সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
সেই যে খোকা কত হাজার  মাইল হেঁটেছিল

আমার বাড়িতে একটা ছোট্ট মেয়ে থাকে। তার বাবা আর আমি ভাইবোন। সেই ছোট্ট মেয়ে, যে কিনা দাঁড়াল আমার ভাইঝি, আমাদের ইচ্ছামতীর ছোট্ট ছোট্ট পাঠকদের মতনই গত কয়েক মাস ধরে একটু থতমত হয়ে রয়েছে। কী হচ্ছে রে বাবা এইসব। বাড়ির থেকে বেরোনো যাচ্ছে না, ইশকুলে যাওয়া হচ্ছে না, জন্মদিন পালন করাও বন্ধ, ঈদে না হল নেমন্তন্ন না হল কোথাও বেড়াতে যাওয়া, রথ কাটল ঘরে বসে - যেন এক মস্ত শাস্তি পেয়েছে সকলে। তবে তোমরা যারা কিনা ছোট, তারা যে এই সব কান্ড কারখানায় একটু কমই অবাক হও, তা আমি বেশ জানি। কারণ বড়রা মাঝেমধ্যেই এমন সব কান্ড ঘটায় যে তাল মিলিয়ে অবাক হতে গেলে হাঁ-করা স্ট্যাচুই হয়ে যেতে হত! এই যেমন ধর না কেন, গত বছর কতগুলো বেজায় বড়সড় লোক এসে পিন্টুদের খেলার মাঠটাকে ঘিরে দিল। পিন্টুরা খুব কান্নাকাটি করেছিল প্রথমে। তারপর বড়রা বোঝালো, অন্যলোকের জমি। সে যার জমি সে নাকি যা খুশি করতে পারে। তাই কেঁদে কিছু হবে না। এইসব আর কী! বড়রা তো একইরকম কথা বলবে, তাই না!

তারপর যেমন রুকসানা। কী সুন্দর একটা লাল বাড়ির গাছপালাওয়ালা স্কুলে পড়তে যেত। একটু হেঁটে একটু ছুটে গলায় জলের বোতল আর পিঠে ব্যাগ নিয়ে। এই বছর হঠাৎ করে আব্বু ভর্তি করে দিয়ে এল সেই এক জবড়জং রাস্তার ওপরে একটা গোমড়ামুখো ইংরেজি স্কুলে। খটখটে বারান্দায় একটু দৌড়িয়েছো কি জুতোর শব্দে কয়েকজোড়া চোখ অমনি তোমার দিকে, তার মধ্যে একজোড়া চোখ যদি শালিনী দিদিমণির হয় তাহলে তো হয়ে গেল! আর অই এত্তদিনের অত্তসব বন্ধুদের ছেড়ে আসা সোজা কথা? আর গেটের পাশের ঐ পেয়ারাগাছটা যে টুনটুনিটা বাসা বেঁধেছিল? ইশ্ ওর ডিমগুলো ফুটতে দেখাও হল না। আম্মু বলে - ঐ ইশকুলটা ইংরেজি ছিল না কিনা তাই সেখানে পড়তে নেই। কী আর বলা। আম্মু তো আব্বুর মতোই কথা বলবে না, কেউ এক জন ছোট হলে তখন দেখা যেত। 

তা এমন উদাহরণ তো ভুরি ভুরি। আর আমি তো ঐ বড়র দলেই পড়ি কিনা, তাই সেই সব অদ্ভুত অদ্ভুতু ব্যপার আমাকেও করতে হয় বৈকি! ঐ দিকে আমার সেই ছোট্ট ভাইঝি, ধরা যাক তার নাম ফিফি, সে কিনা আমার দারুণ বন্ধু, তাই ছোটদের দলে একটু জায়গা আমার যে না পেলেই নয়!

তাই সেদিন ফিফি আর আমি এই এখন যে সব কান্ডমান্ড হচ্ছে তা নিয়ে একটু গল্প করছিলাম। তা ফিফি বলল, ও নাকি টিভিতে দেখেছে, একটা ছেলে, ওর থেকে বোধহয় একটু বড়ই হবে, মানে এই ধর না কেন ক্লাস ট্যু তে পড়ে, সে একটা চাকায় টানা স্যুটকেসের ওপরে ঝুলে ঝুলে ঘুমোচ্ছে আর ওর মা সেই চাকাওয়ালা স্যুটকেসটা টানতে টানতে নিয়ে চলেছেন। খুব মজাদার একটা ব্যাপার। ফিফির ভারি ইচ্ছে, একদিন ওইরকম করে দিদার বাড়ি যাবে। আমিও তো দেখেছি এটা টিভিতে। আর যখন এমনটা টিভিতে দেখাচ্ছে, তখন যে কতলোক কত কিছু বলে চলেছে পেছনে, তাতে গপ্পটা বোঝা দায়। খুব খানিক বড় না হলে তার এক বর্ণও বুঝবে না কেউ। তা যাই হোক, আমি অনেক চেষ্টা করে আমার গোটা বড়ত্বকে কাজে লাগিয়ে যা বুঝলাম সেটা যেন কেমনতর। বলি তোমাদের সেই গল্পটা আজ।

ঐ সেই বাচ্চা ছেলেটা, ধরা যাক তার নাম খোকা! হুঁ হুঁ বাবা! ঠিক ধরেছ! সেই যে, "ভাগ্যে খোকা সঙ্গে ছিল!
কী দুর্দশাই হত তা না হলে।” - সেই ছোট্ট মায়ের খোকা! যারা চিনতে পারলে না, তারা একবার ঝুপ করে রবি ঠাকুরেরে লেখা ‘বীরপুরুষ’ কবিতাখানা পড়ে ফেলো। ওঃ কি দারুণ পদ্য – একবার পড়লেই বার বার পড়তে ইচ্ছে করে!

যাক গে! আমাদের খোকার গল্পে ফিরি। তা এই খোকা থাকতো তার মা বাবার সঙ্গে, দিল্লি শহরে। সেখানে একটা মস্ত জায়গা আছে, যেখানে কেবল জামা কাপড় সেলাই হয়। পর পর পর পর সেলাই মেশিন বসানো, তাতে বসে দর্জিরা রাতদিন কাজ করেন। কাপড় সেলাই হয়ে তারপর হয় বোতাম বসানো। সেও এক মস্ত কাজ। খুদে খুদে হাতুড়ির মত যন্ত্র নিয়ে টুক টুক করে দিন ভর শুধু বোতাম বসান আরও অনেক মানুষ। তারপর আরও আছে। প্লাস্টিকের প্যাকেটে পুরে বিরাট বিরাট কাগজের বাক্সে ঢোকান! সে এক বিশাল ব্যাপার। একে বলে ফ্যাক্টরি।

শেষমেশ জামা টামা তৈরি হয়ে প্যাকেটে পুরে দেশে বিদেশে বিক্রি করা হয়। দেখেছ না মা-বাবার সঙ্গে জামার দোকানে? কেমন থরে থরে থাকে থাকে জামা সাজানো থাকে? তা এসব কি ম্যাজিকে হয়? ধুর! কখনও না। খোকার বাবা মা-এর মত অনেকে মিলে তৈরি করেন। তার পর আমরা কিনা পরতে পাই।

তা এই যে ফ্যাক্টরি বললাম, বা বাঙলা করলে দাঁড়ায় কারখানা, তার একজন মালিক থাকে। ঐ জামাগুলো বানাতে যে কাপড় বোতাম এইসব লাগে, সেইগুলো সেই মালিক নিয়ে আসে। তারপর খোকার মা-বাবার মত লোকজন সেই সব কাপড় কেটে সেলাই করে, বোতাম বসিয়ে প্যাকেটে পুরে দোকানে দোকানে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। এই জিনিষ পত্র নিয়ে আসা, বাজারে বিক্রি করা – এই সব করতে হয় বলে মালিকের একটা মাইনে হয়। আবার সেলাই করা, বোতাম বসানোর জন্য খোকার মা-বাবাদের মত লোক জনেরও মাইনে হয়। সেই সব জামা কাপড় বিক্রি করে যা টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে ওই কাপড় আর বোতাম টোতামের দাম মিটিয়েও, খোকার মা-বাবা দের মাইনে দিয়ে, মালিকের মাইনে দিয়েও কিছু টাকা পড়ে থাকে। তোমরা যারা লাভ-ক্ষতির অঙ্ক জান তারা বেশ বুঝতে পারছ, ওই বাড়তি টাকাটাকে বলে লাভ। এইবারে, ছোটদের রকমে ভাবলে যেটা হওয়া উচিত, তা হল, ওই লাভ টা সকলে মিলে নাচতে নাচতে ভাগ করে ফেলা। সমান সমান। কেউ কাপড় কিনেছে, কেউ সে কাপড় কেটেছে, কেউ বা তাতে বোতাম বসিয়েছে, আর কেউ প্যাকেটে পুরেছে। তাই সবাই মিলে ইকির মিকির চাম চিকির করতে করতে যে যার ভাগ নিয়ে যাবে।

কিন্তু আগেই বলেছি, বড়োদের কান্ডগুলো গোলমেলে। তাই, এই মজাদার ভাগাভাগি টা হয় না। মালিক বলে যাকে বললাম, সে কেমন যেন হিংসুটে দৈত্যের মত গোটা লাভ টা নিয়ে চলে যায়।

কী রকম হল তার মানে? মানে পিকুর ব্যাট বল উইকেট দিয়ে ক্রিকেট খেলে টীম কে জেতালো সবাই মিলে, কিন্তু তবু পিকুকেই শুধু কাঁধে তুলে ‘হিপ হিপ হুররে’ করতে হবে বা সব পুরষ্কার পিকুকেই ধরে দিয়ে দিতে হবে। কেন? না, যেহেতু ব্যাট বল টল গুলো পিকুর! এমনটা কখনও ছোটরা করে বল? এমনটা হলে কেউ কখনো আর পিকুর সঙ্গে খেলবে বল?

কিন্তু বড়দের ব্যাপার-টাই কিম্ভুত। ওই গোটা লাভটুকু, মালিক নিয়ে চলে গেলেও খোকার মা বাবারা ফের তাঁর সঙ্গেই কাজ করে যান। কেন জান? রূপকথার রাজাদের মত মালিকদের অনেক ধন সম্পত্তি থাকে, মানে টাকা পয়সা আর কি। হবেই তো! অত অত লাভের সব টাকা! কাউক্কে ভাগ না দিয়ে পুঁটলি করে নিয়ে গেলে নিজের টাকা তো বাড়বেই! তাই মালিকেরা সেই টাকা দিয়ে আবার কাপড়, বোতাম, প্যাকিং এর কাগজ সে সব কিনে আনতে পারে। কিন্তু খোকার মা-বাবাদের মত মানুষদের কাছে ওই রকম টাকা থাকে না। তাই কাপড় বোতাম কেনা না হলে, তাঁদের কাজ ও শুরু হয় না। আর কাজ না করলে মাইনে হবে না। মাইনে না হলে চাল ডাল তেল নুন কেনাও যাবে না। তাই জন্য মালিকেরা বাড়তি টাকার গোটাটা নিয়ে গেলেও খোকার মা-বাবার মত লোকজনেরা কিছু বলতে পারেন না।

সেই যে খোকা কত হাজার  মাইল হেঁটেছিল

যাক গে। তা এমনটাই চলছিল। আর যা বলছিলাম, খোকারা তো দিল্লিতে থাকে। কিন্তু ওদের নিজের বাড়ি কিন্তু অনেক দূরের এক গাঁয়ে, বিহার বলে এক রাজ্যে – সেখানে খোকার দাদু দিদা থাকেন। ওরা কেন গাঁ থেকে চলে এল? ওদের গাঁয়ে বড় কষ্ট! গাঁ তো, তাই অফিস টফিস কিছু নেই, মাঠ আছে সেখানে চাষ বাস করতে হয়। কিন্তু সেই জমি বড্ড শক্ত হয়ে গেছে কয়েক বছর ধরে। বৃষ্টি হয় না যে! আর খোকারা কিনা খুব গরীব, তাই ওদের জমিও বেশি নেই। যদি বৃষ্টি কখনও হয়ে মাটি নরমও হয়, তাও গোটা বছর ধরে খাওয়ার মত ধান চাল হবেই না! কত ধান লাগে বলত আমাদের এক এক বছরে? মা বাবা তুমি আর তোমার ভাই বা বোন – এই চার জন হলে, প্রায় তিন-শ’ কিলো গ্রাম! এই তিনশ কিলোগ্রাম ধান ফলাতে কত চাষের জমি লাগে বলত? এক হাজার হেক্টর! মানে কত বলত? প্রায় কুড়ি খানা আস্ত বাড়ি ঢুকে যাবে! অত জমি কোথায় পাবেন খোকার মা-বাবারা! তাই তাঁরা কাজ খুঁজতে খুঁজতে চলে আসেন দূর দূরান্তরের শহরে। কখনও কাপড়ের কারখানায়, কখনও ব্যাগ তৈরির কারখানায়, কখনও বা আরও অন্য কিছু। খুব কষ্ট করে থাকতে হয় কিন্তু! খুপড়ী খুপড়ী ঘর, খাট বিছানাও অনেক সময় থাকে না জান? মেঝেতেই শুতে হয়। কেক চকোলেট চিপ্স ও কিন্তু অনেক অনেক পাওয়া যায় না। বা ইচ্ছে মত পাওয়া যায় না। সে যাই হোক না কেন, খোকাদের তো ওর মধ্যেই কত বন্ধু বান্ধব হয়ে যায়! ছোটরা কিনা ঝট পট বন্ধুত্ব করে ফেলে! ভাব করে ফেলে! কখনও সখনও ঝগড়া ঝাঁটি হয়, তবে খেলা ধুলো চলবেই! না কি?

এই অবস্থায়, একদিন দৈত্যের মত এসে পড়ল কী ? হম... করোনা ভাইরাস! সেই ভাইরাসটাকে চোখে দেখা যায় না, তাই তো? কিন্তু শ্বাস নিলে নাক দিয়ে মুখ দিয়ে সোজা বুকে চলে যেতে পারে! বুকে মানে কলজেতে, লাংস! একবার সেখানে পৌঁছে গেলে ওই ভাইরাস টা নানা রকম উৎপাত শুরু করতে পারে। তাতে দারুণ ভাবে শরীর খারাপ হয়! আবার এক জনের থেকে আর একজনের শরীরে ছড়িয়েও যেতে পারে! মানে ছোঁয়াছুঁই করলেই বাড়তে পারে। ফলে ছোঁয়াছুঁই আটকাতে মেলামেশা বন্ধ হল! বাজার দোকান স্কুল কলেজ সব, সব বন্ধ! বাজার দোকান বন্ধ বলে কারখানাও বন্ধ! তা হলে খোকার মা-বাবাদের কী ভাবে চলবে? কাজ নেই মানে মাইনেও তো নেই! তা হলে!

খোকার মা-বাবারা, আরও এই রকম আরও অনেকে, তখন বুঝতেই পারছেন না কী করা যায়! একটু একটু করে খাবার দাবার, সব শেষ হয়ে গেল। আর কোনও মধুসূদন দাদাও তো এল না! বা কোনও আলাদীনের জিনি!

তারপর একদিন যখন কিচ্ছুটি রইল না, তখন সবাই মনে করলেন বাড়ি ফেরা যাক। গাঁয়ের বাড়ি। কষ্ট হবে, সে তো এখানেও হচ্ছে, তাই না? তাই তাঁরা বাড়ির দিকে রওনা দিলেন। কিন্তু ট্রেন চলছে না, বাস চলছে না যে! সব বন্ধ! ছোঁয়াছুঁই আটকাতে সব বন্ধ! কিন্তু গাঁ যে অনেক দূর! প্রায় সাত রাজ্যের পার! তবু তাঁরা হাঁটতে শুরু করলেন দিন যায় রাত যায় তাঁরা হেঁটেই চলেন। মাথায় খট খটে রোদ! কখনও চুব্বুস বৃষ্টি! কিন্তু তাঁরা হেঁটেই চলেন। বাড়ি পৌঁছতে হবে যে! ছোট্ট খোকাও হাঁটে। খোকার সঙ্গে খোকার মত আরও অনেক ছোটরাও হাঁটে। রাস্তা আর ফুরোয় না। একদিন খোকা আর হাঁটতে পারে না। খোকার বাবা ওকে কোলে নিয়ে নেন। কিন্তু বাবাও একদিন ক্লান্ত হয়ে গিয়ে আর হাঁটতে পারেন না। তখন খোকার মা ওকে কোলে নিয়ে নেন। কিন্তু খোকার মাও একদিন ক্লান্ত হয়ে গিয়ে আর হাঁটতে পারেন না। আরও যে সঙ্গে অনেক জিনিষ পত্র। তখন খোকা – তোমাদের মত ছোট্ট বুদ্ধিমান একজন মানুষ তো, ফট করে বলে দেয়, আমি যদি স্যুটকেসটার ওপরে ঝুলে ঝুলে যাই? একটুখানি টানলেই তো গড়গড়িয়ে এগিয়ে যাবে!

যেই বলা সেই কাজ! এই ভাবে একদিন খোকারা শেষমেশ গাঁয়ে পৌঁছে যায়! বাব্বাহ! তার পরে কী হল? সে আর এক গল্প। আর একদিন বলব।

ফিফিকে এই গোটাটা বলতে, ওর তো অনেক কিছু মনে হল, সেই গুলো ও আমাকে বলেছে। কিন্তু তোমরা যারা আজকে শুনলে, বলতো তোমাদের কী মনে হল? খোকার মত এইরকম আরও অনেক ছোট্ট ছোট্ট সাহসী মানুষ আছে, কিন্তু ওদের গল্পগুলো তোমাদের অনেকের থেকে অনেকটাই অন্য রকম। আজ খোকার গল্প বললাম। এর পর বলব রুবাই এর গল্প।

তবে, একটা কথা কিন্তু বলতেই হবে। খোকা তো খুব সাহসী বাচ্চা, ঠিক যেমন তোমরা সকলে। কিন্তু এই গল্পে খোকা খুব মজা করতে বা দুষ্টুমি করে স্যুটকেসে ঝুলছিল না – এটা বোঝা যাচ্ছে, তাই না?

 

ছবিঃ পার্থ মুখার্জি

মাতৃভাষা বাংলা। মানে শহুরে বাংলা। পড়াশুনো করেছেন অর্থনীতি নিয়ে। চাকরি করছেন প্রায় পনেরো বছর হল। গল্প ভালোবাসেন, পড়তে, শুনতে। এই বয়সে এসে কিছু কিছু বলবার মতো গল্পও জমেছে। তাই লিখে রাখছেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা