সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
দুষ্টু জিনের কঠিন টাস্ক

একদিন বিকেলে আমি ছাদে ঘুরছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা পুরানো প্রদীপ পড়ে আছে একপাশে। আমি সেটা তুলে নিয়ে ফ্রকের সাথে যেই ঘষেছি, ওমনি এক জিন এসে হাজির হল।সে বলল – " আমি তোমার সব কথা শুনব , কিন্তু তার আগে তোমাকে আমার কথামতো কয়েকটা টাস্ক করতে হবে৷এখন চোখ বোজো।" আমি চোখ বুঝলাম এবং একটু পরে জিন চোখ খুলতে বললে তাকিয়ে দেখলাম আমি একটা ঘন জঙ্গলে এসে পড়েছি। জিন বলল প্রথমে তোমাকে দৌড়ে একটা কাটা ঘুড়ি ধরতে হবে৷ আমি দেখলাম উপর দিয়ে বেশ জোরে একটা লাল ঘুড়ি উড়ে যাচ্ছে। জিন পিপ পিপ করে হুইসল বাজিয়ে বলল 'স্টার্ট' আর আমিও ঘুড়ির পিছনে ছুটলাম। অনেকক্ষণ দৌড়ে তারপর ঘুড়িটা ধরতে পারলাম। তখন জিন বলল এবার এই পেন্সিলটা নাও আর ওই ঝরনার ধারে বসে তার একটা সুন্দর ছবি আঁকো। আঁকা খারাপ হলে কিন্তু আমি খুব রেগে যাব।" আমি হাঁফাতে হাঁফাতে তার দেওয়া হলুদ পেনসিল আর ড্রয়িং শিট নিয়ে ঝরণার ছবি আঁকতে বসলাম। এমন সময় কোথা থেকে এক টিয়াপাখি এসে বলল – " এই জিনটা দুষ্টু। তোমায় খাটিয়ে মেরে ফেলবে।যদি পালাতে চাও, তো ওই কাঠের ঘোড়ায় উঠে পড়ো। " আমি দৌড়ে গিয়ে পাশে রাখা কাঠের ঘোড়ায় উঠে পড়লাম আর পাখিটা ঘোড়াকে বলল – " চল ভাই, একে আমরা বাঁচাবো।" অমনি ঘোড়াটা জ্যান্ত হয়ে আমায় নিয়ে পাখির পিছনে খুব জোরে ছুটতে লাগল।

দুষ্টু জিন তাই দেখে আমাদের পিছনে ধাওয়া করল।ঘোড়াটা এত জোরে ছুটছিল যে আমি ঝাঁকুনি লেগে ওর পিঠ থেকে মাটিতে পড়ে গেলাম। এবার কী হবে? জিন যে আমায় মেরে ফেলবে! আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠলাম আর তখনি আমার ঘুমটা ভেঙে গেল। দেখলাম মা সামনে দাঁড়িয়ে আমায় ঝাঁকুনি দিয়ে বলছে – " তুই কেমন মেয়ে রে! ছাদে এসে ঘুমিয়ে আছিস আর আমি সারা বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি। চল নীচে চল।" ঘরে এসে মা আমায় একবাটি গরম গরম স্যুপ খেতে দিল। আমি এতক্ষণে একটু শান্তি পেলাম যে ভাগ্যিস ওই জিনের ঘটনাটা শুধু একটা স্বপ্ন ছিল।

 

গল্প লিখেছেঃ
সমৃদ্ধি ব্যানার্জী
চতুর্থ শ্রেণি,
দিল্লি পাবলিক স্কুল, কলকাতা

গ্রাফিকঃ মিতিল

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা