সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo



প্লাস্টিকাস, প্লাস্টিকের তৈরি একটি তিমি। 'Sky Ocean Rescue' এর উদ্যোগে ১০ মিটার লম্বা, ২৫০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে এই তিমিটিকে তৈরি করা হয়েছিল ২০১৭ সালে। সারা বিশ্বে সমুদ্রে প্রতি সেকেন্ডে ২৫০ কেজি প্লাস্টিক গিয়ে জমা হয়। সমুদ্রতীর থেকে কুড়িয়ে জড়ো করা এরকম ২৫০ কেজি একবার ব্যবহারযোগ্য (single use plastic) প্লাস্টিক তৈরি এই তিমিকে রূপ দিতে সাহায্য করে বাইওয়াটার্স (Bywaters) নামে একটি মেটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। মূল উদ্দেশ্য হলো সমুদ্রদূষণে প্লাস্টিকের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা।

২০১৭ সালের আগস্ট মাসে এই 'প্লাস্টিকাস' ভ্রমণে বেরোয়। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড, ওয়েলস আর স্কটল্যান্ডে দিন পনেরোর একটা ট্যুর সেরে আসে সে। বিপুল সাড়া ফেলে প্লাস্টিকাসের এই অভিযান।

সমুদ্রদূষণের ভয়াবহ ফল কী হতে পারে সে বিষয়ে সচেতনতার জন্য প্রচার চলছে এখনও। সেই প্রচারেরই অঙ্গ হিসেবে 'প্লাস্টিকাস ' এখন রয়েছে রোমে। গত ১৬ এপ্রিল থেকে আজ ২২ এপ্রিল পর্যন্ত রোমের Parco Della Musica তে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সায়েন্স ফেস্টিভ্যালের প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের তৈরি এই তিমিটিকে।

কী বিশাল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ প্রতি সেকেন্ডে সমুদ্রে গিয়ে জমা হচ্ছে, তার একটা আভাস আমরা পেতে পারি 'প্লাস্টিকাস' কে দেখে। এই প্লাস্টিক কিন্তু খাদ্যশৃংখলের মধ্যে ঢুকে পড়ে ফেরত আসবে আমাদেরই শরীরে, মারণরোগের আকার নিয়ে। কাজেই এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে, প্লাস্টিক পদার্থ ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করতে হবে, নইলে কিছুদিন বাদে দেখা যাবে, সমুদ্রে জলজ প্রাণীর পরিবর্তে ভেসে বেড়াচ্ছে কেবলই রাশি রাশি প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থ।

প্লাস্টিকাসের সফর নিয়ে একখানা ছোট্ট ভিডিওর লিঙ্ক এখানে রইলঃ

ছবি ও তথ্য সৌজন্যঃ সিজিটিএন

ভূতপূর্ব ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে সাংসারিক কাজের মাঝে সু্যোগ পেলেই পড়া আর লেখার আনন্দে মাতার চেষ্টায় থাকেন। সেই গোত্রের মানুষ, যারা আর কিছু না পেলে ঠোঙ্গায় ছাপা খবরও মন দিয়ে পড়েন। সারাদিনের অনেকটা সময় কাটে মেয়ে কুটুনের সঙ্গে; তার কীর্তিকলাপ মাঝেমধ্যে লিখতে চেষ্টা করেন;বর্তমানে ধানবাদের বাসিন্দা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা