সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
প্রবাহনীলের মনের জানলা

আমার সব চাইতে পছন্দের জায়গা হল আমার বাড়ির বারান্দা। দোতলার এই বারান্দায় দাঁড়ালে ঠাণ্ডা হাওয়া এসে মন জুড়িয়ে দেয়। বারান্দায় দাঁড়ালে দেখা যায় একটা পুকুর, কিছু ছোট-বড় গাছ ও কয়েকটি বাড়ি। আমাদের বাড়ির সদর দরজার কাছে একটা শিউলি, একটা মনসা আর একটা বেল গাছ আছে, সেগুলোও দেখা যায় আমাদের বারান্দা থেকে। মনসা গাছটা দেখলেই মনে পড়ে যায় ঠাম্মার কথা। রোজ সন্ধ্যায় ঠাম্মা এই মনসা গাছের সামনে ধূপ ও ফুল দিত। সামনের পুকুরটা আবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম। শীতকালে ঠান্ডা জলে মাছরাঙারা ছোঁ মেরে মাছ তুলে নিয়ে এসে বসে বারান্দার সামনের টেলিফোন লাইনে, তো বর্ষায় উপচে পড়া পুকুর পাড় থেকে ব্যাঙের গ্যাঙর গ্যাঙর ডাকে পড়ার সময় মন চলে যায় বাইরে। গরমকালে আবার এই পুকুরটাই হয়ে যায় খটখটে, ক্রিকেট খেলার মাঠ। দোতলা ও তিনতলা বাড়িগুলোর পেছনে আকাশছোঁয়া ফ্ল্যাটগুলোও দেখা যায় বারান্দা থেকে। আর এই শরৎকালে বারান্দায় দাঁড়ালেই শিউলি গাছের তলায় বেছানো সাদা গালিচা ও আকাশে ভেসে বেড়ানো পেঁজা তুলোর মতো মেঘের দৃশ্য মন কে খুশি করে দেয়।

মনের জানলা

এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে ইচ্ছেমতন বিভাগের 'মনের জানলা ' লেখালিখির খেলার অংশ হিসাবে।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা