সবুজ মনের রসদ
Ichchhamoti Logo
দস্যি ও ম্যাজিক রংপেন্সিল

দস্যি ও ম্যাজিক রংপেন্সিল

এক যে ছিল ছোট্ট হাতি , নাম তার দস্যি। কলাগাছ খেতে দস্যি খুব ভালোবাসত।

দস্যি ও ম্যাজিক রংপেন্সিল

একদিন ছোট্ট ছোট্ট পায়ে, চুপি চুপি কলাগাছের খোঁজে বেরলো দস্যি। হাঁটছে তো হাঁটছেই। কোত্থাও কোনো কলাগাছের দেখা নেই। দস্যির তো বেজায় মনখারাপ। এতদূর এসেও কোথাওএকটা কলাগাছ পাওয়া যাবে না?

দস্যি ও ম্যাজিক রংপেন্সিল

পথের ধারে, একটা পাথরের উপর কয়েকটা রং পেন্সিল পড়ে ছিল। দস্যি শুঁড়ে করে একটা রং পেন্সিল তুলে পাথরের উপর আঁকিবুকি কাটতে কাটতে এঁকে ফেললো একটা ছোট্ট পাহাড়। আর কি আশ্চর্য ব্যাপার! পাথরটা বড় হতে হতে চোখের নিমেষে হয়ে গেলো একটা মস্ত পাহাড়।

দস্যি ও ম্যাজিক রংপেন্সিল

খুব মজা পেল দস্যি। পায়ে পায়ে উঠে পড়ল পাহাড়ে। সেই পাহাড়ের উপর, কলাগাছের জঙ্গল। দস্যি তো খুব খুশী! ও পেট ভরে অনেক অনেক কলাগাছ খেল। তারপর দস্যির ইচ্ছে হ'ল, বাড়ির সবার জন্য জঙ্গল থেকে কলাগাছ নিয়ে যায়। কিন্তু বাড়ি কোন দিকে? কি করে বাড়ি যাবে দস্যি? কলাগাছের জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলেছে ও। শুঁড় দিয়ে অনেকক্ষণ মাথা চুলকে, অবশেষে একটা বুদ্ধি এল দস্যির মাথায়।

দস্যি ও ম্যাজিক রংপেন্সিল

ম্যাজিক রংপেন্সিল দিয়ে ও এঁকে ফেলল একটা কম্পিউটার। সাথে সাথে কম্পিউটার হাজির হল দস্যির সামনে। কম্পিউটারের কি বোর্ডে শুঁড় বুলিয়ে দস্যি খুলে ফেলল একটা ম্যাপ। আর ম্যাপ থেকে খুঁজে নিল বাড়ি ফেরার পথ। কিন্তু বাড়ি যে বহুদূর! ছোট্ট ছোট্ট পায়ে দস্যি কতদিনে বাড়ি পৌঁছবে? শুঁড় দিয়ে আর একটু মাথা চুলকে নিল দস্যি।

দস্যি ও ম্যাজিক রংপেন্সিল

তারপর ওর ম্যাজিক রংপেন্সিল দিয়ে এঁকে ফেলল একটা ট্রাক।দস্যি অনেক কলাগাছ তুলে নিল
ট্রাকের পিছনে। আর ম্যাপ দেখে দেখে বাড়ি ফিরবে বলে কম্পিউটারটা রাখল ট্রাকের ভিতর।
তারপর ট্রাক চালিয়ে ফিরে এল বাড়ি।

দস্যি ও ম্যাজিক রংপেন্সিল

দলছুট দস্যি ঘরে ফেরায়, হাতির দল খুব খুশী। তারা সবাই মিলে মহানন্দে দস্যির আনা কলাগাছ খেল আর শুঁড় তুলে দস্যিকে অনেক ধন্যবাদ জানাল।

গল্প লিখেছে, আর সঙ্গে ছবিগুলিও এঁকেছেঃ
শৌর্যদীপ্ত ভট্টাচার্য্য
প্রথম শ্রেণি, গার্ডেন হাই স্কুল, কল্যাণী

গল্পটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন শৌর্যদীপ্ত-এর বাবা, সৌম্য ভট্টাচার্য্য

 

আমরা, ভারতের জনগণ, ভারতকে একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রূপে গড়ে তুলতে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে শপথগ্রহণ করছি এবং তার সকল নাগরিক যাতে : সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার; চিন্তা,মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম এবং উপাসনার স্বাধীনতা; সামাজিক প্রতিষ্ঠা অর্জন ও সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের সকলের মধ্যে ব্যক্তি-সম্ভ্রম ও জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সুনিশ্চিত করে সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে; আমাদের গণপরিষদে, আজ,১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর, এতদ্দ্বারা এই সংবিধান গ্রহণ করছি, বিধিবদ্ধ করছি এবং নিজেদের অর্পণ করছি।
undefined

ফেসবুকে ইচ্ছামতীর বন্ধুরা