সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

আমি বই পড়তে খুবই ভালবাসি । এটা আমার প্রিয় শখের মধ্যে একটি । আমি অনেক গল্পের বই পড়ি । কিন্তু যে বইটা আমার সবচেয়ে প্রিয় আর সবসময় পড়তে ইচ্ছা করে সেটা হল ' সুকুমার রচনা সমগ্র ' ।

আমার জ্যেঠু ও জ্যেঠিমা এই বইটি আমায় উপহার দিয়েছেন । এই বইটির কিছু অংশ যেমন ছড়া বা আবোল তাবোল , গল্প এবং হ য ব র ল আমি আগেও পড়েছি - বইটি পাওয়ার আগে । এই বইটি পড়ে আমি খুব হাসি আবার খুব মজা ও আনন্দও পাই । মন খারাপ হলে এই বইটি পড়লে আমার মন ভাল হয়ে যায় । আবার মন ভাল থাকলে এই বইটি পড়লে আমি আরও আনন্দ পাই । এই বইটির ছবি , গল্প, ছড়া , কবিতা, গান , নাটক, জীবনী ও বিবিধ সবই আমার খুব ভাল লাগে । পাগলা দাশু পড়ার সময় তো আমার হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা শুরু হয়ে যায় । আবোল তাবোলের ছড়াগুলো আবৃত্তি করতেও আমার খুব ভাল লাগে । এই বইটি যে শুধু পড়তে ভাল লাগে তাই নয় এই বইয়ের প্রতিটি ছড়া, গল্প, কবিতা, নাটক, জীবনী, ও বিবিধ প্রভৃতির মধ্যে কিছু না কিছু শিক্ষনীয় বিষয় আছে ।এই লেখকের প্রতিটি লেখার একটি অন্তর নিহিত অর্থ আছে । আবোল তাবোলের প্রতিটি ছড়ার মাধ্যমে লেখক এই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের চরিত্র , বৈশিষ্ট্য ও তাদের মনের চিন্তা ভাবনাকে হাস্যরসের দ্বারা খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেন । অবাক জলপান গল্পটির মাধ্যমে লেখক বুঝিয়েছেন যে, আমরা যা বলতে বা বোঝাতে চাই তা ঠিকমত প্রকাশ করতে না পারলে সমস্যা ক্রমশঃ বাড়তে থাকে । আবার হ য ব র ল থেকে আমাদের গণিত বিষয়ে ধারণা হয় ( যদিও এই সবই আমার মা বুঝিয়ে দিয়েছেন )। আমি বড় হয়ে এই লেখকের প্রতিটি লেখার অন্তর নিহিত তাৎপর্য আরও ভাল করে বুঝব।
আমার এই বইটা আমি কাউকে দিতে চাই না । কিন্তু আমি চাই এই বইটা পৃথিবীর সকল মানুষ - বড় ও ছোট সকলে অবশ্যই পড়ুক । তাই আমি চাই এই বইটা পৃথিবীর সকল ভাষায় অবশ্য অনুবাদ হোক । আর কিছু না হলেও যিনি এই বইটা পড়বে বা পড়বেন তাঁর মন যে খুশিতে ভরে উঠবে তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ।

আমার কাছে এই বই-এর যে সংস্করণটি আছে, সেটির প্রকাশক আদিত্য পুস্তকালয়, বইটির প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছেন শ্রী বিকাশ ধর ।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা