সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
বেনি, নিমো আর পিনোকিও

সেদিন এক কাণ্ড হয়েছে। কাণ্ড বলে কাণ্ড! মহাকাণ্ড। নিমো আর নিমোর মা তো সকাল সকাল নিমোর বাবার গজগজ শুনতে শুনতে কাজু কিশমিশ মিশিয়ে দুধ ওটস খেয়ে পুকুরপাড়ে ফাঁকা মাঠে ব্যায়াম করতে বেরিয়েছেন। মুখে মাস্ক পরে, মাথায় হ্যামলেট পরে, পকেটে স্যানিটাইজারের বোতল নিয়ে মায়ে পোয়ে ধেইধেই করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে গিয়ে স্কুটার চালাতে লেগেছেন। না না মা স্কুটারে মোটেই চাপেননি হাজার লোভ হলেও। হ্যাঁ তবে ছানার হ্যামলেটটা লোভ সামলাতে না পেরে খানিক মাথায় চাপিয়েছিলেন বটে।

যাই হোক, স্কুটার চালিয়ে, পুকুরে সুইমিং কম্পিটিশন করতে থাকা হাঁসের ছানাদের হেসে হেসে হাই হ্যালো করা, লাল সাদা ফুলের ঝরে পড়া পাপড়িতে পকেট বোঝাই করার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজেই ব্যস্ত ছিলেন নিমো আর নিমোর মা। হঠাৎই নিমোবাবুর চোখে পড়ল পাইন গাছের তলায় পাইনকোনের সঙ্গে বেশ ক’খানি সুন্দর কাঠের টুকরোও গড়াগড়ি খাচ্ছে। এমন মূল্যবান সম্পদ কি আর কুড়ুনি আর কুড়ুনির মা হেলায় ফেলে আসতে পারে! অগত্যা পাঁচ নম্বর পকেটের ঢিল ইঁট পাটকেলের টুকরোর সঙ্গে কাঠের টুকরোরাও সসম্মানে ঠাঁই পেলেন।

স্ক্যাভেঞ্জার হান্ট সেরে ঘরে ঢোকার পর নিমোর বাবা দুই মক্কেলকে পকেট এবং পকেটের মালপত্তরসমেত ঘেঁটি ধরে স্যানিটাইজ করে স্নানঘরে পাঠালেন। সাফ সুতরো হয়ে এবার মায়ে পোয়ে ভাবতে বসলেন কাঠের টুকরোগুলোক কী গতি করা যায়। ছানা বলেন টেবিল চেয়ার বানাবেন তো মা বলেন রাপুনজেলের টাওয়ার বানাবেন। অনেক আলোচনার পর শেষমেষ ঠিক হল কাঠের টুকরো বড় হয়ে রোবট হবেন। দুই শিল্পীই আর গাঁইগুঁই করে না করে সহমত হওয়ায় রোবট গড়ার কাজ অবিলম্বেই শুরু হল।

ক্যাপ্টেন নিমোর নানাবিধ শিল্পকর্মে সহায়ক একটি বাক্স আছে। যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘ক্রাফটি’। ক্রাফটির তো পেটভর্তি সম্পদ। গুগলি আই, চিকিমিকি পাইপ ক্লিনার, জেমস্টোন, আইসক্রিমের কাঠি, রঙিন কাগজ, গ্লিটার গ্লু, জিঙ্গল বেলস, গ্লিটারি ফোম, বোতাম, উল... কী নেই সেখানে। অতএব সচরাচর যেভাবে কাজ শুরু করা হয় সেভাবেই এগনো হল। প্রথমেই নিমোর বাবার রঙ তুলি চুরি করে নিমো আর নিমোর মা রঙ করে ফেলল কাঠের টুকরোগুলোকে। তারপর আঠা দিয়ে পটাপট সেগুলোকে জুড়ে ফেলা হল। সব্বার নীচের বড় টুকরোটার তলায় চারটে পুশ-পিন টকাটক লাগিয়ে মা পিনের বাক্সটাকে নিমোবাবুর নাগালের বাইরে রেখে এলেন ঝটপট। ওগুলো হল গিয়ে রোবটের ঠ্যাং।

একদম ওপরের টুকরোটা হল গিয়ে রোবটের মুণ্ডু। মুণ্ডুতে দুটো গুগলি আই চিটিয়ে ফেললেন নিমোবাবু মাকে কোনও সুযোগ না দিয়েই। মা যেমন পুশ পিন নিজের জিম্মায় রেখেছেন, ছানাও তেমনি গুগলি আই হাতছাড়া করেননি মোটেই। তারপর কোন রঙের গ্লিটার ফোম দিয়ে ঠোঁট হবে, সেই নিয়ে মায়ে পোয়ে জোরদার একটা আলোচনা হতে হতে হঠাৎই নিমোর মায়ের মনে হল যেন রোবটের মুণ্ডুর গুগলি আইটা নড়ছে।

যাহ্! ও বুঝি মনের ভুল হবে। আঠাটা বুঝি ঠিক করে দেওয়া হয়নি ভেবে মা পচাক করে আরও খানিকটা আঠা থেপে দিলেন গুগলি আইয়ের পিঠে। ওদিকে ছানা ততক্ষণে গ্লিটার ফোম কেটে হলুদ রঙের ইয়াব্বড় একটা ঝিলিমিলি হাসি তৈরি করে ফেলেছেন। মুখে একগাল হাসি নিয়ে সেই হলুদ হাসি বসে গেল রোবটের গুগলি আইয়ে ঠিক নিচে।

ব্যাস! কাণ্ড তো এখানেই শুরু।
যেই না রোবটের মুণ্ডুতে ঠোঁটটা বসল ওমনি সে রোবট কথা কয়ে উঠল চিঁ চিঁ করে,
-"মা গো! বাবা গো! পিনু মামা গো! জপু দাদু গো! এরা আমায় মেরে ফেলল গো!"
নিমো আর নিমোর মা তো সব ফেলে এক লাফে সাতহাত দূরে। এ কী রে বাবা!
রোবটটা ফের বলে উঠল,
-"আরে পালালেই হবে! এদিকে আমার যে এত ব্যথা লাগল তার বেলা? ওই তো তাকে বোরোলিন দেখতে পাচ্ছি! শিগগির একটুকুন দাও না বাপু। এমন পটাং পটাং করে করে পিনগুলো গেঁথে দিলে আমার গায়ে। লাগেনা বুঝি?"

মা আর নিমো একটু ঘাবড়ে গেলেও ওরা আসলে তো মহা বীর। বাবার মত ভীতুর ডিম নয় যে প্লাস্টিকের সাপ দেখে ধেই ধেই করে লাফাবে। তাই কুটকুট করে বোরোলিনটার ঢাকনা খুলে মা বাড়িয়ে ধরল রোবটটার দিকে। রোবট তার গুগলি আইগুলো আরও বড় বড় করে কালো তারাটা ঘুরিয়ে বলল,
-"এই বুদ্ধি নিয়ে তোমরা রোবট বানাবে! বলি আমার হাত কই যে বোরোলিন লাগাবো?"
মা ওমনি একটা লম্বা করে জিভ কেটে ফেলল। নিমো শিগগির কচি কচি আঙুলে বোরোলিন নিয়ে রোবটের চারটে পিন লাগানো জায়গায় লাগিয়ে দিল।

রোবটটার মুখের হলুদ হাসি এবার সত্যি সত্যিই ঝিলমিলিয়ে উঠল। কিন্তু নিমো আর নিমোর মায়ের তো ভুরুতে ভাঁজ পড়েছে, ঠোঁটের কোণে একরাশ প্রশ্ন উসখুস করছে। রোবটটা বুঝি সেটা বুঝতে পেরেই বলে উঠল,
-"আরে বাবা অত চিন্তার কিছু নেই। আমি কি বাঘ ভাল্লুক নাকি রাক্ষস খোক্কস? আমি তো একটা মোটে কাঠের পুতুল।"
নিমো ফিসফিস করে একটু প্রতিবাদ করল,
-"পুতুল না, রোবট।"
রোবটপুতুল বলল,
-"ওই হল! রোবট বলো পুতুল বলো, সব চলবে। শুধু ওই পিন দিয়ে খোঁচাটোচা মেরোনা বাপু আর তোমরা।"

নিমো আর নিমোর মা সঙ্গে সঙ্গে কঁড়ে আঙুল তুলে বলে উঠল,
-"আর খোঁচাব না, পিঙ্কি প্রমিস!"
তারপরই মনে পড়ল এই রে রোবটের তো হাতই নেই তা কঁড়ে আঙুল আসবে কোত্থেকে, প্রমিস করবে কীকরে। রোবটপুতুলটার গুগলি আইদুটো ছলছলিয়ে ওঠার আগেই নিমো ঝটপট দু’টো পপসিকল স্টিক নিয়ে লাল টুকটুক রঙ করে ফেলল। মাও চটপট দুটো গোলাপি পাইপ ক্লিনার নিয়ে আধখানা করে কেটে তারপর পেঁচিয়ে চারটে আঙুল বানিয়ে ফেলল। হাত আঙুল সব রেডি।

মা কাঁচুমাঁচু মুখে শুধোলেন,
-"তা বাছা রো... ইয়ে মানে পুতুল এই হাতদুখানি তোমার পিঠে আঠা দিয়ে সেঁটে দিই? একটুও লাগবে না, সত্যি বলছি!"
এমনি করেই মা নিমোবাবুরও কেটেছড়ে গেলে ব্যান্ড-এইড, মলম লাগান কিনা, তাই দিব্য প্র্যাকটিস আছে ভুজুংভাজুং দিয়ে কাজ উদ্ধার করার।
রোবট ঘাড়টা কষ্টেসৃষ্টে নেড়ে বলল,
-"ব্যথা লাগবে না যখন বলছ তখন দাও তবে হাত বসিয়ে।"
এসে গেল রোবটের হাত!

এদিকে নিমোবাবু রোবট বানাবেন বলে তো গ্লিটারি ফোম কেটে সুইচ আর জেমস্টোন দিয়ে আলো বানিয়ে রেডি। ঠিক যেমনটি আসল রোবটে থাকে। কিন্তু লাগাব বললেই তো আর হল না। এ রোবট তো আর যে সে রোবট নয়। মা ভাবলেন বকবক করে খানিকটা অন্যমনস্ক করে যদি পুতুলটার গায়ে বোতাম আর আলো মানে গ্লিটারি ফোম আর জেমস্টোন লাগানো যায়। যেমন নিমোকে গপ্পো শুনিয়ে অন্যমনস্ক করে সব খাইয়ে দেয় মা ঠিক সেই টেকনিকে। মায়েদের দুষ্টুবুদ্ধি কি কম ভেবেছো নাকি!

মা জিজ্ঞাসা করলেন,
-"তা হ্যাঁ গো! তুমি তো ছিলে এই পাইনগাছের তলায় পড়ে থাকা তিনটে কাঠে টুকরো। তুমি কী করে এমন পুটপুট করে কথা কইছ বলো দিকিনি! এমন আশ্চর্য কাণ্ড তো বাপু আমরা আগে দেখিনি। নিমোর বাবা নিমোকে একটা এই একহাত লম্বা সাদা কথা বলা গান গাওয়া রোবট কিনে দিয়েছিল বটে। কিন্তু তারও তো ব্যাটারি ভরতে হয় নয় তো চার্জ দিতে হয়। তারপর রিমোট টিপলে কথা বলে সে। তাও তোমার মতন এমন সব বুঝে কথা কইতে পারে না।"
নিমো ওমনি বলে ওঠে,
-"মা অ্যালেক্সা অ্যালেক্সা! অ্যালেক্সা কিন্তু অনেক কিছু বোঝে!"

মা বলে,
-"হ্যাঁ রে বাবা কিন্তু সেও তো ওই চার্জ ইন্টারনেট ওইসব লাগে। কিন্তু এই কাঠের টুকরো..."
কাঠের রোবোপুতুল এবার কথা বলে ওঠে,
-"দূর বাবা! সেই কখন থেকে কাঠের টুকরো কাঠের টুকরো বলছ! আমি কি যে সে কাঠের টুকরো! বলি তোমরা কি পিনোকিওর গল্প পড়োনি? বুড়ো জ্যপেটোর নাম শোনোনি?
হি হি হি... হা হা হা... কাতুকুতু লাগছে তো...
জ্যপেটো বুড়ো পিনোকিওকে বানানোর পর সেই ম্যাজিক কাঠের টুকরো টাকরা যেগুলো সব হেথাহোথা পড়ল তারই টুকরো তো আমি। তাহলে আমি কথা বলব না তো কে বলবে শুনি? তোমাদেরই তো একটা কথা আছে না ‘নরাণাং মাতুলং ক্রমঃ’!"

মাঝের ‘হি হি হা হা কাতুকুতু’ ব্যাপারটা অবিশ্যি ঘটছিল যখন কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে নিমো আর নিমোর মা রোবোকাঠপুতুলের গায়ে গ্লিটারি ফোম আর জেমস্টোনগুলো আটকাচ্ছিল।

এদিকে পিনোকিওর বংশধর রোবোকাঠপুতুলের কথা শুনতে শুনতে নিমোর চোখগুলো ক্রমশ গুগলি আইয়ের মত বড়বড় হয়ে ওঠে। আর মা তো প্রায় আঁতকে ওঠেন!
-"ও হরি! তার মানে তোমার পিনুমামা আসলে পিনোকিও আর জপুদাদু হল গিয়ে বুড়ো ছুতোর জ্যপেটো!
কিন্তু সে তো গল্প..."
রোবট গুগলি চোখ পিটপিটিয়ে বলে
-"গল্প হলেও সত্যি!"
নিমোর তো কৌতূহলের শেষ নেই, বলে
-"তাহলে তোমার ওই পিনোকিওর মত লটরপটর নাক কই? মিছে কথা বললেই যেটা সাঁইইই করে লম্বা হয়!"
আসলে এই মিথ্যে কথা বলা আর নাক লম্বা হওয়া নিয়ে তো মা মাঝেমাঝেই নিমোকে ভয় দেখায় কিনা।

রোবোকাঠপুতুল পপসিকল হাতের ডগার পাইপ ক্লিনার আঙুল দিয়ে নিজের নাকের কাছটায় হাত বুলিয়ে বলে,
-"নাহ্ তোমরা তো জ্যপেটো দাদুর মত অমন নাক বানাতে পারবেনা যেমনটি পিনোকিও মামার আছে। তুমি তো দেখছি কী একটা ঢিপলিমত সাঁটিয়ে দিয়েছো আবার! অবিশ্যি আমার পিনুমামার মত নাক না হলেও ক্ষতি নেই। আমি তো আর মিছে কথা বলব না। আমি তো পিনুমামার মত দুষ্টু নই!"
যেই না বলা ওমনি নাকের লাল জেমস্টোনটা দপদপ করে উঠল।

নিমোও ওমনি খিলখিলিয়ে হেসে বলল,
-"আরে তোমার নাক লম্বা না হলে কী হবে, মিথ্যে বললেই নাকে আলো জ্বলজ্বল করবে!"
রোবোকাঠপুতুল বেচারা তো বেজায় বেকায়দায় পড়ে গেল! তাই তো! আসলে তো ও পিনুমামার মতই দুষ্টুমি করতে ভালোবাসে। তাই দুষ্টু নই বলতেই ধরা পড়ে গেছে।
নিমো বলে উঠল,
-"যাকগে তোমার লম্বা নাক না থাকলেও কেমন ঝিকিমিকি নীল পাইপক্লিনার দিয়ে রোবটের মত অ্যান্টেনা করে দিয়েছে আমার মা বলো! অ্যান্টেনার ডগায় আবার দুটো হলুদ জেমস্টোনও বসিয়ে দিয়েছি আমি। তুমি মন খারাপ কোরো না। কিন্তু তোমার তো একটা নাম দিতে হবে। আচ্ছা তোমার নাম যদি দিই বিনোকিও, কেমন হয়? ছোট্ট করে তোমায় ডাকব বেনি। কী খুশি তুমি?"

বিনোকিওর গুগলি চোখ চিকমিক করে, হলুদ হাসি আনন্দে ঝিলমিল করে। অ্যান্টেনা নেড়ে ঘাড় হেলায়। নাকের লাল আলো কিন্তু দপদপ করে না। তার মানে সত্যি সত্যিই ভালো লেগেছে নামটা ওর। নিমো আর নিমোর মাও বেজায় খুশি বেনি-কে পেয়ে। পিনোকিওর ভাগ্নে, জ্যপেটোর নাতি কিনা তাদের বন্ধু। এ কী মুখের কথা?

এমন সময় ঘর থেকে বাবা হাঁকে,
-"হ্যাঁ রে! কে আমার রঙ তুলি চুরি করল রে?"
নিমো ওমনি বলে উঠল,
-"আমি না, আমি না!"
যেই না বলা, বেনির অ্যান্টেনার হলুদ আলো দুটো জ্বলজ্বল করে উঠল!
এই রে! এ তো মহাবিপদ! বেনি নিজে মিথ্যে বললে ওর নাকের লাল আলো জ্বলে আর অন্যের মিথ্যে অ্যান্টেনায় পাকড়াও করলে অ্যান্টেনার হলুদ আলো জ্বলে।

মা মনে মনে ভাবে ‘বাহ্ বেশ বেশ! এই তো! এবার নিমো বা নিমোর বাবা মিছে কথা বললে বেনিই ধরিয়ে দেবে!’
আর ওদিকে নিমো মনে মনে ভাবে, ‘জেমস্টোনটাগুলো বদলে অন্য কিছু লাগাতে হবে। নইলে দুষ্টুমি করলে বেনিও ধরা পড়বে আর নিমোও ধরা পড়বে সেই সঙ্গে।’
আর বিনোকিও মানে বেনি ভাবে... সে কী ভাবে আমি কী করে বলি বলো দিকিনি! তোমরাই জিগ্গেস করে নাও ওকে। এই দিলুম বেনির ছবি হেথায়...

(সঙ্গের ছবিটা নিমো এবং নিমোর মায়ের কাঠের টুকরো দিয়ে বানানো রোবটের। )

 

একটি আড়াই বছরের সন্তানের জননী। স্বামীর কর্মসূত্রে বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন, দেশের ঠিকানা হাওড়া। বছর তিন আগে কলকাতার সাহা ইনস্টিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেছেন। শিশু-কিশোর সাহিত্য পড়তে ও লিখতে ভালবাসেন।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা