সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
হাত বাড়ালেই বন্ধুঃ চতুর্থ পর্ব

আগেরদিন যে বার্থডে পার্টির গল্প বলছিলাম, আজ সেটার কথাই বাকিটা বলব। সায়ন্তন, বিয়াস, সাক্ষী এরা আগেরদিন শিখেছিল কেমনভাবে কোনও ভাল অভ্যেসের পাশে থাকা যায়, একই কাজ কেন কেউ অনবরত করে চলেছে সেই প্রশ্নে তাকে জর্জরিত না করে, কাজটা যদি ভাল হয়, তার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কেমন করে আরেকটু সুন্দর পৃথিবী তৈরির পরিকল্পনা করা যায়। জন্মদিনের পার্টিতে অল্প আলাপেই অনীশকে ওদের ভাল লেগেছিল। না, অনীশ ওদের সঙ্গে গল্প করেনি, ওদের সঙ্গে পা মিলিয়ে নাচেনি, নিদেনপক্ষে হাই হ্যালোটুকুও সে নিজে থেকে এগিয়ে এসে করেনি। তবুও অনীশকে ওদের ভাল লেগেছিল। কারণ অনীশ তার চারপাশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চায়। হয়তো নিজের সেই চাওয়াটা সে সাজিয়ে গুছিয়ে ব্যাখ্যা করে সবার কাছে বলতে পারে না, কিন্তু কে না জানে, কেবল মুখে বলার চেয়ে হাতেকলমে কাজ করা অনেক বেশি কাজের কাজ। তাই অনীশকে ওদের ভাল লেগেছিল।

হয়তো অনীশেরও ওদের সঙ্গ ভাল লাগছিল, নইলে যে ছেলে কোনও অনুষ্ঠানে ভিড়ে জমায়েতে গিয়ে আওয়াজ আলো হইচই দেখলে অস্বস্তিতে পড়ে, নিজের মধ্যে আরও গুটিয়ে যায়, অস্বস্তি আর ভয় এড়ানোর জন্য কানে হেডফোন লাগিয়ে নিজের পছন্দের গান শুনে বাইরের কোলাহলকে সরিয়ে রাখতে চায়, সে কান থেকে হেডফোন খুলে রাখবে কেন? ও চাইছিল বাকিদের কথা শুনতে। ওরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে কথা বলছিল। এটা নিয়ে অনীশ অনেক কিছু জানে, ওর অনেক কিছু বলার আছে এই নিয়ে, ওরা জানে না এমন অনেক কিছুও। কিন্তু কীভাবে বলবে অনীশ বুঝতে পারছিল না। মাসকয়েক ধরে দেখা ভিডিওগুলোর কোথায় কী আছে অনীশের চোখের সামনে ভেসে উঠছিল সিনেমার দৃশ্যের মতো করে, কিন্তু শুধু নিজের চোখের সামনে ভেসে উঠলেই তো আর বাকিরা সেটা জেনে ফেলতে পারে না! তাদের জানাতে হলে তো নিজের মুখে গুছিয়ে সবটা বলতে হবে। এই কাজটাতে এসেই যে অনীশ থেমে যায়! অনেক চেষ্টা করেও যা ভাবছে তার সবটা কিছুতেই বলে উঠতে পারে না। দশ মিনিট চেষ্টার পর হয়তো দুটো শব্দ বলে উঠতে পারে। ততক্ষণে যারা শুনবে তাদের ধৈর্য শেষ, আর তারা মনে মনে ওর সম্পর্কে একটা করুণামিশ্রিত ধারণাও করে ফেলেছে, "আহা, মনে করে বলার চেষ্টা তো করেছে!" মনে করে বলার যে কিছু নেই, পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত যেকোনও বিষয়ই যে সবসময় ওর মনে মাথায় ধাক্কাধাক্কি করে, বেরিয়ে আসতে চায়, বাকিদের কাছে পৌঁছোতে চায়, সে আর বাকিদের কে বোঝাবে! মাঝেমধ্যে অনীশের প্রচণ্ড রাগ হয়, নিজের ওপর, ও এরকম কেন? মাঝেমধ্যে বাকিদের ওপরেও রাগ হয়, বাকিরা এরকম নয় কেন? রাগটা বাড়তে বাড়তে একেক সময় ধ্ববংসাত্মক চেহারাও নিয়ে ফেলে, হাতে কাছে যা পায় ছুঁড়ে দিতে ইচ্ছে করে, দেয়ও নিজেকে সামলাতে না পারলে। তখন সবাই বলে, "ওর তো অটিজম আছে, তাই এরকম।" আরও রাগ হয়, চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, "না, অটিজম আছে বলেই আমি এরকম নই। এটা না থাকলেও আমি এরকমই হতাম। এই রাগ, এই বিরক্তি তোমাদেরও আছে, তোমরা লুকিয়ে রাখো, আমি রাখি না।" কিছুই বলতে পারে না অনীশ, খুব রাগের সময় কিছু বলতে গেলে চিৎকার ছাড়া কিছুই আসে না। একটা বিচ্ছিরি পরিস্থিতি।

ভাবতে ভাবতে অনীশ উত্তেজিত হয়ে পড়ছিল, ভুলে গিয়েছিল কোথায় আছে। মা হেডফোনটা কানের কাছে তুলে দিতে ঘোর কাটল। না, এখন অনীশ হেডফোন কানে নেবে না। ওই ওরা কী বলছে শুনবে, ওখানে কী হচ্ছে দেখবে। কেক কাটা হবে, গেমস হবে, ও জানে। বেশি আওয়াজ, হইহই অনীশ নিতে পারে না। জানে, একটু পরেই কান্না পাবে, কীরকম একটা অস্থির অস্থির লাগবে, কী করলে অস্থিরতা কমবে বোঝা যাবে না, মাথাটা কোথাও ঠুকলে, নাকি কান মাথা ঢেকে কোনও অন্ধকার ঘরে ঢুকে বসে থাকলে, জানে না, কিন্তু তবুও অনীশ আজ হেডফোন কানে নেবে না। কী হয় দেখবে।

কেক কাটা হবে এবার, ওদিক থেকে কে যেন ডাকল,
"সবাই চলে এস!"
সবাই মানে অনীশও, ও-ও এগোলো। পাশে মা, কী যেন ভাবছে। হেডফোনটা আরেকবার হাতে দিল, অনীশ জোরে জোরে মাথা নাড়ছে। না, আজ অনীশ সব আওয়াজ শুনবে। বার্থডে পার্টির ভিডিও আর সত্যি বার্থডে পার্টির মধ্যে কতটা মিল, দেখতে ইচ্ছে করে না বুঝি ওর?

অনেক বেলুন চারিদিকে। কে যেন একটা বড় মোমবাতি রেখেছে টেবিলের ওপর। টেবিলের একপাশে প্রচুর কাগজের প্লেট রাখা। এগুলো যখন গারবেজ হবে, সবাই ডাস্টবিনে ফেলবে? না ফেলে এদিক ওদিক ছড়ালে সেটা খারাপ! গরু ছাগল এসব প্লেট খেয়ে নিলে খুব বিপদ। অ্যালার্মিং সিচুয়েশন।

অনীশের চিন্তা অন্য খাতে বইতে শুরু করেছিল। জন্মদিনের পার্টিতে এসে পার্টি এনজয় করতে হয়, সবাই করে। অনীশও চায়, কিন্তু নিজের ভাল লাগার বিষয়ে একটু ভাবার সুযোগ পেলেই ও সেই ভাবনায় ডুবে যায়। চেষ্টা করলেও বাইরে আসতে অসুবিধা হয়। কেক কোথায়? ওই তো, দোতলা একটা কেক।

বৈশালী তো কেকের সামনে খুব উৎসাহ নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। দুর্দান্ত দেখতে একটা রাজপ্রাসাদ কেক, ফ্রোজেন মুভি থিমেরই, চোখ ফেরানো যাচ্ছে না এত সুন্দর। ওটাকে কেটে ফেলতে হবে ভেবে বৈশালীর খারাপ লাগছিল, সায়ন্তন, বিয়াস এদেরও খারাপ লাগছিল, অনীশেরও। বাকিরা কেউ মুখ ফুটে কিছু বলছিল না, জানে বলে লাভ নেই, বার্থডে কেক যত সুন্দরই হোক, সে তো কেটে খেয়ে ফেলারই জন্য! কিন্তু অনীশ বলে উঠল,
"সুন্দর কেক। কাটবে না। শোকেসে রাখবে।"
এতজনের মাঝে অনীশের কথা কেউ শুনল না, বলাই বাহুল্য। হইহই করে কেক কাটা শুরু হল। চারিদিকে সবাই 'হ্যাপি বার্থডে টু ইউ' গাইছে, হাততালি দিচ্ছে, বেলুন উড়ছে, হাওয়ায় দুলছে, টেবিলে মোমবাতিটা কেউ জ্বেলে দিল, চড়চড় পিটপিট করে আওয়াজ শুরু হল, চিড়িক চিড়িক করে তারা ছড়িয়ে পড়ছে মোমবাতি থেকে, ওদিকে অত সুন্দর কেকটাকে ধীরে ধীরে কাটছে বৈশালী। হঠাৎ একটা না দুটো বেলুন ফট ফট করে ফেটে গেল, আর একই সময়ে কেউ ওপর থেকে একগাদা ফোম স্প্রে করে দিল চারিদিকে। ছোট ছোট দলাগুলো উড়ে উড়ে ছড়িয়ে পড়তে লাগল সবার গায়ে মাথায় মুখে।

অনীশের প্রায় এই সবকিছুতেই অসুবিধা হয়। বাড়িতে একা থাকলে হয়তো এতটা হতো না, কিন্তু এখানে এত লোকের মাঝখানে নিজেকে শান্ত রাখার চ্যালেঞ্জটাও আছে, নিজেকে দেওয়া চ্যালেঞ্জ, তাই অসুবিধাটা আরও বেশি। ছয় সাত রকমের জোরে জোরে আওয়াজ একসঙ্গে হয়ে চলেছে চারিদিকে। বেলুনগুলো সমানে উড়ছে, দুলছে। ওগুলোকে স্থির দেখতে হলে অনীশকেও দুলতে হবে, যেটা ও একদম ভালবাসে না। কিন্তু ওকে দুলতে হচ্ছে। আর সেটা দেখে পাশের দুটো লোক হাঁ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ওর দিকে না তাকিয়ে বেলুনগুলোর দিকে তাকাতে পারছে না লোকগুলো?

তারপর ওই হঠাৎ বেলুন ফেটে যাওয়ার আওয়াজ, হাততালির আওয়াজ। সব মিলিয়ে অনীশ আর পারছিল না। ও ঘরের মধ্যেই ছুটোছুটি করতে লাগল। চিৎকার করতে করতে দেওয়ালে মাথা ঠুকতে লাগল, যদি মাথা ঠুকলে একটু আরাম পাওয়া যায়।
ঘরের সবাই চুপ। কেক কাটা হয়ে গেছে, কী করবে বুঝতে না পেরে বৈশালী ছুরি হাতে নিয়েই দাঁড়িয়ে রইল।

অনীশের মা ওকে জড়িয়ে ধরে আস্তে আস্তে বলতে লাগলেন,
"ইটস ওকে অনীশ, ওক্কে। আওয়াজ হবে না আর, বেলুন ফাটবে না। ইটস ওকে।"
কোনও লাভ হল না ওঁর কথায়, অনীশ শান্ত হতে পারছে না। ওদিকে বিয়াস সায়ন্তনরাও বুঝতে পারছে না কী করবে। একসময় বৈশালীর মা মিউজিক সিস্টেমে খুব হাল্কা একটা মিউজিক বাজাতে শুরু করলেন। খুব আস্তে, প্রায় শোনাই যায় না এমন। যত এক্সট্রা বড় আলো ছিল সব নিভিয়ে দেওয়া হল এরপর, যেটুকু আলো না থাকলে ঘর অন্ধকার হয়ে যাবে, সেটুকু আলোই জ্বেলে রাখা হল। বৈশালীর বাবা অন্যান্য নিমন্ত্রিতদের খেতে বসার জন্য অনুরোধ করলেন, খাওয়ার জায়গায় নিয়ে গেলেন তাঁদের। ঘরটা আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে লাগল। একটু আগে সবার ভিড়ে যেমন ঘরটাকে ছোট্ট একটা বাক্সের মতো লাগছিল, এখন আর অতটা ছোট লাগছে না। ঘরটা আসলে যথেষ্ট বড়! অনীশ এখনও শান্ত হতে পারেনি। ওর ভেতরে এখন একটা অদ্ভুত ঝড় চলছে। ও চাইছে শান্ত হতে, ও বুঝতে পারছে এরকম একটা অনুষ্ঠানবাড়িতে এসে এভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করা ঠিক হচ্ছে না, সবাইকেই অস্বস্তিতে ফেলা হচ্ছে এতে। কিন্তু এই যে 'ঠিক হচ্ছে না'র ভাবনাটা, এটাই ওর অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ও নিজে যেন আর নিজের বশে নেই। ওই নানারকম জোরে আওয়াজ, হইহই এসবের জন্যই ওর খারাপ লাগা, অস্বস্তি শুরু হয়েছিল, এখন সেসব আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেছে, সবার মনে হতেই পারে, এবার তো অনীশ শান্ত হতে পারে! চেষ্টা তো করছে অনীশ, কিন্তু পারছে না।

সায়ন্তন বিয়াস সাক্ষী এরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এখানে আসার আগে ভেবেছিল কেউ, এরকম একটা পরিস্থিতিতে পড়বে? কী করবে, কী করলে অনীশের একটু ভাল লাগবে, কিছু বুঝতেই পারছে না কেউ।

সায়ন্তনের হঠাৎ চোখ পড়ল টেবিলের ওপর। কেকটা সেখানে নেই। খাওয়ার জায়গায় নিয়ে গেছে হয়তো, ডিনার প্লেটেই সার্ভ করবে। কেক নেই, কিন্তু ছোট ছোট প্লেট আর গ্লাসগুলো এদিক ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে, হাওয়ায় উড়ছে চারিদিকে। কয়েকজনকে বোধহয় এখানেই সার্ভ করা হয়েছিল, তাদের এঁটো প্লেটগুলোও পড়ে আছে। বাজে লাগছে দেখতে। সায়ন্তন ধীরে ধীরে সেগুলো কুড়িয়ে এক জায়গায় জড়ো করতে লাগল। ওর দেখাদেখি বাকিরাও হাত লাগালো। কিছুক্ষণ পরে অনীশও এসে ওদের সঙ্গে যোগ দিল। পুরোপুরি শান্ত এখনও না হতে পারলেও নিজের বশে এসেছে অন্তত, নিজের ভাল লাগার কাজের মধ্যে ঢুকতে পারার চেষ্টাটা করতে পারছে।

প্লেট গ্লাস সরিয়ে ফেলার পর ওরা সবাই বসে ছিল। অনীশ মুখ নিচু করে রেখেছে। বড্ড ক্লান্ত লাগছে ওর, এবার বাড়ি যাবে। যারা ওকে ওইভাবে চিৎকার দৌড়োদৌড়ি করতে দেখেছে, তারা কি আর ওর সঙ্গে মিশবে? আড়চোখে দেখে ওকে এড়িয়ে যাবে নিশ্চয়ই। এখানে এসে এই ক'জনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, হয়তো ওরা বন্ধুও হতো, অনীশের জন্যই ওরা হয়তো আর মিশবে না, আবার অনীশ একা হয়ে যাবে। এসব ভেবে অনীশের কান্না পাচ্ছিল আবার। তখনই শ্রেয়ান এসে অনীশকে ডাকল,
"খেতে যাবি তো? চল, আমার খুব খিদে পেয়েছে।"

বাকিরাও জানালো তাদেরও খুব খিদে পেয়েছে। অনীশ দেখল ওদের কারও মুখে বিরক্তি নেই, ওকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা কেউ করছে না। অবাক হল ও, তারপর শ্রেয়ানের হাত ধরে এগোলো। একবার পিছনে ফিরে দেখল মাকে বৈশালীর মা নিয়ে আসছে, মা হাসিমুখে ওকে দেখে হাত নাড়ল। ও-ও হাত নেড়ে নতুন পাওয়া বন্ধুদের হাত ধরে খাওয়ার জায়গার দিকে এগিয়ে চলল।

পুর্ববর্তী পর্বগুলিঃ
হাত বাড়ালেই বন্ধুঃ তৃতীয় পর্ব
হাত বাড়ালেই বন্ধুঃ দ্বিতীয় পর্ব
হাত বাড়ালেই বন্ধু

ভূতপূর্ব ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে সাংসারিক কাজের মাঝে সু্যোগ পেলেই পড়া আর লেখার আনন্দে মাতার চেষ্টায় থাকেন। সেই গোত্রের মানুষ, যারা আর কিছু না পেলে ঠোঙ্গায় ছাপা খবরও মন দিয়ে পড়েন। সারাদিনের অনেকটা সময় কাটে মেয়ে কুটুনের সঙ্গে; তার কীর্তিকলাপ মাঝেমধ্যে লিখতে চেষ্টা করেন;বর্তমানে ধানবাদের বাসিন্দা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা