় চেঁচিয়ে উঠল, "যাহ্‌, যাহ্‌!"

যাব্বাবা! কাগা তো কিছুই করেনি! যাই হোক, সেখান থেকে উড়ে সে একেবারে গঙ্গার ধারে একটা বিশাল ঝুপসি তেঁতুল গাছের ডালে গিয়ে বসল। গাছটার এক দিককার ডালগুলো একেবারে নদীর ওপর ঝুঁকে পড়েছে। সেখানে ছোট্ট একটা স্নানের ঘাট। ঘাট থেকে উঠে সরু পায়ে চলা মাটির রাস্তা গাছের নিচ দিয়ে গাঁয়ের ভেতর ঢুকে গেছে।

মন্দ নয় জায়গাটা, বেশ নিরিবিলি। এখানে বসে বগাদার কাছে শেখা নতুন গানটা একটু সেধে নিলে হয়, ভাবল কাগা। গানটা অবশ্য ভোরবেলার নয়, তাতে কী? কাগার খুব পছন্দ হয়েছে, তাই সে শুরু করল...
খাঁ খাঁ রোদে খোকাবাবু খো খো খেলে খালি গায়
কাঁখে খুকি সেজোকাকি ডাকে তাকে, "খাবি আয়।"...

সবে শুরু করেছিল কাগা, আস্তে আস্তে গলাটা বেশ খুলছিল, এমন সময় একটা দৃশ্য দেখে সে চুপ করে গেল। নিচের স্নানের ঘাটে এক সাধুবাবা স্নান করছেন। আগে কাগার চোখে পড়েনি, যখন ওদিকে তাকিয়েছিল তখন হয়তো তিনি ডুব দিয়েছিলেন। পুবদিকে আকাশ লাল রঙে রাঙিয়ে সুয্যিমামা উঠছে, আকাশের সেই লাল রং গঙ্গার বুকে পড়ে লাল-কমলা-হলদে-রুপোলি ঝিকিমিকি হয়ে গেছে, তাকালে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। কোমর জলে দাঁড়িয়ে সাধুবাবা সূর্যের দিকে তাকিয়ে হাত জোড় করে গম্ভীর গমগমে গলায় কীসব সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারণ করছেন। ভোরের সূর্যের নরম আলোয় তাঁর ফরসা আদুড় গা সোনার মতো ঝকমক করছে, একমুখ সাদা দাড়িগোঁফ আর জটা খুলে পিঠে ছড়ানো লম্বা লম্বা সাদা চুলে রোদ পড়ে যেন আগুনের মতো জ্বলছে, চোখমুখ আর সারা শরীর থেকে যেন অপূর্ব এক জ্যোতি ঠিকরে বেরোচ্ছে। চোখ ফেরাতে পারছিল না কাগা। মনে হচ্ছিল যেন স্বর্গ থেকে কোনো দেবতা নেমে এসেছেন মাটির পৃথিবীতে।

ধীরে ধীরে জল থেকে উঠে এলেন সাধুবাবা। পিঠে ছড়ানো লম্বা চুলগুলো মাথার ওপর চুড়ো করে বাঁধলেন, তারপর ঘাটে রাখা কমণ্ডলুটায় গঙ্গাজল ভরে হাতে নিয়ে ভেজা কাপড়ে আস্তে আস্তে সরু মাটির রাস্তাটা ধরে এগিয়ে চললেন। কাগার খুব ইচ্ছে হল সাধুবাবাকে একটা পেন্নাম করে। মনে খুব ভক্তি জেগেছে তার। পুণ্যি করার এমন সুযোগ কি বার বার আসে? তুড়ুক করে গাছের ডাল থেকে পথের ধারের ঘাসের ওপর নেমে এল সে। সাধুবাবা কাছাকাছি আসতেই টুক টুক করে এগিয়ে গেল তাঁর দিকে। তাকে দেখতে পেয়েছেন সাধুবাবা। বলে উঠলেন, "এই, সর সর, যাহ্‌!"
কাগা খুব নরম সুরে বলল, "সাধুবাবা, একটা কথা বলব?"
মনে হল সাধুবাবা তার কথা বুঝেছেন। দিব্যজ্ঞানী মহাপুরুষ, বুঝবেন না কেন, নিশ্চয়ই বুঝবেন। বললেন, "তুই কে রে? কী চাই তোর?"
"আমি কাগা। বলছিলাম, আপনাকে একবার প্রণাম করতে পারি?"
"খবরদার আমায় ছুঁবি না! এইমাত্তর গঙ্গায় স্নান করে উঠলুম, এখন ছুঁয়ে দিলে ফের ডুব দিয়ে শুদ্ধ হতে হবে। সরে যা আমার রাস্তা থেকে।"
কাগা একটু থতোমতো খেয়ে গেল। আমতা আমতা করে বলল, "না, মানে, আমার খুব ইচ্ছে করছে আপনাকে একবার প্রণাম করতে। যদি একটু আশীর্বাদ করেন..."
"ইচ্ছে করছে!" রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠলেন সাধুবাবা, "ব্যাটা এঁটোখেগো কাগের বংশ, দিনরাত নোংরা ঘাঁটিস, তুই আমায় ছুঁয়ে দিলে আমি অপবিত্র হয়ে যাব না? পালা বলছি সামনে থেকে এক্ষুনি, নইলে ভস্ম করে দেব। যাহ্‌, যাহ্‌, হুউউউশ..."
ভয় পেয়ে তুড়ুক করে ফের গাছে উঠে পড়ল কাগা। রাগে গজগজ করতে করতে সাধুবাবা এগিয়ে চললেন রাস্তা ধরে, "যত্ত সব অজাত-বেজাত! ছুঁয়ে দিলেই হয়েছিল আর-কি! আপদ কোথাকার..."
কাগাও আর বসল না, সোজা উড়াল দিল বাড়ির দিকে। ঘুম থেকে উঠে তাকে না দেখে মা নিশ্চয়ই খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিয়েছে এতক্ষণ, আরও দেরি হলে কপালে দুঃখ আছে।

সারাদিন মুখ ভার করে রইল কাগা। স্কুলের পড়ায় মন বসল না। ছুটি হতেই সে ছুটল বিলের ধারে, পুরোনো বন্ধু বগার কাছে।
"কী রে, মুখটা অমন বাংলার পাঁচের মতো করে আছিস কেন? হয়েছে কী?" তাকে দেখেই জিজ্ঞেস করল বগা।
"বগাদা..." বলে শুরু করতে গিয়ে ভ্যাঁ করে কেঁদেই ফেলল কাগা।
"আরে, এই দেখ দেখ! কাঁদে কেন! হয়েছেটা কী বলবি তো!" কাছে এসে মাথায় ডানা বুলিয়ে বলল বগা।
কোনোরকমে চোখ-টোখ মুছে শান্ত হয়ে শুরু করল কাগা। সকালে যা ঘটেছে, সাধুবাবা তাকে যা যা বলেছেন সব বগাকে খুলে বলল সে।
"তোকে এরকম বলল! আর তুই কিছু বলতে পারলি না? চুপচাপ সব হজম করে চলে এলি?" সব শুনে রাগে কাঁপতে কাঁপতে বলল বগা।
"আমি কী বলব! দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেন যে আমায়!"
খানিক চুপ করে থেকে শান্ত গলায় বলল বগা, "শোন, কাল সকালে তুই ফের যাবি সেখানে। গিয়ে সাধুবাবাকে একটা প্রশ্ন করবি।"
"কী প্রশ্ন?" অবাক গলায় জিজ্ঞেস করল কাগা।
"ঠিক প্রশ্ন নয়, একটা কথা। কাছে আয়, কানে কানে বলি..."

পরদিন ভোরে অন্ধকার থাকতেই ঘুম থেকে উঠে পড়ল কাগা। তারপর বাসা থেকে বেরিয়ে উড়ে চলল গঙ্গার ধারে সেই তেঁতুলগাছটার দিকে, গিয়ে বসল জলের ওপর ঝুঁকে পড়া একটা ডালের ওপর। পুবদিকে সূর্য উঠি উঠি করছে, এমন সময় স্নান করতে এলেন সেই সাধুবাবা। ডুব দিয়ে সূর্যপ্রণাম সেরে ভেজা কাপড়ে সাধুবাবা যখন ফেরার রাস্তা ধরলেন কাগা নেমে এল তার সামনে পথের ধারে ঘাসের ওপর। তাকে দেখেই ফের খেপে উঠলেন সাধুবাবা, "আবার এসেছিস তুই! সর সর সামনে থেকে!"
"আজ্ঞে আপনাকে আমি ছোঁব না, ভয় নেই," শান্ত গলায় বলল কাগা, "একটা কথা বলতে এলাম।"
"কথা? কী কথা? আমার সঙ্গে তোর কী কথা রে! ছোট্ট এইটুক কাক একটা!"
"আজ্ঞে ছোটো হলে হবে কি, আপনার চেয়ে আমার ক্ষমতা বেশি!"
"মানে?"
"মানে, এতদিন ধ্যান আর তপস্যা-টপস্যা করে, প্রতিদিন সকালে গঙ্গাস্নান করে আপনার যা ক্ষমতা, সারাদিন নোংরা ঘেঁটে, এঁটো খেয়েও তার চেয়ে আমার জোর বেশি!"
"কী বলতে চাস তুই?" রাগে থরথর করতে করতে বললেন সাধুবাবা।
"আজ্ঞে ঠিকই বলছি। গঙ্গাজলে নেয়ে-টেয়েও আপনি আমায় যতই ছুঁয়ে দিন না কেন, আমায় পবিত্র করতে পারবেন না। আর আমি টুক করে আপনাকে একবার ছুঁয়ে দিলেই আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন। তাহলে কার জোর বেশি হল? যদি আপনার ক্ষমতা থাকত আমার মতন একজন অপবিত্রকে স্পর্শ করে পবিত্র করে দেবার, তাহলে আপনাকে প্রণাম করতাম, শরণ নিতাম আপনার চরণে। গতকাল আপনাকে দেখে সেরকম ইচ্ছেই হয়েছিল আমার মনে, কিন্তু সে তো হবার নয়! আশ্রয়প্রার্থী ভক্তর সঙ্গে যে এরকম আচরণ করে, মনে রাখবেন শত তপস্যাতেও তার মুক্তি নেই।"

কাগা ও সাধুবাবা

ঝনাৎ করে গঙ্গাজল ভরা কমণ্ডলু পড়ে গেল সাধুবাবার হাত থেকে। স্তব্ধ হয়ে গেলেন তিনি, তারপর কাগার দিকে হাতজোড় করে পরম ভক্তিভরে বললেন, "প্রভু, আমায় ক্ষমা করে দিন। আমার ভুল হয়ে গেছে। আপনাকে আমি চিনতে পারিনি। আপনি নিশ্চয়ই বায়সরূপী কৃষ্ণের অবতার, ছদ্মবেশে আমার পরীক্ষা নিতে এসেছিলেন। মূর্খ আমি, বুঝতে পারিনি।"
কাগা তাড়াতাড়ি বলে উঠল, "আরে না না, আমি তো কাগা! কৃষ্ণ-টিষ্ণ নই!"
"আর আমার সঙ্গে ছলনা করবেন না প্রভু। এবারে আপনাকে ঠিক চিনেছি। সত্যিই তো, মতিভ্রম হয়েছিল আমার, কত কী যা তা বলেছি আপনাকে!"
"আরে দূর! কী মুশকিল! বলছি না আমি কাগা? পাখিদের ইস্কুল কলকাকলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস থ্রি-তে পড়ি। চাইলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। আর খামোখা আমায় আপনি-আজ্ঞে করছেন কেন? আমি কত ছোটো আপনার চেয়ে! কাল ভোরে আপনাকে দেখে একবার ইচ্ছে হয়েছিল প্রণাম করার, তাই বলেছিলাম। আচ্ছা, আসি এখন।" এই বলে কাগা উড়ে গিয়ে বসল তেঁতুলগাছের একটা নিচু ডালে।
"শোন শোন, যাস না," শশব্যস্ত হয়ে বললেন সাধুবাবা, "সত্যি বলছিস তুই ছদ্মবেশী কৃষ্ণ নোস?"
"সত্যি সত্যি সত্যি, এই তিন সত্যি করলাম। খামোখা আমি কৃষ্ণ হতে যাব কেন?"
"তাহলে তুই যে কথাগুলো বললি সেগুলো শিখেছিস কোথায়? ইস্কুলে?"
"নাহ, ইস্কুলে এসব শেখায় না। বগাদা শিখিয়ে দিয়েছে, অনেক কষ্টে মুখস্থ করেছি।"
"কে বগাদা?"
কাগা তখন তার অনেকদিনের বন্ধু বগাদার কথা বলল সাধুবাবাকে। সব শুনে সাধুবাবা নরম গলায় কাগাকে বললেন, "আয়, আমার কাছে আয়। নেমে আয় বাবা নিচে।"
কাগা ফের পথের ধারে ঘাসের ওপর নেমে এল। সাধুবাবা তার দিকে একটু এগিয়ে এসে বললেন, "কাল তুই চেয়েছিলি, আমি বারণ করেছি। আজ আয়, আমায় একবার প্রণাম কর, নাহলে আমার মুক্তি হবে না।"
"সে কী! আমি তো সকালে ঠোঁটও মাজিনি, ছুঁয়ে দিলে ফের স্নান করতে হবে না আপনাকে?"
"না, হবে না। বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পেয়েছিল আমার, তুই আমার চোখ খুলে দিয়েছিস। কাছে আয় বাবা, একটিবার প্রণাম কর আমার পা ছুঁয়ে।" কাতর মিনতি করে বললেন সাধুবাবা।
কাগা টুক টুক করে কাছে এগিয়ে গিয়ে দুই পায়ে ঠোঁট ছুঁইয়ে প্রণাম করল তাঁকে। নিচু হয়ে কাগার মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করতে গিয়ে মাটির ওপর বসেই পড়লেন সাধুবাবা।
"আপনার কাপড়ে কাদা লেগে গেল যে!" বলল কাগা।
"লাগুক গে!" কাগার মাথায়-পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করতে করতে সাধুবাবা বললেন, "শোন বাবা, আমার আর একটা কথা রাখবি? তোর বগাদাকে একটিবার নিয়ে আসবি আমার কাছে? আমি তো বুড়ো মানুষ, খালে-বিলে-কাদায় তো যেতে পারব না বগার কাছে তোর মতন। এই কাছেই আমার আশ্রম। আজ বিকেলবেলা বগাকে নিয়ে তুই আসতে পারবি একবার? আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তাঁকে!"
"আচ্ছা, বলব বগাদাকে। বিকেলে ইস্কুল থেকে ফিরে আসব 'খন, এখন তাহলে আসি?" এই বলে কাগা উড়াল দিল বাড়ির দিকে।

পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তাপস মৌলিক ছোটদের জন্য লিখছে গত কয়েক বছর ধরে। জনপ্রিয় বিভিন্ন ওয়েব পত্রিকা এবং কাগুজে পত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি করেন তিনি। লেখালিখির পাশাপাশি গানবাজনা এবং ভ্রমণে তিনি সমান উৎসাহী ।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা