সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo

দুর্গাপুজোর সময়। অনলাইন ক্লাস পাশে সরিয়ে রেখে শুরু হয়ে গেছে পুজোর ছুটি। এই ছুটিতে কিছুটা সময় নতুন কিছু বানাতে শিখবে নাকি? ব্যবহার করা দেশলাই কাঠি আর ধূপের কাঠি দিয়ে বানিয়ে ফেলবে নাকি মা দুর্গার প্রতিকৃতি? চলো দেখি কীভাবে বানানো যায় ফেলে দেওয়া দেশলাই কাঠি আর ধূপের কাঠি দিয়ে দুর্গা ঠাকুর।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

উপকরণ :
১. ব্যবহৃত দেশলাই কাঠি আর ধূপের কাঠি
২. মোট পাঁচরকমের রঙিন কাগজ, তিনটি আলাদা রঙের, এবং হলদে ও কালো। রঙিন কাগজ হাতের কাছে না পেলে সাদা কাগজে ইচ্ছেমতো রং করে নিতে পারো। আমি কালো কাগজ পাইনি, রং করেছি।
৩. কাঁচি
৪. আঠা

পদ্ধতি :

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

১। দুটি দেশলাই কাঠিকে পাশাপাশি রেখে আঠা দিয়ে জুড়ে দাও। এরপর একটি রঙিন কাগজ চালচিত্রের মতো করে কেটে তার ওপরে জোড়া দেশলাই কাঠিটি আঠা দিয়ে বসিয়ে দাও।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

২। জোড়া দেশলাই কাঠির প্রায় মাঝ বরাবর দু'দিকে দুটি দেশলাই কাঠি জুড়ে দাও। এরপরে ছবির মতো করে একপাশে বাকি কাঠিগুলি জুড়তে থাকো। এগুলি হলো দুর্গাঠাকুরের হাত। জোড়ার আগে কাঠিগুলোর ডগা অল্প করে বেঁকিয়ে নেবে, তবে ভেঙে আলাদা না হয় যেন, খেয়াল রেখো।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

৩। একইভাবে আরেকদিকের হাতগুলিও জুড়ে দাও। দু'দিকে পাঁচটি করে কাঠি, মোট দশটি কাঠি লাগবে হাত তৈরি করার জন্য।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

৪। এরপর পা। ধূপের কাঠি দুটি ছবির মতো করে জুড়ে দাও ওই জোড়া দেশলাই কাঠির নিচে। একটি কাঠি সামান্য ভেঙে রেখো, যাতে মনে হয় মা দুর্গা মহিষাসুরের বুকে পা রেখে দাঁড়িয়ে আছেন। ভেঙ্গে যেন আলাদা হয়ে না যায়, খেয়াল রাখবে।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

৫। যে পা-টা অল্প বেঁকিয়ে রেখেছিলে, তার ঠিক নিচে একটা দেশলাই কাঠি ছবির মতো করে তেরছাভাবে জুড়ে দাও আঠা দিয়ে। এটি হলো মহিষাসুরের শরীর। এবার মাথার দিকে হাত আর নিচের দিকে পা তৈরি করো ধূপের কাঠি জুড়ে, ছবি দেখে দেখে।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

৬। এবার সিংহ তৈরির পালা। প্রথমে বানাও সিংহের পা। দুটি দেশলাই কাঠিকে ভেঙে চার টুকরো করো ছবির মতো করে।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

৭। এবার সিংহের দেহ বানাতে হবে। একটি দেশলাই কাঠির মুখের কাছটা অল্প ভেঙে বানিয়ে ফেলো সিংহের মাথা। মাথার পিছনে হলদে কাগজ আটকে কেশর বানাতে পারো। আরেকটি দেশলাই কাঠির মুখের কালো অংশটা ভেঙ্গে ফেলে দাও। বাকিটা আগের দেশলাই কাঠিটার নিচে জুড়ে দাও। হয়ে গেল সিংহের দেহ। এবার ভেঙে রাখা চার টুকরো কাঠি সিংহের দেহের নিচে উল্টোনো V এর মতো করে জুড়ে দাও। ব্যস, সিংহ তৈরি হয়ে গেল যুদ্ধের জন্য।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

৮। এবার মা দুর্গাকে সাজাতে হবে। অন্য রঙের রঙিন কাগজ নিয়ে ছবির মতো তিনটি টুকরো কেটে নাও।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

৯। মা দুর্গার শরীরে কাগজের টুকরোগুলো একে একে জুড়ে তৈরি করো মা দুর্গার পোশাক। আরেক রঙের কাগজ কেটে ছবি দেখে বানিয়ে ফেলো মহিষাসুরের পোশাকও।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

১০। এবার ত্রিশূল বানাতে হবে। দুটি ধূপের কাঠি আঠা দিয়ে জুড়ে বানাও ত্রিশূলের দণ্ড। আরেকটি কাঠি মাঝ বরাবর ভেঙে মাপ করে কেটে বানিয়ে ফেলো V আকৃতির টুকরো। এটি ত্রিশূলের দণ্ডের সঙ্গে জুড়ে দাও।

পোড়া কাঠির দুর্গাঠাকুর

১১। ত্রিশূল বসিয়ে দাও মায়ের হাতে। কালো কাগজ কেটে মা দুর্গার চুল বানাতে পারো। এইবারে মা দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপ তৈরি। চালচিত্র সমেত গোটা মুর্তিটিকে দেওয়ালে আটকে রাখতে পারো, বা কাগজের স্ট্যান্ড বানিয়ে শোকেসে সাজিয়ে রাখতে পারো, ঘুরেফিরে দেখতে দিব্যি লাগবে!

ভূতপূর্ব ইঞ্জিনিয়ার, বর্তমানে সাংসারিক কাজের মাঝে সু্যোগ পেলেই পড়া আর লেখার আনন্দে মাতার চেষ্টায় থাকেন। সেই গোত্রের মানুষ, যারা আর কিছু না পেলে ঠোঙ্গায় ছাপা খবরও মন দিয়ে পড়েন। সারাদিনের অনেকটা সময় কাটে মেয়ে কুটুনের সঙ্গে; তার কীর্তিকলাপ মাঝেমধ্যে লিখতে চেষ্টা করেন;বর্তমানে ধানবাদের বাসিন্দা।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা