সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
তোজোবাবুর অ্যাডভেঞ্চার

তোজোবাবুর অ্যাডভেঞ্চার

এক যে ছিল ছোট্ট ছেলে। নাম তার তোজো। তার ছিল এক মস্ত পালতোলা জাহাজ। জাহাজে চেপে ছোট্ট তোজো অনেক দেশে ঘুরে বেড়ায়। একবার এক নদীর ধারে বড় বটগাছটার মাথায় তোজো পেল বিশাল লাল টুকটুকে একটা ঘুড়ি। আর একবার সমুদ্রের ধারে খুঁজে পেল একটা রামধনু রঙের পাথর। তবু তোজোর ভারী মনখারাপ। ওর দিদুনের চশমাটা ও কোথাও খুঁজে পায়না । খুঁজতে খুঁজতে, তোজো জাহাজ নিয়ে পৌঁছে যায় দক্ষিণ মেরুতে। অনেক খুঁজেও হদিশ পায়না চশমাটার। এবার তোজো যায় উত্তর মেরুর দিকে। উত্তর মেরুতে অনেক বরফ। বরফ ঘাঁটতে ঘাঁটতে উঠে আসে একটা প্রদীপ, অনেকটা সেই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপটার মত দেখতে। প্রদীপটা হাতে নিয়ে তোজো ভাবে,একবার ঘষেই দেখা যাক। যদি এটার মধ্যে দৈত্যটা থাকে, তবে ওকে দিদুনের চশমাটা কোথায় আছে জিজ্ঞাসা করা যাবে। কী আশ্চর্য! সত্যি সত্যি তোজোর সামনে প্রদীপ থেকে বেরিয়ে এল দৈত্য। দৈত্য বলে, আমি তোমার তিনটে ইচ্ছে পূরণ করতে পারি। বল কী কী চাও তুমি? তোজো বলল, আমার একটা পেন্সিল চাই যেটা দিয়ে আমি খুব তাড়াতাড়ি লিখতে পারবো। সাথে সাথে দৈত্য ওকে দিলো একটা বড় পেন্সিল আর জানতে চাইলে "তোমার দ্বিতীয় ইচ্ছে কী?" আমার একটা বাঁশি চাই , বললে তোজো। সাথে সাথে বাঁশি হাজির করলে দৈত্য। এবার দৈত্য জানতে চাইলো, আর কী চাই তোজোর ? তোজো জানালে, ওর চাই ওর দিদুনের হারিয়ে যাওয়া চশমাটা। দৈত্যটা এবার যেন একটু ঘাবড়ে গেলো। বললে, "তোমার দিদুন এর চশমাটা তো আমি তোমাকে এনে দিতে পারছি না , কিন্তু বলতে পারি কোথায় গেলে তুমি চশমাটা পাবে। একটা বড় ঝর্ণার ধারে আছে এক মস্ত গাছ ,সেই গাছে থাকে এক টিয়াপাখি। সেই টিয়াপাখি তার বাসায় তোমার দিদুনের চশমা খানা লুকিয়ে রেখেছে।"এই বলেই উধাও হয়ে গেল দৈত্য। আর তোজো দেখে ওর চারিদিকে আর একটুও বরফ নেই, চারদিক সবুজ । আর একটু দূরেই দেখা যাচ্ছে একটা বিশাল ঝর্ণা। আর তার পাশে একটা বেশ বড় গাছ। দৌড়ে যায় তোজো ঝর্ণার কাছে, উঠে পড়ে সেই মস্ত গাছের মগডালে। আর দেখে, সত্যিই গাছের সবচেয়ে উঁচু ডালে একটা টিয়াপাখি বসে তার বাসা পাহারা দিচ্ছে।

তোজোবাবুর অ্যাডভেঞ্চার

তোজো টিয়াপাখিকে বলে, "তোমার কাছে আমার দিদুনের চশমা আছে?" টিয়াপাখি মাথা নেড়ে সম্মতি জানাতেই, তোজো বলে ওঠে , "তুমি আমাকে দিদুনের চশমাটা দিলে আমি তোমাকে এই বাঁশিটা দিয়ে দেব।" খুশি হয় টিয়াপাখি। সাথে সাথে, ঠোঁটে করে এনে চশমাখানা দিয়ে যায় তোজোর হাতে। আর তোজো তাকে দেয় তার বাঁশি।

তোজোবাবুর অ্যাডভেঞ্চার

আনন্দে লাফাতে লাফাতে তোজো ফিরে আসে ওর জাহাজে। আর খুব তাড়াতাড়ি জাহাজ চালিয়ে ফিরে আসে বাড়ি। বাড়ি পৌঁছেই এক দৌড় দিদুনের ঘরে। অনেক দিন পরে দিদুনও তোজোকে পেয়ে ভারী খুশি। তোজো দিদুনের হাতে চশমাটা দিতেই দিদুন ওকে জড়িয়ে ধরে বলে, "আমার তোজো বাবু সবার সেরা।"

 

গল্প লিখেছে, আর সঙ্গে ছবিগুলিও এঁকেছেঃ
শৌর্যদীপ্ত ভট্টাচার্য্য
প্রথম শ্রেণি, গার্ডেন হাই স্কুল, কল্যাণী

গল্পটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন শৌর্যদীপ্ত-এর মা ঈশিতা সেনগুপ্ত এবং বাবা সৌম্য ভট্টাচার্য্য।

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা