সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

আজকাল চারিদিকে শুধুই প্লাস্টিক। বাজার গেলে প্লাস্টিকের ব্যাগ, বিয়েবাড়ি গেলে প্লাস্টিকের থালা বাটি চামচ গ্লাস স্ট্র, যেদিকে তাকাও শুধুই প্লাস্টিক। আর এগুলো ব্যবহার করার পর আমরা কিছু না ভেবেই এগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিই। ছুঁড়ে ফেলা এই প্লাস্টিকগুলো শুধু আবর্জনার মধ্যেই গিয়ে জায়গা পায় না, অবশেষে এগুলো গিয়ে জমা হয় নদী আর সমুদ্রে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি বছর প্রায় আশি লক্ষ টন প্লাস্টিক গিয়ে সমুদ্রে পড়ে। তাঁরা আরও বলছেন যে ২০৫০ সাল নাগাদ, মানে আমরা যখন বড় হবো, ততদিনে সমুদ্রগুলোতে মাছের চেয়ে বেশি থাকবে প্লাস্টিক।

সমুদ্রে ফেলা এই প্লাস্টিকগুলো শুধু সমুদ্রে গিয়েই জমা হয় না, এগুলো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মাছেদের শরীরে ঢুকে যায়, আর আমাদের ফুড চেনে ঢুকে পড়ে।

এবার আমাদের ভাবা দরকার, কী করে আমরা প্লাস্টিকের ব্যবহার কম করতে পারি। এটাও ভাবা দরকার করে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র একবারমাত্র ব্যবহার করে ফেলে না দিয়ে আবার ব্যবহারের উপযোগী করা যায়, যাকে বলে রিসাইক্লিং করা।

আমার মনে হয়, পরিবেশের প্রতি সতর্ক হতে আমরা কতগুলো জিনিস মেনে চলতেই পারি। আমাদের উচিত :

১. চ্যুইং গাম ব্যবহার বন্ধ করা (এতে প্লাস্টিক থাকে)
২. টুথপেস্ট কেনার সময় দেখা উচিত এতে মাইক্রোবিড (ছোট ছোট প্লাস্টিকের কণা) আছে কিনা
৩. জন্মদিন বা অন্য পার্টিতে বেলুনের ব্যবহার বন্ধ করা, বরং পেপার চেন ব্যবহার করা
৪. বাজার যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে যাওয়া
৫. প্লাস্টিকের স্ট্র চামচ যতটা সম্ভব ব্যবহার না করা

আমি জানি, ইচ্ছে হলে আরও অনেক কিছুই আমরা করতে পারি। চলো আমরা সবাই চেষ্টা করি যাতে আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে পারি।


রেহান বসু

রেহান এখন ক্লাস ওয়ানে পড়ে, লন্ডনে থাকে। বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে জানতে এবং এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসে; সঙ্গে ভালোবাসে পিয়ানো বাজাতে, গল্পের বই পড়তে আর নিজের ব্লগে লিখতে।
ব্লগ লিখতে সাহায্য করেন রেহানের মা সোহিনী; ব্লগ থেকে প্লাস্টিকের ব্যবহার বিরোধী এই লেখাটির মূল ইংরেজি থেকে অনুবাদ করে দিয়েছেন রেহানের বাবা সোমনাথ। আর লেখাটিকে টাইপ করে দিয়েছেন ধূপছায়া মজুমদার।

গ্রাফিক্সঃ মহাশ্বেতা রায়

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা