সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

সম্প্রতি প্রকাশ করা সম্ভব হলো এম ৮৭ গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা ব্ল্যাকহোলের ছবি। ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ নেটওয়ার্কের অন্তর্গত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসানো আটটি টেলিস্কোপে তোলা ছবিকে জড়ো করে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে ব্ল্যাকহোলের ছবি, বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথমবার। পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই মহাজাগতিক বস্তুটির ভর সূর্যের চেয়ে ৬.৫ বিলিয়ন গুণ বেশি। এহেন বিশালাকার বস্তুর ছবি তোলার জন্য প্রয়োজন ছিল পৃথিবীর মাপের একটি টেলিস্কোপ, যা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয় আটটি টেলিস্কোপ, এবং এই টেলিস্কোপগুলি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ব্ল্যাকহোলের ছবি তৈরির কাজ শুরু হয়।

২০০ জন বিজ্ঞানীর টিমের এই প্রজেক্টের অন্যতম এক সদস্য হলেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ক্যাথরিন (কেটি) এল বাওম্যান। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির এই প্রাক্তন ছাত্রী এবং তাঁর টিমের তৈরি একটি অ্যালগরিদমের সাহায্যে কেটি এবং আরও ছত্রিশজন কম্পিউটার সায়েন্টিস্টের টিম ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ নেটওয়ার্কের আটটি টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে নির্মাণ করেছেন ব্ল্যাকহোলের ছবি।

বিভিন্ন টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া টুকরো টুকরো তথ্যকে সংগ্রহ করে সংরক্ষিত করা হয়েছিল ইভেন্ট হরাইজন টিমের সেণ্ট্রাল প্রসেসিং সেণ্টারের বস্টন এবং বন কেন্দ্রে। এরপর কাজ শুরু হয় কেটি এবং তাঁর টিমের। ছেঁড়া ছেঁড়া ছবি থেকে ব্ল্যাকহোলের সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য ছবি নির্মাণের কাজটি অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন তাঁরা। কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ছবি নির্মাণের কাজটা আলাদা আলাদাভাবে চারটি টিম করেছিল, এবং এই চারটি টিমের মধ্যে কোনওরকম যোগাযোগ ছিল না। প্রায় একবছরের চেষ্টায় দেখা যায়, চারটি টিমই একইরকম একটি ছবি নির্মাণ করতে পেরেছে, ব্ল্যাকহোলের গহ্বরের চারপাশে আলোর বলয়ের ছবি। এই বছরের ১০ এপ্রিল ছবিটি জনসমক্ষে আনা হয়।

প্রযুক্তির এই নতুন পদক্ষেপ মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত রচনা করলো।

NowThis -এর সৌজন্যে কেটি এবং তার টিমের কর্মকান্ডের গল্প রইল এই ছোট্ট ভিডিওতে।

ছবি ও তথ্যসূত্রঃ
https://www.bbc.com/news/science-environment-47873592

ভূতপূর্ব ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে সাংসারিক কাজের মাঝে সু্যোগ পেলেই পড়া আর লেখার আনন্দে মাতার চেষ্টায় থাকেন। সেই গোত্রের মানুষ, যারা আর কিছু না পেলে ঠোঙ্গায় ছাপা খবরও মন দিয়ে পড়েন। সারাদিনের অনেকটা সময় কাটে মেয়ে কুটুনের সঙ্গে; তার কীর্তিকলাপ মাঝেমধ্যে লিখতে চেষ্টা করেন;বর্তমানে ধানবাদের বাসিন্দা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা