সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
চাঁদের বুড়ির চরকা চিঠি ১৪২৩/০২ - আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস

যেকোন রকমের বন্যপ্রাণ নিয়ে অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শপথই ২০১৬ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল স্লোগান। বন্যপ্রাণ বলতে শুধুমাত্র পশুপাখিই নয়, রয়েছে গাছপালাও।দিনে দিনে মানুষ নিজেদের স্বার্থে, লোভে পড়ে শেষ করে দিচ্ছে একেকটা প্রজাতিকে; কখনো বা দাঁতের জন্য হাতিদের, কখনো বা খড়্গের জন্য গন্ডারদের। এইরকম করতে করতে মানুষ যেটা বুঝতে পারছে না, সেটা হল যে এইভাবে সে নিজের প্রজাতিকেই ক্রমশঃ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।প্রকৃতি মায়ের কাছে সব প্রাণের জন্য রয়েছে সমান কদর। একেকটি প্রজাতির প্রাণী একেকরকম ভাবে পরিবেশের বিভিন্ন দিকের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। গত কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে হাতি, গন্ডার, বাঘ, গোরিলা, সামুদ্রিক কচ্ছপ, হর্নবিল, প্যাঙ্গোলিন প্রভৃতি প্রাণীদের জীবন হয়ে উঠেছে বিপন্ন। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে হারিয়ে গেছে গ্রেট এইপ্‌স্‌। এদের পাশে পাশে বিলুপ্ত হচ্ছে নানা প্রজাতির অর্কিড এবং বড় বড় গাছ।

এই সমস্ত পশু-পাখি-গাছপালার সাথে বহু বহু মানুষের জীবনযাত্রাও জড়িয়ে আছে- কখনো সরাসরি, কখনো পরোক্ষভাবে। কিন্তু সেটা আর সবাই বুঝতে পারছে কই? আমরা সবাই শুধু নিজেদের সুবিধা-অসুবিধাটুকু নিয়ে ভেবেই খুশি থাকতে চাই। এটা বুঝতে চাইছি না যে, অন্যদের অসুবিধার সৃষ্টি করে বা বিপদে ফেলে নিজেরাও বেশিদিন সুখে শান্তিতে থাকা যায়না।

এবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তাই রাষ্ট্র সঙ্ঘ সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চায়- প্রত্যেকে যেন নিজের মত করে, বন্যপ্রাণ নিয়ে সবরকমের অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, গাছপালা-পশু-পাখিদের প্রতি ঘটতে থাকা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। এই পৃথিবীর ওপর সবার সমান অধিকার। অন্যদের ভালভাবে বাঁচার সুযোগ করে দিলে, তবেই আমরা নিজেরাও খুব ভালভাবে বেঁচে থাকতে পারব।

আজকের দিনে, আরেকবার নতুন করে, আমরা নিজেদের ভালবেসে, এই পৃথিবীকে ভালবেসে, আশেপাশের পশুপাখি-গাছপালাদের ভালবাসার প্রতিজ্ঞা করি চল।

ভাল থেক, সবাইকে ভাল রেখ।

চাঁদের বুড়ির চরকা চিঠি

ছবিঃবিভিন্ন ফ্রি ইমেজ ওয়েবসাইট

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা