সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

তাঁর নাম সাবিত্রী বাই ফুলে। তাঁকে কেউ চেনে আবার কেউ তাঁর নাম-ই শোনেনি। আবার কেউ কেউ বলেন , কেন? আমাদের শিক্ষক- দিবস তাঁর জন্মদিনের দিন হবেনা কেন? আবার কেউ বলেন আমাদের দেশের শিক্ষক- দিবস যাঁর নামে, সেই ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন বিখ্যাত পন্ডিত, দার্শনিক, ছাত্র বৎসল অধ্যাপক, অত্যন্ত পরিশীলিত কুটনীতিক, ছিলেন আমাদের দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তাঁকে ছেড়ে কে এক সাবিত্রী বাই ফুলে। কে তিনি?

তাঁর পরিচয় জানলে কিন্তু আমরা সত্যি সত্যি আমরা ভাবতে বসব, কেন এ কথা আগে মনে হয়নি।

তাহলে সংক্ষেপে দেখা যাক কী তাঁর পরিচয়।

প্রথমেই বলা যায় , এক কথায় তিনি ছিলেন ভারতে প্রথম নারী শিক্ষয়িত্রী, উনিশ শতকের কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারতে, দলিত পরিবারে জন্ম নেওয়া, মেয়েদের স্বাধীনতায় অথবা সম অধিকারে বিশ্বাসী এক আশ্চর্য বিপ্লবী নারী । আমরা তরুণী মালালা ইউসুফজাই-এর নোবেল প্রাইজ পাওয়ার কারণ শুনে উল্লসিত হই, কিন্তু তার কত আগে জন্ম নেওয়া সাবিত্রী শুধু মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য নয়, রক্ষণশীল ভারতের অজস্র নারীর জন্য কী না করে গেছেন ! বিধবা, অবাঞ্ছিত মাতৃত্বের দায়ে লাঞ্ছিত কত কুমারি অথবা বিধবা নারীদের জন্য তিনি ছিলেন এক বিরাট আশ্রয়। ইতিহাস তাঁকে তেমন করে মনে রাখেনি। আমরা অহল্যা-বাই, ঝাঁসির রানি লক্ষ্মী-বাইএর কথা জানি, কিন্তু সাবিত্রী বাইকে ভুলে থেকেছি। ভারতে যারা মেয়েদের নিয়ে চর্চা করেন সেই নারীবাদের চর্চাকারীরা, ইতিহাস খুঁজে বলে থাকেন বিদেশিনী মেরী উইলস্টোনক্রফটের কথা , দেশীয় মহিলা সাবিত্রীবাইএর কথা তেমন করে উল্লেখ করা হয়না। আসলে দলিত সম্প্রদায়ের এক মহিলার কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিতে সুভদ্র সমাজ আজও বোধ করি নারাজ।

সে ছিল এক অন্ধকারময় কাল। মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পেতনা, করলে সেটি হত সমাজের চোখে পাপ এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এমন কী মানুষ হিসেবেও তাদের কোন মর্যাদা ছিলনা। সেই অন্ধকারে তিনি বহু মেয়ের চোখে জ্ঞানের আলো জ্বেলে দিয়েছিলেন।

জন্মেছিলেন মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার নয়গাঁও অঞ্চলে, এক শূদ্র পরিবারে। পিছিয়ে পড়া মালি সম্প্রদায়ের পরিবার। এখনকার কালের হিসেবে 'ও বি সি' সম্প্রদায় ভুক্ত। । দিনটা ছিল ৩রা জানুয়ারি , ১৮৩১। বাবা খান্ডোজি নাভসে পাটিল, মা লক্ষ্মী বাই। নয় বছর বয়সে তার বিয়ে হল তেরো বছর বয়সী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে। সেই কিশোর স্বামী ছিল এক্কেবারে আলাদা জাতের । দলিত পরিবারে জন্ম হলেও সে পড়াশুনো করতে চায়, স্ত্রীকেও সে কাজে সঙ্গী হতে বলে। সে বিশ্বাস করে সন্তানকে ভাল ভাবে মানুষ করতে হলে আগে তার মা-কে শিক্ষিত করতে হবে। তাহলেই আখেরে দেশের উন্নতি হবে। তাই সে নিজে যা শেখে স্ত্রীকেও শেখায় । তাদের লেখাপড়া শেখার ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ। জ্যোতিরাও-এর প্রথম শিক্ষক তার নিজের মামাতো বোন সাগুনা আউ, যে নাকি পরিচারিকার কাজ করত এক ব্রিটিশ পরিবারে , আর সেখান থেকে শিখেছিল কিছুটা কাজ চালান গোছের ইংরেজি ভাষা। তারপর, জ্যোতিরাও-এর দুই বন্ধু শিক্ষারাম যশবন্ত পরাঞ্জপে ও শিবরাম ভাওয়াল্কার সাবিত্রীকে আহমেদনগরে এক আমেরিকান মিশনারি প্রতিষ্ঠানে ভরতি করে দেয়। পরে পুণের এক নর্মাল স্কুল থেকে টিচার্স ট্রেনিং এর প্রশিক্ষণ নিলেন সাবিত্রী। এতটুকুই প্রথাগত শিক্ষা , কিন্তু এর ওপর ভর করে ষোলো বছরের সাবিত্রী পড়ানোর কাজ শুরু করল পাঠশালায়, দিনটা ছিল ১৮৪৭ সালের ১লা মে।

সঙ্গী হল জ্যোতিরাও আর সাগুণা। ছাত্রী সংখ্যা ক্রমে বাড়তে শুরু করল। হাতে টাকা নেই, বড় করে স্কুল খোলার জায়গা নেই, কিন্তু চোখে ভরা স্বপ্ন । তাদের সামাজিক কাজের অগ্রগতি দেখে মুগ্ধ হলেন তাতেয়া সাহেব ভিদে। ভিদেওয়াড়াতে নিজের বসত বাড়িটি দান করে দিলেন স্কুলের কাজে। সেই ভিদেওয়ারাতে বসল নতুন স্কুল , ১৮৪৮ সালের ১৪ই জানুয়ারি দলিত সম্প্রদায়ের মেয়েদের জন্য সাহস করে সেই স্কুল খুলে বসলেন ফুলে দম্পতি । সাবিত্রীর বয়স তখন সতেরো। সেখানে পড়ান হত পাশ্চাত্য ঘরানার শিক্ষণীয় বিষয়, বিজ্ঞান , সমাজ বিদ্যা ও গণিত। তাদের নিজের জাতের মানুষেরা গেল ভীষণ রেগে। এ কী অনাচার। সমাজে এক ঘরে হওয়ার ভয়ে , ১৮৪৯ সালে জ্যোতিরাও-এর বাবা তাকে স্ত্রী সমেত বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন। গৃহ বিতাড়িত দম্পতি আশ্রয় পেল জ্যোতিরাও এর বন্ধু উসমান সেখের বাড়ি। তার স্ত্রী ফতিমাও লেখাপড়া শিখেছ। সমাজের লোকের টিটকিরি গ্রাহ্য করলেন না সাবিত্রী । স্কুলে পড়ানোতো ছাড়লেননা, উলটে তার জেদ আরও বাড়তে লাগল । ফতিমাকে নিয়ে তার বাড়িতেও ১৮৪৯ সালে খুলে ফেললেন আর একটি স্কুল। প্রথাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাবিত্রী-ই ভারতের প্রথম শিক্ষিকা। কিন্তু সমাজ তাকে ছাড়বে কেন? স্কুলে যাওয়া আসার পথে লোকে পাথর, কাদা, গোবর ছোঁড়ে, কাপড় নোঙ্গরা হয়। সে ভয় পায়না, ভেঙ্গে পড়েনা , বরং সমস্যার মোকাবিলা করতে ব্যাগে ভরে নেয় অতিরিক্ত একটি শাড়ি। তার পড়ানোর ধরণ তার নিজের তৈরি করা । সে ছাত্রীদের শুধুমাত্র অক্ষর চিনিয়ে নিজে পড়ায় না, তাদেরও সমান ভাবে শেখার কাজে সক্রিয় হতে বলে। ছাত্রীদের ছোট ছোট গল্প বলে, যাতে পড়ার বিষয় বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তাদের খেলা শেখায়, নিজের লেখা কবিতা ছাত্রীদের সামনে আবৃত্তি করে। এই করে করে সে একটা আস্ত কবিতার বই লিখে ফেলে। পরে, ১৮৫৪ সালে প্রকাশিত হয় সেই বই, 'কাব্যফুলে' নামে । সে সব কবিতায় লেখা হয় শিক্ষা নিয়ে তার অনুরাগের কথা, ইংরেজী ভাষা শেখার কথা। এক বছরের পর স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা পঁচিশ থেকে সত্তর-এ পৌঁছায় ।

উৎসাহিত তরুণ দম্পতি ১৮৫১ সালের মধ্যেই পুণে অঞ্চলে খুলে ফেললেন আরও তিনটি মেয়েদের স্কুল। তিনটি স্কুলে সম্মিলিত ভাবে ছাত্রী সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়ে গেল। শিক্ষা পদ্ধতির অভিনবত্বে সরকারি স্কুলের থেকেও তাদের ছাত্রী সংখ্যা বেশি হল। এরই মধ্যে ১৮৫০ সালে ফুলে দম্পতি খুলেছেন দুটি শিক্ষামুলক সংস্থা। একটি শিক্ষামূলক সংস্থার অধীনে খোলা হল একটি স্কুল, যা পরিচিত হল পুণের নেটিভ স্কুল নামে। আর অন্যটির অধীনে বিভিন্ন দলিত সম্প্রদায়ের জন্য সোসাইটি গঠিত হল। এ দুটির অধীনেই গড়ে উঠল আরও অনেক স্কুল। সাবিত্রী বুঝেছিলেন রক্ষণশীলতার অন্ধকারে মোড়া সমাজে অন্ন , বস্ত্রের মত শিক্ষাও খুব জরুরি , না হলে চেতনার প্রসার ঘটেনা, তাই এত স্কুল গড়া । ১৮৫২ সালে তাঁর এই আন্তরিক প্রয়াসের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাঁকে সম্মানিত করল। শুধু দলিত মেয়েদের জন্যই নয়, ১৮৫৫ সালে চাষী- মজুরদের জন্যও স্কুল খুললেন তিনি।

>

আজকের ভারতে সরকারি স্তরে শিক্ষার বিস্তারের জন্য কত শিক্ষা নীতি তৈরি হয়েছে , মিড- ডে মিলের ব্যবস্থা হয়েছে , যাতে গরীব ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল ছুট না হয়। আর সেই কত বছর আগে সামান্য শিক্ষায় শিক্ষিত সাবিত্রী স্কুল ছুটদের ধরে রাখতে স্টাইপেন্ডের ব্যবস্থা করেছেন। ভাল কাজের জন্য তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ পুরস্কৃত করতে চাইলে উপহারের বদলে স্কুলের জন্য লাইব্রেরি গড়ে দেওয়ার আবদার করেছেন। সেকালে স্কুলে অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিয়ে নিয়মিত আলোচনা -সভা বসাতেন যাতে অভিভাবকেরা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে নিজেদের সন্তানদের উৎসাহিত করতে পারেন। গরিব ঘরের মেয়ে সাবিত্রী এও জানতেন খালি পেটে বিদ্যে হয়না। সে কারণে ছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও অপুষ্টির বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন।

সমাজে নারীর স্থান সব সময় পুরুষের নীচে, নারী নিজেও বহুযুগ ধরে তাই বিশ্বাস করে এসেছে, তারা চেনেনা নিজের অধিকার। ১৮৫২ সালে একুশ বছরের সাবিত্রী মহারাষ্ট্রের পুণায় মেয়েদের মুক্তি ও আলোকিত অধিকারের দাবিতে গড়ে তুললেন মহিলা -মন্ডল, যাতে তারা পিতৃতন্ত্রের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সম্মিলিত আত্মশক্তিতে রুখে দাঁড়াতে পারেন। সেকালে অনেক ব্রাহ্মণ কন্যা অল্প বয়সে বিধবা হয়ে পুরুষের ভোগের শিকার হতেন , অবাঞ্ছিত মাতৃত্বের দায় এড়াতে এদের অনেকেই বাধ্য হতেন আত্মহত্যা করতে। এই সমস্যা ব্যথিত করেছিল সাবিত্রীকে। স্বামীর সহযোগে এইসব অসহায় ব্রাহ্মণ বিধবাদের জন্য নিজের বাড়িতেই তৈরি করেছিলেন 'বালহত্যাপ্রতিবাধক গৃহ'। এর জন্য বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞাপন ও দিয়েছিলেন। ১৮৭৩ সালের মধ্যে এ ধরণের ছেষট্টি জন বিধবা তাদের গৃহে স্থান পেয়েছিল। নিঃসন্তান সাবিত্রী এমনি এক ব্রাহ্মণ বিধবার সন্তানকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন ১৮৭৪ সালে। তার নাম রাখেন যশবন্ত । তাকে গড়ে তোলেন নিজের আদর্শে । আর একটি অদ্ভুত কাজ করেছিলেন সাবিত্রী । সে সময়ে খুব অল্প বয়সী মেয়েদের সঙ্গে বৃদ্ধ লোকের বিয়ের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি ছিল অকাল বৈধব্য। এদের বিধবা বলে চিহ্নিত করার জন্য জোর করে মাথা মুড়িয়ে চুল কেটে দেওয়া হত। এদের দুর্দশা দেখে ক্রুদ্ধ সাবিত্রী প্রতিবাদ স্বরূপ সমস্ত নাপিতদের ডেকে গণ হরতাল করিয়েছিলেন । একজনও নাপিত বিধবা মেয়েদের মাথা মুড়িয়ে চুল কা্টেনি । এমন হরতাল আগে কেউ দেখেনি। ১৮৭৩ সালে , স্বামীর সহযোগে সমাজে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে গড়ে তোলেন 'সত্যশোধক সমাজ' , সে সমাজের মহিলা বিভাগের নেত্রী ছিলেন তিনি নিজে।

তাঁর সময়ে অস্পৃশ্যতা ছিল মহারাষ্ট্র তথা সারা ভারতের এক প্রবল সমস্যা। দলিত ঘরের মানুষ উঁচুজাতের মানুষের বসবাসের এলাকার কুয়ো থেকে জল নিতে পারতনা। এদের দুঃখ ঘোচাতে আবার সেই সাবিত্রী এগিয়ে এলেন , কুয়ো খুঁড়ে দিলেন শুধু তাদের ব্যবহারের জন্য।

কাজ , কাজ , গোটা জীবন জুড়ে কাজই ছিল তাঁর আরাধ্য বিষয়। ১৮৯৭ সালে সারা ভারতে প্লেগ রোগ মহামারীর আকার নেয়। সাবিত্রী আর তার চিকিৎসক পুত্র কত মমতায় রোগীদের সেবা করেন। পুণে শহরের এক প্রান্তে গড়ে তোলেন ক্লিনিক। পান্ডুরং বাবাজি গাইকোয়াড়ের ছেলে প্লেগে সংক্রমিত হয়েছে খবর পেয়ে নিজের স্বাস্থ্যের পরোয়া না করে ছেষট্টি বছরের সাবিত্রী তাকে কোলে করে নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। সেই আকুল সমাজ- সেবার কাজই তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়। ১০ই মার্চ ১৮৯৭ , রাত্রি নয়টায় সাবিত্রী প্লেগে সংক্রমিত হয়ে মারা গেলেন। তাঁর মৃত্যুর একশ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১০ই মার্চ তাঁর- ই স্মরণে ভারত সরকার একটি ডাক টিকিট প্রচলন করেন । আর পুণে ইউনিভার্সিটি তাঁর স্মরণে ২০১৫ সালে নতুন নাম পেল , সাবিত্রীবাই ফুলে ইউনিভার্সিটি ।

এক দলিত পরিবারের মেয়ে , দলিত পরিবারের বধূ জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন শিক্ষা শুধু উচ্চবর্ণের পুরুষের অধিকার নয়, সমতার কেন্দ্রে নারীর অস্তিত্বকে ভুললে চলবেনা। ২০১৮ সালে তাঁকে নিয়ে কানাড়া ভাষায় নির্মিত হয়েছে এক চলচিত্র। আর ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ২০২০ সালের ৩রা জানুয়ারি তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কবি, সুলেখক , সাবিত্রী ছিলেন সর্বার্থেই এক অসামান্যা নারী ,যাঁকে ভারতের নারীবাদের জননী বললে সত্যের অপলাপ হয় না,। ভ্রূণ হত্যা, সতীদাহ এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বিধবা বিবাহে উৎসাহ দিয়ে সাবিত্রী তাঁর জীবন কালেই হয়ে উঠেছিলেন দুঃখী নারীর ভরসার বটবৃক্ষ। তাঁর নিজের লেখা 'Go , get Education' শিরোনামের কবিতাটি উনিশ শতকের সেই অজ্ঞান প্রহরে কত অত্যাচারিত মানুষের চোখে জানার আলো এনে দিয়েছিল।

শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে এই অলোকসামান্য পূর্ব- মাতৃকার জন্য রইল এইটুকু সপ্রাণ শ্রদ্ধার্ঘ।

 

ছবিঃ পার্থ মুখার্জি

গত দুই দশক ধরে মূলতঃ ছোটগল্প এবং বিজ্ঞানভিত্তিক নিবন্ধ লেখেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা