খেলাঘরখেলাঘর

ইউরোপের শিল্প

১) প্যারিসের কথা মনে পড়লেই প্রথম যে ছবিটা মনে পড়ে তা হল পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য আইফেল টাওয়ার। এই সুবিশাল ধাতব নির্মান এক সময়ে এই বলেই ভেঙ্গে ফেলার কথা হয়েছিল কারণ স্থপতি গুস্তাভ আইফেলের এই কীর্তি প্যারিস শহরের কুদ্রষ্টব্য বলে গণ্য হয়েছিল কারণ শহরের আর কোনো শিল্পকীর্তির সঙ্গে এই আকাশচুম্বি স্থাপত্যের সাদৃশ্য ছিল না। তথাপি, এখন সারা প্যারিস বাসীর কাছে আইফেল টাওয়ার হল শহরের চিহ্ন। বলা হয়, এই পৃথিবীর ওপরে এই সুউচ্চ টাওয়ার ঠিক ততটাই ভার রেখেছে যতটা ভার একটা কাঠের চেয়ার এই পৃথিবীর ওপর রাখে।

ইউরোপের শিল্প


২) নেপোলিয়ানের সময়ে ফ্রান্সের হয়ে যে সব সৈন্যরা লড়াই করেন তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই তোরণ তৈরী করা হয়। এই স্মৃতি-সৌধের গায়ে আমরা দেখতে পাই অসংখ্য খোদাই করা শীল্পকীর্তি।

ইউরোপের শিল্প



৩) প্যারিস শহরের সব চেয়ে বড় সঙ্গমস্থল হল “প্লেস ডে লা কনকর্ড”। এই জায়গায় এক ফোয়ারার ওপর আমি দেখতে পাই কোনো অনামা শীল্পির ছোঁয়ায়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে এই নারী মূর্তি।

ইউরোপের শিল্প


৪) লুভ (Louvre) মিউসিয়াম বলা হয় বিশ্বের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মিউসিয়াম শিল্প সংগ্রহের দিক থেকে। সেই মিউসিয়ামে কয়েক ঘন্টা কাটানোর সুযোগ এসে যায়ে।

ইউরোপের শিল্প

৫) সব বিখ্যাত ভাস্কর্য ও তৈলচিত্রের মধ্যেও নজর কাড়ে এমন সব নাম না জানা শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায়ে তৈরী এমন নিখুঁত শিল্প। খোদাই করা পাতা গুলোর দিকে খেয়াল কর।

ইউরোপের শিল্প

৬) ১৭৯৩ সালে শিল্পী অ্যান্টনিও কানোভা পাথর কেটে যেন সঙ্গীত সৃষ্টি করেন। এটি বিখ্যাত ভাস্কর্য - “ইরস এট সাইকে”।

ইউরোপের শিল্প

৭) মার্বেলের এই মূর্তি তৈরী হয়েছিল খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০ বা তারও আগে। গ্রীক দেবী “নাইকি”-র এই বিশাল মুর্তি শোভিত আছে লুভ মিউসিয়ামে।

ইউরোপের শিল্প

৮) লুভ মিউসিয়ামের ডেনন উইঙ্গে দেখতে পেলাম শিল্পের মধ্যে বিজ্ঞাণের ব্যাবহার। কত সুন্দর ভাবে এক পায়ে ভারসাম্য রেখে এই শিল্প সৃষ্টি করেছেন শিল্পী।


ইউরোপের শিল্প

৯) লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনা লিসা তো সবার চেনা। লুভ মিউসিয়ামে গিয়ে আমিও চাক্ষুষ করেছি পৃথিবীর সব থেকে বিখ্যাত সেই ছবি। তবে দা ভিঞ্চির আরো অনেক ছবি আছে এই মিউসিয়ামে। যেমন এই “ম্যাডোনা অন দ্যা রক্‌স্‌”। এটিও দা ভিঞ্চির অন্যতম বিখ্যাচ এক তৈলচিত্র।

ইউরোপের শিল্প


ইউরোপের শিল্প

১০ ও ১১) শিল্পী জঁ লুই ডেভিডের আঁকা দুই ছবির অনপুঙ্খ। প্রথমটি “দ্যা কোরোনেশান অফ নেপোলিয়ান”। কাপড়ের সুক্ষ্য কারুকার্য কি অসাধারণ নৈপুন্যের সঙ্গে এঁকেছেন শিল্পী। দ্বিতীয়টি হল “ইন্টারভেনশান অফ স্যাবাইন উওম্যান”। ঘোড়ার চোখ গুলো যেন জীযন্ত।

ইউরোপের শিল্প

১২) লুভ মিউসিয়ামের বিখ্যাত কাঁচের উল্‌টো পিরামিড, “চ্যালিস অ্যান্ড দ্যা ব্লেড”।

ইউরোপের শিল্প

১৩) পূর্ব নির্মিত হলেও, প্রধানত রাজা লুই দ্যা ফোরটিন্থের সময়েই প্যালেস অফ ভারসাই স্বমহিমায়ে তৈরী হয়ে এবং তখনকার দিনে পৃথিবীর সবথেকে বড় প্রাসাদ হিসেবে গণ্য হয়। ঘুরতে ঘুরতে পৌছে গেছিলাম সেই প্রাসাদেও। তার-ই মধ্যে এক হলঘরের উর্ধ্বাংশের দেওয়ালে তৈলচিত্রে ঠাসা। কি মহা আড়ম্বরে থাকতেন তখনকার রাজা রাণী!
সেইরকমই এক ছবির অনুপুঙ্খ পরের ছবিতে (১৪)।

ইউরোপের শিল্প

ইউরোপের শিল্প


ইউরোপের শিল্প

১৫ ও ১৬) প্যালেস অফ ভারসাই-এর প্রাসাদের বাইরের দেওয়ালের দুটি ভাস্কর্যের খুটিনাটি।

 

 

 

 

 

লেখা ও ছবিঃ
ঋতম ব্যানার্জী
কলকাতা