সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
দেখোরে নয়ন মেলে

এখন ভর-ভরতি গ্রীষ্মকাল। সকাল থেকেই রোদের রঙ কেমন মাখন মাখন। হলদে হলদে গলানো আলো চারদিক ঝলসে দিচ্ছে। শহরের ইঁট কাঠের ফাঁকে ফাঁকে একটু সবুজের আভা দেখলেই মনটা ভিজে ওঠে। শহর ছাড়িয়ে শহরতলির কথা অবশ্য আলাদা, সেখানে এখনো দিব্যি সতেজ সবুজ দেখা যায় । আমাদের পৃথিবী ক্রমশ বুড়ো হচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে বেশ চিন্তিত। একে ভাল রাখতে হবে, রোগ বালাই সহজে এর ধারে কাছে আনা যাবে না। প্রতি বছর ৫ই জুন সেই জন্যই সারা পৃথিবী জুড়ে হৈ হৈ পড়ে যায়। নিত্য নতুন শ্লোগান ওঠে। এবারে সবাই বলছে, প্লাস্টিক নিয়ে মোটেই আহ্লাদিপনা করা চলবে না। যতটা পারো একে এড়িয়ে চলো। আচ্ছা, এড়াবে বললেই এড়ানো যায় নাকি? চারপাশের পরিবেশের শুদ্ধতা বজায় রাখা মোটেই হেলা -ছেদ্দার কাজ নয়। সে কথাই মিমি আর টোটন আলোচনা করছিল। ওরা ক্লাস সেভেনে পড়ে । গত বছর অবধি ছাড় ছিল। কিন্তু স্কুলে পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে এবারে ওদের মডেল বানাতেই হবে। ওরা ঠিক করেছে খুব সহজ অথচ নতুন কিছু বিষয়ের কথা জানাবে। উঁচু ক্লাশের দাদা দিদিরা ইয়া ইয়া লম্বা- চওড়া মডেল বানায়। গ্রীন হাউস এফেক্ট , অ্যাসিড রেন , শব্দ দূষণ আরো কত কী। মিমি জানে ওসব মডেল অনেকেই টাকা দিয়ে বাইরের লোক দিয়ে বানায়। উঁহু, ওটি ওরা কিছুতেই করবে না। কিন্তু করবেটা কী? দুজনেই শেষে বাবা - মায়ের শরণাপন্ন হল । মিমির বাবা কলেজে কেমিস্ট্রি পড়ান। টোটনের বাবা-মা আবার দুজনেই ব্যস্ত ডাক্তার । তাঁরা বলেন তোমরা নিজেরা আগে ভাবো, আমরা তো আছি।

মিমির ঠাম্মা খুব ভাল আমের আচার বানাতে পারেন । মিমি ঠিক করল, আচার নিয়ে কিছু করলে মন্দ কী? প্রকৃতিতে সব কিছু বেশি দিন তাজা থাকে না, ফল থেকে আচার এও কি এক বিজ্ঞান নয়? ঠাম্মার মুখে শুনেছে ফল সবজি এ রকম ভাবে দিব্যি অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা যায়। সে কথা ঠাম্মাকে বলতেই তিনি কুল কুল করে হাসলেন, পরিবেশের জন্মদিনে নতুন কিছু জানাবে বুঝি? তাহলে এক কাজ করো, তোমাদের আরেক ঠাম্মার কথা বলি। তাঁর জন্মের একশো বছর হয়ে গেল মাস কয়েক আগে, গত বছরে। তাঁকে নিয়ে কিছু করে দেখতে পারো।

আমাদের আরেক ঠাম্মা? তিনি আবার কে? মিমি তো অবাক। কোনওদিন বলোনি তো তাঁর কথা?
মিমির ঠাম্মা হাসেন, আছেন, আছে্ন, তোমার বাবাকে জিগ্যেস করে দেখো, তবে আমিও একটু আধটু জানি তাঁর বিষয়ে, জানলে মন্দ লাগবে না। শুনবে দিদু?
মিমি এক কথায় রাজি। তবে শর্ত একটা থাকবে কিন্তু ঠাম্মা। আমার বন্ধু টোটনকেও গল্পটা শোনাতে হবে। রাজি?
ঠাম্মা হাসেন , বেশ তো, নিয়ে এসো তাকে কাল পরশু একদিন। স্কুলে যাওয়ার আগে কিন্তু।

পরদিন খুব ভোরে মিমিদের দরজায় কলিং বেল বেজে উঠল। সকাল সকাল ঠাম্মা তখন বেতের ঝুড়ি ভরতি করে বাড়ির লাগোয়া বাগান থেকে শুষনি শাক তুলে ডাইনিং টেবলে রাখছেন। টোটন ইয়া গাবদা একটা খাতা নিয়ে হাজির। মিমি দেখেই হি হি করে হেসে ওঠে। কত কী লিখবি রে? ঠাম্মাকে দেখে টোটন বলল, দিদু তুমি পুজোর ফুল না তুলে এসব কী আগাছা তুলে এনেছ? আমাদের বাড়িতে টবে অনেক রকম ফুল গাছ আছে, বলো তো কাল থেকে এনে দেব।

দেখোরে নয়ন মেলেডঃ অসীমা চট্টোপাধ্যায়

ঠাম্মা শুনেই রেগে গেল, কেন গাছ থেকে ফুল ছেঁড়ার দরকার কী? আমি ওভাবে পুজো করি না। যাকগে, যে জন্য তুমি এসেছ, সেটা নিয়ে চল, কথা বলি। ঠাম্মা এক সময়ে প্রাইমারি স্কুলের হেড মিস্ট্রেস ছিলেন। মিমির মতে হেভি ডিসিপ্লিন্ড। ঠাম্মা প্রথমেই বেতের ঝুড়ি থেকে শাকের আঁটি তুলে বলেন , এটা কিন্তু আগাছা নয়, এর নাম শুষনি শাক। চেনো এ শাক? টোটন- মিমি মুখ চাওয়া চাওয়ি করে।

তাহলে বলি, শোনো । তোমাদের সেই না দেখা ঠাম্মা এই শাক নিয়ে এক সময় কত পরীক্ষা করেছিলেন। তিনি ছিলেন মস্ত বড় বৈজ্ঞানিক । নাম অসীমা। অসীমা চট্টোপাধ্যায় নামে সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা তাঁকে চিনতেন। একশো বছর আগে কলকাতায় জন্মেছিলেন। বাবা ছিলেন ডাক্তার । আবার গাছ- পালাও তিনি বড্ড ভালবাসেন। অসীমা বাবার এই ঝোঁকটা দিব্যি আয়ত্ত করে নিল আর তার সাথে শিখতে লাগল গান। স্কুলের পরীক্ষায় পাশ করার পর জেদ ধরল কেমিস্ট্রি নিয়ে আরো পড়বে। তখন মেয়েরা লেখাপড়া শিখলে কী হবে, বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার মেয়ে বড় কম। আবার ছেলেদের সঙ্গে পড়ারও নিয়ম ছিল না। কিন্তু অসীমা নাছোড়বান্দা। শেষে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে কেমিস্ট্রি নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে বি এস সি পাশ করল। তারপর এম এস সি, পি এইচ ডি, ডি এস সি। বাবা! এ মেয়ে থামতে জানে না। কলেজে চাকরি নিলো পড়ানোর। এরপরে কলকাতার নামজাদা মেয়েদের কলেজ লেডি ব্রেবোর্নে কেমিস্ট্রির হেড হলেন। কিন্তু গবেষণা যে তাঁকে সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়াচ্ছে। চললেন আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড। কত নতুন ধরনের রাসায়নিক- পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ শিখলেন। তারপর এক সময় দেশে ফিরে পড়াতে শুরু করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে , সাথে চলল গবেষণা।

দেখোরে নয়ন মেলে
ওপরে, বাঁদিক থেকেঃ বেল, কাটুকি, চিরতা
নীচে, বাঁদিক থেকে শুষনি, নয়নতারা, আশশ্যাওড়া

সে গবেষণার মাথা মুন্ডু কী সেটা তো বলবে? মিমি বেশ অধৈর্য ।

আরে বলবো বলেই তো ডেকেছি তোদের। কিন্তু প্রদীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকাতে হবে না? না হলে মগজে ঢুকবে কী করে? হ্যাঁ যা বলছিলাম, তোমাদের ইস্কুলের পরিবেশ দিবস পালনের জন্য দারুণ একখানা বিষয়ের কথা। ওই যে বলেছিলাম অসীমা গাছপালা ভাল চিনত। সেই সব ভাল লাগা ওর কাজের মধ্যে দিব্যি ঢুকে পড়ল। আমাদের দেশে অনেক কাল আগে সেই বুদ্ধের সময় সম্রাট বিম্বিসারের ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক ছিলেন । তাঁর নাম জীবক। তিনি বলতেন এমন কোনও গাছপালা নেই যা মানুষের কাজে লাগে না। অসীমা দেখলেন আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা অনেক গাছপালার মধ্যে আছে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ যা হতে পারে বিষ আবার হতে পারে ওষুধ। এদের বলা হয় অ্যাল্কালয়েড। এরকম অ্যাল্কালয়েডের সংখ্যা প্রকৃতিতে হাজার পাঁচেক তো আছেই। এদের দিয়ে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ সারানো যায়। আর এসব ছড়িয়ে আছে কত চেনা অচেনা গাছ পালার পাতায়, ফুলে, ফলে, মূলে, বীজে, ছাল- বাকলে।

-এক মিনিট দিদু, এদের একটা দুটোর নাম বলো তো। শুধু গাছেই থাকে এরা? টোটন হাঁসফাঁস করে।
খুব ভাল প্রশ্ন । ঠাম্মার মুখ খুশিতে ভরে যায় ।
না দাদু, এদের দেখা মেলে ব্যাক্টেরিয়া কিংবা প্রাণীর শরীরেও। তবে বেশির ভাগ সময়ে এরা থাকে গাছপালাতেই। তোমরা কুইনিন , মরফিন এই নাম গুলো জানো কি?
জানি জানি, মিমি , টোটন এক সাথে হৈ হৈ করে ওঠে । ম্যালেরিয়া সারাতে কুইনিন আর ঘুম পাড়াতে, ব্যথা জুড়োতে মরফিন লাগে।

-বেশ! বেশ! খুব ভালো। এবারে শোনো , অসীমা কী করেছিলেন-এই শুষনি শাক তো এইমাত্র দেখলে। তোমরা, ছাতিম, নয়নতারা , চিরতা, আশশেওড়া, বেল এসব গাছ চেনো? শহরে এসব গাছ সব জায়গায় থাকে না।
- নয়নতারা চিনি। সাদা, গোলাপি, লাল অনেক রঙের হয়। আর ছাতিম গাছ শান্তিনিকেতন বেড়াতে গিয়ে দেখেছি, টোটন চটপট উত্তর দেয়।
- আমি চিরতার জল খেয়েছি, ঠাম্মা তুমিই তো কত খাইয়েছ, শুকনো ডাল জলে ভিজিয়ে, আর বেলপাতা দিয়ে ঠাকুরের পুজো হয়। শুধু আশশেওড়া গাছটা চিনি না।
মিমির কথা শেষ হতে না হতেই টোটন ঝাঁপিয়ে পড়ে, জানি, জানি আশশেওড়া গাছে পেত্নী থাকে, ভূতের গল্পে পড়েছি।
-হুঁ! ভারি আমার সবজান্তা। গাছটা চোখে তো দেখিসনি! আমি দুটো গাছ বলেছি, তুইও দুটো, দুজনেই এখন সমান সমান। মিমির গলায় জয়ের সুর।


বাঁদিক থেকেঃ সর্পগন্ধা, পান, ব্রাহ্মী

ঠাম্মা কুল কুল করে হাসেন, শুধু এই ক'টা নাকি? আরো কত আছে, কাটুকি, নাটাকরঞ্জ বা কুবেরক্ষ- আমিও অতশত নামধাম জানি না। অত বড় একজন বিজ্ঞান-সাধিকা, কত রকমের গাছপালা নিয়ে কাজ করেছেন সারাজীবন । এই তো নয়নতারা থেকে ক্যান্সারের ওষুধ, শুষনি থেকে মৃগীরোগের, বেলফল আর সে গাছের ছাল থেকে আমাদের খাদ্যনালীর অসুখ-বিসুখ সারানোর ওষুধ – এরকম আরো কত কী। নয়নতারার অ্যাল্কালয়েড আমাদের শরীরের কোষগুলোর অকারণ বেড়ে যাওয়া বন্ধ করে, আর তার ফলে, টিউমার, ক্যান্সার চট করে হতে দেয় না।

বাব্বা! গাছপালায় এত কিছু গুণ আছে? টোটন চোখ গোল গোল করে, আচ্ছা ঠাম্মা, তাহলে এই বেল, ছাতিম, নয়নতারা, চিরতা এসব গাছের পাতা, ফুল , ফল একটা ট্রে-তে সাজিয়ে আমরা জ্যান্ত মডেল করে লিখে দিতে পারি তো, 'ঘরের নাগালে ডাক্তারখানা, এদের ভাল করে চিনে রাখুন।'

সে ভাই মন্দ বলোনি। করতেই পারো। পারলে গাছগুলোর ছবি তুলে মোটা সাদা আর্ট পেপারে চার্ট করে টাঙ্গিয়েও দিতে পারো। আর একটা কথা জানিয়ে রাখি, অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধ যা আজকাল বাজারে পাওয়া যায়, যেমন আয়ুশ ৬৪( ম্যালেরিয়ার জন্য) আয়ুশ ৫৬ ( মৃগী রোগের জন্য) এসবই কিন্তু অসীমার আবিষ্কারের ফসল । ছাতিমের কান্ডের ছাল, গোটা চিরতা গাছ, কুবেরক্ষের বীজ আর কাটুকির মূল দিয়ে তৈরি হয়েছে আয়ুশ ৬৪। আবার আয়ুশ ৫৬ তৈরি হয়েছে শুষনি শাক থেকে। দেখেছো, তাহলে অনেক কিছু জানা হলো ? আজ থেকেই তবে কাজে লেগে পড়ো। আর স্কুলেও তো যেতে হবে এবার।

ঠাম্মার কথায় পাত্তা দেয় না মিমি। ওই আশশেওড়া গাছের কথা এখনো বললেনা তো? ওর কাজ কী? টোটন তুই কিছু বলছিস্ না যে?
- তাইতো দিদু, ওটা না বললে আমিও এখান থেকে যাচ্ছি না। স্কুলে ঠিক পরে চলে যাব ।
- ওরে বাবা! তোমাদের দেখছি এখন জানার নেশায় পেয়েছে। কিন্তু আমি যে বাপু অত কিছু জানি না। ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে দেখেছি, আশশেওড়ার ডাল দিয়ে লোকে দাঁত মাজত। পরে মা- ঠাকুমার কাছে জেনেছি এ গাছের বিস্তর গুণ।, কাশি, ব্যথা, জ্বর , চামড়ার ক্ষত নিরাময়ে ভীষণ উপকারী। লিভারের জন্য দরকারী, খিদে বাড়ায়, কৃমি হলে দিব্যি সারিয়ে দেয়, আরো আরো কত কী পারে। এর বেশি জানতে হলে তোমার বাবাকে জিগ্যেস করো মিমি। আমি শুধু তোমাদের জানার ইচ্ছেটা উস্কে দিতে পারি। এবার আমিও রান্নাবান্না করতে যাই। আজ শুষনি শাক ভাজা হবে। মিমির বাবা বড্ড ভালবাসে। জানো টোটন , বলে কিনা , যা দায়িত্বের কাজ করি, ওটা খেলে মাথা ঠান্ডা থাকে , ঘুম ভালো হয়। এইরে! দেখেছো আটটা বেজে গেছে, যাও , যাও। আজ আর নয়।

মিমি বিদ্রোহী গলায় বলে, একটু বেশি জানো বলে এমন করছ তো! ওই অসীমা ঠাম্মা আরো কী কী গাছ নিয়ে কাজ করে গেছেন , সেটা শুধু বলে যাও, তাহলেই হবে। যত বেশি গাছের কথা বলব, তত আমাদের মডেলটা ভাল হবে । তুমি সেটা চাও না ?

- বেশ বাবা, যা মনে পড়ছে তাই বলি, ঠাম্মা হাসেন । আমাদের দেশের সর্পগন্ধা, পানপাতা, জটামাংসী, ব্রাহ্মী শাক এসবের ভেতর থেকেও আবিষ্কার করেছেন অনেক ভেষজ সম্পদ। আর বাপু মনে করতে পারছি না। এবার হলো? দেখো এই সব আবিষ্কারের জন্যই সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা তাঁকে চেনেন! নাও, এসব এবার থেকে তোমরাও খুঁজে খুঁজে বার করো। সবজি - বাজারে খোঁজ নাও, আশেপাশের বাগানের মালিদের কাছে কাছে যাও, ঠিক চিনে নেবে এসব গাছ পালা। গাছ গাছড়ার গুণের কী শেষ আছে! । তারপর বাকিটা বলবে মিমি, তোমার বাবা।
-বুঝলাম, দিদু, আর তুমি নিজে কিছু বলবে না। এই তো? টোটনের গলায় বেশ রাগ রাগ ভাব।
- ঠিক তাই টোটন দাদুভাই আন্ড মিমি দিদিভাই। আশপাশের প্রকৃতিকে নিজেরা চোখ মেলে দেখো, ভাবো, আবার দেখো।
- ঠাম্মা ওই ওই গানটার মত? দেখো রে নয়ন মেলে--
মিমির কথায় সায় দেন ঠাম্মা, ঠিক তাই,। তবেই ৫ই জুন, পরিবেশের জন্মদিনে তোমাদের মডেলটা আপনা-আপনি তৈরি হয়ে যাবে। এবং সেরা মডেলই হবে। তবে মডেলের সঙ্গে ওই একশ বছর বয়সী ঠাম্মাকে শ্রদ্ধা জানাতে ভুলো না কিন্তু।
তাই হবে ঠাম্মি ম্যাম। গুড বাই । মিমি আর টোটন আহ্লাদে হৈ হৈ করে ওঠে।
গুড বাই ডিয়ার চিলড্রেন। হাসিমুখে ঠাম্মা রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যান ।


গ্রাফিক্সঃ মহাশ্বেতা রায়

গত দুই দশক ধরে মূলতঃ ছোটগল্প এবং বিজ্ঞানভিত্তিক নিবন্ধ লেখেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা