সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
হাত বাড়ালেই বন্ধুঃ দ্বিতীয় পর্ব

তিতলির আজকেও মন ভাল নেই। তোমাদের হয়তো মনে হতে পারে তিতলির মন ভাল না থাকার দিনের গল্পগুলোই আমি কেবল লিখছি ইচ্ছে করে, তা কিন্তু নয়। মন ভাল থাকলে তিতলি আর ওর নতুন বন্ধুরা সারাদিন এত হুটোপাটি করে বেড়ায় যে ওদের কাণ্ডকারখানা নজর করতে গেলে আমাকেও ওদের পিছু পিছু দৌড়তে হয়। বয়স হয়েছে, অত আমি পারি? আজ তিতলির মন খারাপ, একটু আগে চোখ মুছছিল দেখলাম। মন খারাপ হওয়ার কারণ একেবারেই যে নেই তা নয় অবশ্য। তিতলি তো প্রীতিকে খুবই ভালবাসে, জানোই। আগেরবার ওদের বন্ধুত্ব শুরুর দিনের গল্পটা বলছিলাম তোমাদের। প্রীতি তিতলিকে কতটা ভালবাসে সেটা সে গুছিয়ে বলতে না পারলেও তার হাবভাবে অনেকটাই বোঝা যায়। তিতলি না গেলে প্রীতি ক্যাণ্টিনে যেতে চায় না, তিতলি স্কুলে না এলে প্রীতি অস্থির হয়, কেন অস্থির হচ্ছে সবটা বুঝিয়ে বলতে পারে না, কিন্তু বারবার নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে গিয়ে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে। একদিন ঐশী ম্যাম ভিডিও কল করে তিতলির সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন, তারপর প্রীতি মন দিয়ে ক্লাস করেছিল। এসব থেকে তিতলি বোঝে প্রীতিও ওকে বেশ ভালবাসে। কিন্তু আজ তাহলে ওরকম করল কেন? মনে পড়তেই তিতলির চোখে আবার জল এল।

আজ সকালে ক্লাসে ঢোকার আগে করিডোরে দাঁড়িয়ে তিতলি জল খাচ্ছিল। মুখ উঁচু করে বোতল থেকে জল খাচ্ছিল, যেভাবে সবাই খায় আর কি, হঠাৎ প্রীতি পিছন থেকে এসে “লেট'স গো টু ক্লাস” বলে বেশ জোরে ধাক্কা মারল। এত জোর ধাক্কা, বিষম খেয়ে জামায় জল পড়ে তিতলির ল্যাজেগোবরে অবস্থা একেবারে। বিষম খেয়ে তিতলির যতটা কষ্ট হচ্ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছিল ধাক্কাটা প্রীতি ওকে মেরেছে ব’লে। যে প্রীতির মন খারাপ হবে বলে ও আজকাল শরীর খারাপ হলেও স্কুলে আসতে চায়, যে প্রীতির বুঝতে সুবিধে হবে বলে ও নতুন কোনও গল্প পড়লে সেগুলোর ছবি এঁকে পিকচার স্টোরি বানাতে চেষ্টা করে, সেই প্রীতি ওকে এভাবে ধাক্কা দিল? প্রীতি কি তাহলে ওকে একটুও ভালবাসে না? ও ভুল ভাবত এতদিন?

লাঞ্চের পর বসে বসে এইসবই ভাবছিল তিতলি। কখন আরাধ্যা পাশে এসে বসেছে খেয়াল করেনি।
“কী হয়েছে রে শাওনী? একা একা বসে আছিস? প্রীতির সঙ্গে খেতে বসলি না, খেলতে গেলি না, প্রীতি আজ মাঠে সারাক্ষণ খুব ছটফট করেছে, কোনও ইনস্ট্রাকশনই ফলো করতে পারছিল না, শুধু এলোমেলো দৌড়োচ্ছিল।”
“আমায় বলছিস কেন? আমি এসবের মধ্যে আর নাক গলাব না।“

“গিফট নাও।” তিতলি মুখ তুলে তাকিয়ে দেখল প্রীতি, একটা ছোট্ট ঘাসের তোড়া, মাঝখানে দুটো বেগনি রঙের ফুল বাঁধা, হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিতলির একটুও ইচ্ছে করছিল না হাত বাড়াতে, ঐশী ম্যাম পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি ইশারা করলেন, তাই তিতলি হাত বাড়াল।
"জানো শাওনী, এটা প্রীতি নিজে তৈরি করেছে তোমার জন্য, মাঠ থেকে ঘাস আর ফুল তুলে। হ্যাঁ, আমি আইডিয়াটা দিয়েছি, তুমি ওর সঙ্গে কথা বলছ না, ওর সঙ্গে খেতে গেলে না, সেসব দেখে ও যখন খুব অস্থির হচ্ছিল, মাঠে কারও কোনও কথায় মন দিতে পারছিল না, শুধু দৌড়ে বেড়াচ্ছিল, তখন আমি ওকে এই আইডিয়াটা দিলাম। শাওনীর একটু মন খারাপ, ওকে তুমি কোনো গিফট দাও, তাহলে ওর ভাল লাগবে। কী গিফট দেবে সেটা কিন্তু আমি বলিনি। ও নিজেই ঘাস ফুল দিয়ে তোড়াটা বানিয়েছে। ঘাস তুলতে, বাঁধতে আমি হেল্প করেছি অবশ্য একটু!"
"কিন্তু ও ধাক্কাটা কেন দিল ম্যাম? আমি তো কোনওদিন ওকে ধাক্কা দিই না! সবাই হুড়োহুড়ি করে ওঠানামা করার সময় সিঁঁড়িতে যাতে ওর ধাক্কা না লাগে তার জন্য সবাইকে অ্যালার্ট করে দিই! ও কেন আমায়…"
কথা শেষ করতে পারে না তিতলি, চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। প্রীতি পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, তিতলির চোখে জল দেখে ও দু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলল। ম্যাম ওর মাথায় হাত বুলিয়ে তিতলিকে বললেন,
"চোখের জল মোছো শাওনী, প্রীতিকে থ্যাঙ্কস জানাও, এত মিষ্টি একটা গিফট দিল তোমায়। তোমার চোখে জল দেখলে ওর অ্যাংজাইটি বাড়ছে। ও বুঝতে পারছে না তুমি কেন কাঁদছ।"
"ধাক্কাটা মেরেও বুঝতে পারছে না কেন কাঁদছি?"
"প্রীতি ইচ্ছে করে ধাক্কা মারেনি, ও তোমায় ডাকতে এসেছিল, যেমন করে তুমি ওর কাঁধে হাত রেখে ওকে ডাকো, তেমন করে ও-ও তোমায় ডাকতে এসেছিল।"
"আমি আলতো করে কাঁধে হাত রেখে ডাকি, ধাক্কা দিই না।" তিতলি কিছুতেই বুঝতে পারছে না ডাকতে হলে ধাক্কা দিতে হবে কেন!
যদিও প্রীতিকে ও থ্যাঙ্কস বলল। সেটা শুনে প্রীতি উঠে চলে গেল বার্ড ওয়াচিং কর্ণারে। ওদের করিডোরে একেকটা কর্ণার এরকম রাখা আছে। পাখি, প্রজাপতি, পোকামাকড় চেনার জন্য। প্রীতি পাখি দেখতে খুব ভালবাসে, তিতলি প্রজাপতি। মাঝেমাঝেই দুজনে দুটো জায়গায় ঘুরে আসে।
আরাধ্যাও শুনছিল সব। এবার সে কথা বলল।
"আরে ওর অটিজম আছে না? অটিজম থাকলে এরকম একটু করবেই। যাদের অটিজম থাকে তারা এরকম অনেক অদ্ভুত কাজ অকারণে করতে থাকে, আমি শুনেছি। ধাক্কা দেওয়া, সমানে দুলতে থাকা, মুখে আওয়াজ করা, এরকম অনেক কিছু। তাই না ম্যাম?"
"না আরাধ্যা, শুধু অটিজম থাকাটা কোনও আচরণ করার কারণ, এমনটা ভাবা ভুল। যেকোনও আচরণই যে কেবলমাত্র অটিজম আছে বলেই করছে, না থাকলে করত না, তা কিন্তু নয়। আরেকটা কথা মনে রাখবে, যেকোনও মানুষ, তুমি, আমি, প্রীতি, প্রিন্সিপাল ম্যাম, সোমনাথ আঙ্কল, আমরা কেউই কোনও আচরণ অকারণে করি না। যত ছোট্ট আর তুচ্ছ আচরণই হোক না কেন, সেটা করার পিছনে কারণ থাকবেই। ধাক্কা প্রীতি অকারণে মারেনি।"
"কারণটা কী ম্যাম?"
"ও তোমায় রোজ দেখে তুমি ওর কাঁধে হাত রেখে ডাকো, হয়তো সেটা ওর ভাল লাগে, বা ও ভেবেছে বন্ধুদের কাউকে ডাকতে হলে এভাবে কাঁধে হাত রেখে ডাকতে হয়। অন্যদিন ও বারান্দায় দাঁড়িয়ে পাখি দেখলে তুমি এসে ওর কাঁধে হাত রেখে বলো "লেট'স গো টু ক্লাস", সেটা থেকে ও শিখেছে কেমনভাবে অন্যকে ডাকতে হয়। কেবল একটা জিনিস শিখতে পারেনি, কাঁধে হাত রাখবে যখন, কতটা জোরে রাখবে, মানে কাঁধে আলতো করে হাত রাখবে, নাকি জোর দিয়ে ঠেলবে। কোন কাজে হাতের কতটা জোর ব্যবহার করতে হবে, সেটা ওর হয়তো বুঝতে অসুবিধা হয়। ও অন্যদের দেখছে বন্ধ দরজা খোলার জন্যেও হাত দিয়ে ঠেলতে হয়, আবার কারও কাঁধে হাত রেখে তাকে ডাকতে গেলেও হাত ইউজ করতে হয়। দরজা খোলার জন্য হাতের যতটা জোর লাগে, কাউকে ডাকতে হলে অতটা জোর লাগে না, এই জায়গাটা বুঝতে ওর সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণেই ও যখন তোমায় ডাকতে গেছে, তখনও দরজা খোলার মতো হাতের জোর তোমার কাঁধেও অ্যাপ্লাই করেছে। কারণ সেই জোরটা ওর কাছে চেনা, সেটা ও ডেইলি লাইফে ইউজ করে রেজাল্ট পায়। কাঁধে হাত দিয়ে ডাকার যে স্কিল, সেটা ওর নতুন শেখা, আজকেই হয়তো প্রথমবার নিজে অ্যাপ্লাই করল, বা এর আগেও এইভাবেই অ্যাপ্লাই করেছে। কতটা জোর দিয়ে কাঁধে হাত রাখলে সেটা ধাক্কা হবে না, ডাকা হবে, সেটা ওকে কেউ শেখায়নি। তুমি হয়তো নিজে সেটা শিখতে পেরেছ, ও পারছে না। প্রতিটি মানুষই তো অন্যের চেয়ে আলাদা, তাই প্রত্যেকের শেখার ক্ষমতাও আলাদা। এটা যদি আমরা না বুঝি তাহলে কী হবে বলো তো?"
"ও গায়ে হাত দিয়ে ডাকলেই আমরা ভাবব ও ইচ্ছে করে ধাক্কা মারছে। কেউ ওর কাছে যাবে না, ওর সঙ্গে খেলবে না, ওর গার্জেন কল হবে।"
"হ্যাঁ, ঠিক বলেছ। কারণটা না জানলে সবাই এই ধাক্কা মারার আচরণটাকে দুষ্টুমি, বদমাইশি বলে ধরে নেবে। "কেন ধাক্কা মেরেছিস?" বলে সবাই ওকে বকবে, শাস্তি দেবে। তাতে ও আরও কনফিউজড হবে, ভয় পাবে। ও তো কাজটা ইচ্ছে করে করছে না, খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে করছে না। ও করছে অন্যের সঙ্গে কমিউনিকেট করার জন্য। কিন্তু কতটা জোর লাগিয়ে ডাকলে সেটা অন্যের জন্য ক্ষতিকর হবে না, সেটাই ও জানে না। এই না জানার জায়গাটা যতক্ষণ না ও নিজে বুঝছে আর অন্যকে বলে বোঝাতে পারছে ততক্ষণ অন্য কেউ আসল ব্যাপারটা বুঝতেই পারবে না।
এবার, যেহেতু ওর অটিজম আছে, তাই অন্যকে নিজের কথা বুঝিয়ে বলতে ওর অসুবিধা। সেই কারণে অন্যরা যদি মন দিয়ে না ভাবে, তাহলে হয়তো কখনওই আসল ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারবে না। ওকে ট্যাগ করে দেওয়া হবে 'ধাক্কা দেয়, বদমাইশ মেয়ে', এসব নামে। বুঝতে পারছ?"
"হ্যাঁ ম্যাম, পারছি। হাতের জোর ইউজ করার এই ডিফারেন্সটা ওকে আমাদের শেখাতে হবে।"
"বাহ্, এই তো! তাহলে এবার বন্ধুর ওপর অভিমান কমেছে?"
লাজুক হেসে তিতলি চোখটা ভাল করে মুছে নেয়।
"কীভাবে শেখাব ম্যাম? আমরা তো টিচার নই, আমরা কি পারব শেখাতে?"
"শেখানোর জন্য কি টিচার হতেই হয়? তোরা একে অন্যের কাছে কিছু শিখিস না? ভেবে বল তো!"
আরাধ্যা তাড়াতাড়ি হাত তুলে বলে উঠল,
"আমি শিখি ম্যাম! শাওনীর কাছে বাটারফ্লাইজ আর প্রীতির কাছে বার্ডস! দে নো এভরিথিং অ্যাবাউট দেম!"
ম্যাম হেসে ফেলেন।
"বন্ধুরা অনেক সময় টিচারের চেয়েও ভাল করে শেখাতে পারে রে! তোরা নিজেরা একটু ভাবনাচিন্তা করিস কীভাবে শেখাবি। আমিও যে ঠিক পদ্ধতিটাই জানি, তা নয়, আবার ঠিক বলে যে একটাই পদ্ধতি হয় তাও নয়! যআর শেখার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি কাজ করে তার জন্য সেটাই সঠিক পদ্ধতি। ওর হাত ধরে কারও কাঁধে হাত রাখিয়ে ডাকা প্র্যাকটিস করাতে পারিস, হাতের বিভিন্ন রকমের জোর অ্যাপ্লাই করা যায় এরকম নানারকমের খেলা ভাবতে পারিস, ভেবে দ্যাখ, খুঁজে পাবি কিছু না কিছু।"

হাত বাড়ালেই বন্ধুঃ দ্বিতীয় পর্ব

ওদের আলোচনার শেষদিকে আরও কয়েকজন ক্লাসে এসে বসেছিল। সবাই ব্যাপারটা নিয়ে কথাবার্তা শুরু করে দেয়। হঠাৎ ঐশী ম্যামের একটা কথা মনে পড়ল।
"শোন, অটিজম নিয়ে একটা খুব দরকারি কথা তোদের বলতে ভুলে গেছি, আগের দিনই বলা উচিত ছিল।"
"কী ম্যাম?"
"অটিজম আছে এমন সব মানুষের স্বভাব, সমস্যা, আচরণ কিন্তু সবসময় একইরকম হয় না। অটিজম নেই এমন মানুষদের যেমন একজনের সঙ্গে আরেকজনের স্বভাব, সমস্যা, কাজকর্ম পারা-না-পারায় অনেক পার্থক্য থাকে, ঠিক তেমনই অটিজম স্পেকট্রামে থাকা মানুষরাও একজন অন্যজনের চেয়ে অনেক আলাদা। ক্ষমতা এবং সমস্যারও রকমফের থাকে। রামধনু যেমন একটা কোনও নির্দিষ্ট রং দিয়ে তৈরি নয়, বিভিন্ন শেডের বিভিন্ন রং দিয়ে রামধনু তৈরি হয়, ঠিক তেমনই অটিজম স্পেকট্রামের মধ্যে থাকা মানুষদের মধ্যেও বিভিন্ন রকমের বৈশিষ্ট্য থাকে। সেকারণেই অটিজমকে কোনও একটা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য দিয়ে বোঝানো যায় না, এক্ষেত্রে স্পেকট্রাম শব্দটা ইউজ করা হয়।"
"থ্যাঙ্কিউ ম্যাম, এটা আপনাকে জিজ্ঞেস করব ভেবেছিলাম। স্পেকট্রাম কেন বলা হয়। বুঝতে পারলাম।"
"ওকে, আজ এটুকুই থাক। শাওনী, যাও, বন্ধুর সঙ্গে ভাব করে নাও। চলো, ক্লাস শুরু করতে হবে, দেরি হল বেশ। আবার আরেকদিন আমরা এই নিয়ে আরও কথা শুনব, কেমন?"
"ওকে ম্যাম!" সমস্বরে বলে ওঠে সবাই। ক্লাস শুরু হবে, তিতলি আর আরাধ্যা প্রীতিকে ডেকে আনতে যায় বার্ড ওয়াচিং কর্ণারের দিকে।

পূর্ববর্তী পর্বঃ হাত বাড়ালেই বন্ধু

পরবর্তী পর্বঃ হাত বাড়ালেই বন্ধুঃ তৃতীয় পর্ব
হাত বাড়ালেই বন্ধুঃ চতুর্থ পর্ব

ভূতপূর্ব ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে সাংসারিক কাজের মাঝে সু্যোগ পেলেই পড়া আর লেখার আনন্দে মাতার চেষ্টায় থাকেন। সেই গোত্রের মানুষ, যারা আর কিছু না পেলে ঠোঙ্গায় ছাপা খবরও মন দিয়ে পড়েন। সারাদিনের অনেকটা সময় কাটে মেয়ে কুটুনের সঙ্গে; তার কীর্তিকলাপ মাঝেমধ্যে লিখতে চেষ্টা করেন;বর্তমানে ধানবাদের বাসিন্দা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা