সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
রুদ্রপ্রিয়ার মনের জানলা

আমি থাকি মধ্যমগ্রামে। এটা খুব দারুণ সমৃদ্ধ শহর নয়, ওই খানিকটা শহরতলির মতো, তবে জায়গাটি আমি বেশ পছন্দ করি। আমি বাবা মায়ের সাথে এখানে একটা ছোট চারতলা অ্যাপার্টমেন্ট এ থাকি। যদিও এখন ঘরবন্দী অবস্হাতেই আছি তবে এই বন্দীদশা আমার জন্য 'একদম নিজের' একটা জায়গা খুঁজে দিয়েছে এবং এখানেই আমি দিনের বেশীর ভাগ সময় কাটাতে পছন্দ করি। প্রিয় জায়গাটি হলো আমাদের 'ঝুল বারান্দা' বা 'ব্যালকনি'। একটা ভালো বই, আরামদায়ক একটা চেয়ার এবং কিছু বিস্কুট হলেই দিব্যি একটা রোদ ঝলমলে বিকেল উপভোগ করা যায়।

কখনও যখন সঙ্গে বই থাকেনা আমি তখন সময় কাটাই বাইরের দিকে তাকিয়ে থেকে। কত কিছু দেখার আছে! মাঝে মধ্যে দূরের নারকেল গাছগুলোর নারকেল গোনার চেষ্টা করি। রাস্তায় লোকজন যাতায়াত করে দেখি আর ভাবি, "একে কি আগে কোথাও দেখেছি?" কিংবা, "এই লোকটিকে বেশ ভালোমানুষের মতো দেখতে।" সন্ধ্যের দিকটায় আশেপাশের বাচ্চারা রাস্তায় আসে, নিজেদের মতো খেলে কত রকম খেলা। এসময় দেখি পাখিরা এক গাছ থেকে অন্য গাছে ওড়াউড়ি করে এবং নিজেদের ভাষায় কথা বলাবলি করে।

তবে দিনের বেলার ছবি এত সুন্দর হলেও রাত্তির বেলাটা এখানে মোটেও ভালো লাগে না। ব্যালকনির অন্ধকার কোণের দিকটায় চোখ পড়লে কেমন একটা অস্বস্তি হয়। আমি কল্পনা করতে ভালোবাসি, অনেক কিছু ভাবি, কখনও হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় বেশীই, সেজন্য রাতে কখনও ব্যালকনিতে দাঁড়ালে মনে হয়, এই বুঝি ঠিক মাথার পেছন থেকে কেউ ডাকল! রাস্তার দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে যদি বিদঘুটে একটা ছায়া সরে যেতে দেখি তাহলে তো গেছি! দুঃস্বপ্ন টা সত্যি হয়ে উঠবে তাহলে!

তবে সে যাই হোক আর তাই হোক, আমি জানি এমন কিছু বাজে কখনই হবে না যে আমি আমার প্রিয় ব্যালকনি তে আসা বন্ধ করে দেব। আমার কাছে ব্যালকনিটা একটা দরজার মতো, যার মধ্যে দিয়ে আমি এই বিশাল, রহস্যময়, অদ্ভুত সুন্দর পৃথিবীটার ঝলক দেখতে পাই।

লেখা ও ছবিঃ
রুদ্রপ্রিয়া সেন
সপ্তম শ্রেণি,
সেন্ট জুডস হাই স্কুল, মধ্যমগ্রাম, কলকাতা

(রুদ্রপ্রিয়ার ইংরেজী লেখাটির বাংলা অনুবাদ করে দিয়েছেন‌ তার মা শর্মিষ্ঠা সেন। ইংরেজিতে লেখা রুদ্রপ্রিয়ার মূল রচনাটি নীচে দেওয়া রইল।)

I live in a place called Madhyamgram in Kolkata. I won't say that it is a well developed city, it is more of a suburb, and I kind of like this place. In Madhyamgram me and my parents live in a small four- storeyed apartment. Even though now-a-days , I am usually locked up in these rooms, my favourite place is the balcony. I like to spend most of my time there, and the lockdown has actually made me set up my personal space there. A good book, a cozy chair and a few biscuits is what it takes to enjoy a good afternoon in the sun- lightened balcony.

But sometimes, when I don't bring a book with me. I spend my time looking outside. There are a lot of things to see, I try to count the number of coconuts on the coconut trees, I look down at the people passing the street and I ask myself " Have I seen this person somewhere?" Or " That definitely is a friendly face I see." During the evening hours, the children from the neighborhood come and play their games. I see the bird flying from one tree to the other, conversing with each other in their own language.

In spite of all the lovely things that I see

across the balcony during the daytimes. I do not prefer going there at night. The dark corners of the balcony make me feel a bit uncomfortable. I imagine a lot, sometimes more than necessary, so I often feel like someone is going to call my name from the back of my head. Staring down at the street and suddenly if I see a strange shadow passing through, it can also be like a nightmare come true.

But it is what it is. I know nothing bad will ever happen to make me avoid my favourite place in the house. To me my balcony is like an entrance to the huge, mysterious, incredible world.

এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে ইচ্ছেমতন বিভাগের 'আবার মনের জানলা ' লেখালিখির খেলার অংশ হিসাবে।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা