সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
চাঁদের বুড়ির চরকা চিঠি ১৪২৪/০১ঃ শুভ নববর্ষ

প্রিয় বন্ধু,

এসে গেল ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। ৩৬৫ দিন চলে গেল এসে গেল আরেকটা নতুন বাংলা সন।

এই নতুন বছরে তোমার এবং তোমার সমস্ত প্রিয়জনেদের জন্য ইচ্ছামতী ও চাঁদের বুড়ির তরফ থেকে রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

খুব বেশি করে নানাধরনের বই পড়ো, নানারকমের ধ্যান-ধারনা সম্পর্কে সচেতন হও, সব রকমের ভাবনা-চিন্তা নিয়ে প্রশ্ন করতে শেখো। সহজে সব কথা মেনে নিও না। এই নতুন বছরে আমাদের সবার মনে নতুন করে জেগে উঠুক একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

ইচ্ছামতী আর চাঁদের বুড়ির তরফ থেকে তোমার জন্য রইল এক হাঁড়ি মিষ্টি। এ কিন্তু যে সে মিষ্টির হাঁড়ি নয়- মনে আছে সেই যে গুপি গাইন আর বাঘা বাইন গান গেয়ে, ঢোল বাজিয়ে ভূতের রাজার বরের সাহায্যে শূণ্য থেকে মিষ্টির হাঁড়ি নামিয়ে এনেছিল হাল্লা রাজার ক্ষুধার্ত, দুঃখী, দুর্বল সেনাদের পেট আর মন ভরানোর জন্য? মনে আছে কীভাবে সেই মিষ্টির হাঁড়িগুলিকে দেখে সেইসব সৈন্যেরা, যাদের মোটেও যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না, তারা সবাই মিলে যুদ্ধের প্রস্তুতি পন্ড করে ফেলেছিল?

এ হল ঠিক সেইরকম এক হাঁড়ি - যাতে ভরা আছে ভালোবাসার, সহযোগিতার,সহমর্মিতার জাদুভরা মিষ্টি। এই জাদুকরী হাঁড়ির মিষ্টিগুলো শুধু পেটের ক্ষিদে ঘোচায় না, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার নেশাও ঘুচিয়ে দিতে পারে; ভাইয়ে ভাইয়ে মিল করিয়ে দিতে পারে; বোবা মানুষের মুখে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে জীবনের কথা ও সুর।

এই নববর্ষে, এই বিশেষ মিষ্টিগুলো সবার সঙ্গে ভাগ করে নাও। নতুন বছরের নতুন ভোরে, তোমার জন্য রইল আলো, বাতাস, উষ্ণতা ও শ্যামলতার স্বপ্ন।

ভালো থেকো।

চাঁদের বুড়ির চরকা

ছবিঃ ইচ্ছামতী পরিবার

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা